× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মুক্তজীবনে আজহার

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫ ০৭:১২ পিএম

মুক্তজীবনে আজহার

মুক্তজীবনে আজহার

যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারকের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন। সংক্ষিপ্ত রায়ের কপিতে গতকালই স্বাক্ষর করেছন বিচারপতিরা। ফলে, জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। রায়ের কপি কারাগারেও পৌঁছেছে।  

আজ বুধবার মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন আজহারুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত, সত্য বিজয়ী ও মিথ্যা পরাজিত হয়েছে।

আইনজীবী বলেছেন, এ মামলায় আপিল বিভাগের নজরকাড়া পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এছাড়া এতো গুরুতর প্রকৃতির ফৌজদারি কার্যধারায় যাচাই-বাছাই এবং ন্যায্যতার উচ্চমান পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পূর্ববর্তী রায়ের জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।

এদিকে, এ রায়ের পর সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফেসবুকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি লিখেছেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।

জানা গেছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের ছয় ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালে আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালে প্রথমবার আপিল শুনানি করে সেই রায় বহাল রেখেছিল তখনকার আপিল বেঞ্চ। ওই দুই রায় বাতিল করে এখনকার আপিল বিভাগ বলেছে, যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ এই মামলায় ছিল, তা অতীতের আপিল বিভাগ ‘সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে’। 

২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। আপিল বিভাগের রায়ে এ টি এম আজহারকে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।  

কোন যুক্তিতে খালাস : এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর যে রায় দিয়েছিল, তা পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ১৫ মার্চ। এরপর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আপিল বিভাগ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। সে অনুযায়ী আপিল শুনানি শেষে ৮ মে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করে দেয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারকরা আসন গ্রহণ করার পর সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন আজহারের আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, আদালত বলেছেন, অতীতের রায়ে বাংলাদেশসহ এই ভারতীয় সাব কনটিনেন্টের ক্রিমিনাল বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি চেইঞ্জ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল সবচাইতে বড় ভুল।

আদালত আরো বলেছেন, আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ অ্যাসেসমেন্ট করা ছাড়াই জনাব এটি আজহারুল ইসলাম সাহেবকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া যে পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি ট্রাবেস্ট্রি অব ট্রুথ, অর্থাৎ বিচারের নামে অবিচার। যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

শিশির মনির বলেন, ফলশ্রুতিতে আজকে এটিএম সাহেবকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধ মামলায় এর আগে জামায়তে ইসলামী ও বিএনপির ছয় জন শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রসঙ্গ ধরে শিশির মনির বলেন, পাঁচজন, অন্তত পক্ষে পাঁচজন জেলেই মৃত্যুবরণ করেছেন। দুনিয়ার ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন নির্যাতনের শামিল। এটিএম আজারুল ইসলাম সৌভাগ্যবান, তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তাই আমরা এটা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড ইনজাস্টিসের অবসান হয়েছে। আমরা এটাও মনে করি, এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।

এই আইনজীবী বলেন, এখন থেকে জামায়াতে ইসলামের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ইজ অ্যান ইনোসেন্ট ম্যান। শিশির মনির বলেন, তারা আদালতের কাছে একটি ‘শর্ট অর্ডার’ চেয়েছিলেন, আদালত তা মঞ্জুর করেছে।

বিকেলেই শর্ট অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার কথা জানান শিশির মনির। তিনি বলেন, আজ বুধবার মুক্তি পেতে পারেন আজহারুল ইসলাম। কারাগারেও রায়ের কপি পৌঁছেছে বলেও জানা গেছে।

এদিকে, রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে উপস্থিত জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মহম্মদ তাহির বলেন, আমি কোর্টকে ধন্যবাদ জানাই এবং এই দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের আন্দোলন সংগ্রামের একটি সুস্পষ্ট সুন্দর রেজাল্ট আজকে বেরিয়ে আসছে।

এছাড়া রায়ের পর সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।

আগের রায়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ আপিল বিভাগের : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, বস্তুগত প্রমাণ এবং দাখিল করা আইনি যুক্তিতর্ক পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্মূল্যায়নের পর, আপিল বিভাগ বিবেচনা করছে যে, এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করা ছিল ফৌজদারি আইনশাস্ত্রের মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা। যার ফলে ন্যায়বিচারের চরম অবহেলা ঘটেছে। আপিল বিভাগ এ টি এম আজহারুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সম্পর্কিত প্রমাণ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে তার পূর্বের ব্যর্থতা স্বীকার করছে। এই মৌলিক নীতিগুলো মেনে চলতে ব্যর্থতার ফলে ন্যায়বিচারের প্রতি চরম অবজ্ঞা করা হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, আদালত বিচারিক দায়িত্বের গভীর বোধের সঙ্গে স্বীকার করেন যে, তার পূর্ববর্তী রায়ে, তারা এ টি এম আজহারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ ও তাকে দোষী হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায়টি দুঃখজনকভাবে এত গুরুতর প্রকৃতির ফৌজদারি কার্যধারায় যাচাই-বাছাই এবং ন্যায্যতার উচ্চমান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেন, আপিল বিভাগ আরও দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করেন যে, আগের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট এবং রাষ্ট্রপক্ষের মামলার অন্তর্নিহিত প্রমাণের দুর্বলতাগুলোর প্রতি যথাযথ বিবেচনা করা হয়নি। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্তকরণ এবং তার সাজা বহাল রাখা সম্ভব নয়।

আদালত বলেন, আপিলকারী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস এবং অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

কে এই এটিএম আজহার, কী অভিযোগ আনা হয়েছিল : এটিএম আজহারুল ইসলামের জন্ম ১৯৫২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার বাতাসন লোহানীপাড়া গ্রামে। বাবার নাম নাজির হোসাইন, মা রামিসা বেগম। ১৯৬৮ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে পরের বছর তিনি ভর্তি হন রংপুর কারমাইকেল কলেজে। একত্তরে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন জামায়াতের সেই সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন বলে এ মামলার নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের আগে আজহার দেশত্যাগ করেন এবং চলে যান সৌদি আরবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আজহার আবার দেশে ফেরেন এবং ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন। জিয়াউর রহমানের আমলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার পর দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন আজহার। ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমিরের দায়িত্ব পান এবং ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হন।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আজহার। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট তিনিও একই অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হন। ওই বছর ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আজহারের বিচার শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে এ টি এম আজহারুল ইসলাম ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে ‘আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার’ ছিলেন। সে সময় ‘তার নেতৃত্বেই’ বৃহত্তর রংপুরে গণহত্যা চালিয়ে ‘১৪ শর বেশি মানুষকে হত্যা, বহু নারীকে ধর্ষণ ও অপহরণ, নির্যাতনের’ ঘটনা ঘটে। আপিল বিভাগ খালাস দেওয়ায় সেসব অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি পেলেন জামায়াত নেতা আজহার।

ট্রাইব্যুনাল যা বলেছিল : ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আজহার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে বিচারকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, এটা ফরমায়েশি রায়। আমি নির্দোষ। আল্লাহর আদালতে আপনাদের বিচার হবে ইনশাল্লাহ। আর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে বলেছিল, ‘যে ঘৃণ্য অপরাধ আজহারুল ইসলাম করেছেন, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো সাজায় তার সুবিচার হয় না।

এ মামলার দ্বিতীয় অভিযোগে রংপুরের বদরগঞ্জ থানার মোকসেদপুর গ্রামে গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা, তৃতীয় অভিযোগে বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ারবিলের আশপাশের গ্রামে এক হাজার চারশর বেশি হিন্দু গ্রামবাসীকে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং চতুর্থ অভিযোগে কারমাইকেল কলেজের চারজন অধ্যাপক ও একজন অধ্যাপকের স্ত্রীকে দমদম ব্রিজের কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজাহারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ওই রায়ে।

এ মামলার প্রথম সাক্ষী ছিলেন একজন বীরাঙ্গনা, যাকে রংপুর টাউন হলে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। আইনে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলা না থাকায় ট্রাইব্যুনাল রায়ে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেয়নি। তার বদলে রাষ্ট্রকে বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে বলেছিল।

এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান, জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এ রায়ে প্রমাণিত হয়েছে- জামায়াতের ১১ শীর্ষ নেতা জুডিশিয়ারি কিলিং হয়েছেন।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
শহিদুল আলমকে আটকের ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

শহিদুল আলমকে আটকের ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক

নির্বাচনের আগে কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া জরুরি: আব্দুল্লাহ তাহের

নির্বাচনের আগে কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া জরুরি: আব্দুল্লাহ তাহের

নির্বাচনের আগে কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া জরুরি: আব্দুল্লাহ তাহের

নির্বাচনের আগে কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া জরুরি: আব্দুল্লাহ তাহের

 কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান, ১৬টি অবৈধ জাল উদ্ধার

কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান, ১৬টি অবৈধ জাল উদ্ধার

 রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে মানববন্ধন

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে মানববন্ধন

 সিরাজগঞ্জে চেক প্রতারণার মামলায় প্রধান শিক্ষিকার কারাদন্ড

সিরাজগঞ্জে চেক প্রতারণার মামলায় প্রধান শিক্ষিকার কারাদন্ড

 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু হানিফ খন্দকারের স্মরণ সভা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু হানিফ খন্দকারের স্মরণ সভা

 ‎পিরোজপুরে রিকের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত

‎পিরোজপুরে রিকের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত

 মা ইলিশ রক্ষায় পিরোজপুরে মোবাইল কোর্টের অভিযান, জাল বিনষ্ট

মা ইলিশ রক্ষায় পিরোজপুরে মোবাইল কোর্টের অভিযান, জাল বিনষ্ট

 আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযানে ৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযানে ৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

 যশোর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ২

যশোর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ২

 কন্যাশিশুদের প্রতি পরিবার ও সমাজের সৃষ্টিভঙ্গি পরির্বতন করতে হবে

কন্যাশিশুদের প্রতি পরিবার ও সমাজের সৃষ্টিভঙ্গি পরির্বতন করতে হবে

 শিবচরে সাংবাদিকের বাসা থেকে নগদ অর্থসহ স্বর্নালঙ্কার চুরির অভিযোগ

শিবচরে সাংবাদিকের বাসা থেকে নগদ অর্থসহ স্বর্নালঙ্কার চুরির অভিযোগ

 কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবি'র অভিযানে ভারতীয় মালামাল আটক

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবি'র অভিযানে ভারতীয় মালামাল আটক

 ইসলায়েলে শহিদুলকে আটকের ঘটনায় বিএনপির উদ্বেগ

ইসলায়েলে শহিদুলকে আটকের ঘটনায় বিএনপির উদ্বেগ

 বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

 টাঙ্গাইলে টুকুর পক্ষে মমতাজ করিমের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা

টাঙ্গাইলে টুকুর পক্ষে মমতাজ করিমের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা

 আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রেল প্রকৌশলী

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রেল প্রকৌশলী

 চিতলমারীতে হিন্দু বাড়িতে ডাকাতি

চিতলমারীতে হিন্দু বাড়িতে ডাকাতি

 শহিদুল আলমকে আটকের ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

শহিদুল আলমকে আটকের ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

 টেকনাফে লোকালয়ে থাকা ৩৭ রোহিঙ্গাসহ আশ্রয়দাতা নারী আটক

টেকনাফে লোকালয়ে থাকা ৩৭ রোহিঙ্গাসহ আশ্রয়দাতা নারী আটক

সংশ্লিষ্ট

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সেফ এক্সিট খুঁজছি না, আমি দেশেই থাকব: রিজওয়ানা

সেফ এক্সিট খুঁজছি না, আমি দেশেই থাকব: রিজওয়ানা

নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ