গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ হাসান আর নেই
ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মোহাম্মদ হাসান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মোহাম্মদ হাসানের পরিবারের বরাত দিয়ে ফেসবুক পোস্টে জানান উমামা ফাতেমা।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের সময় সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ হাসান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পরও তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
৫ আগস্ট টাইগারপাসে আন্দোলনের সময় মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয় যা সম্ভাব্য ব্রেইন ড্যামেজের কারণ হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার খাদ্যনালি ও কণ্ঠনালি এক করে লাইফসাপোর্ট দেওয়া হয়। এ সময় ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে তার মস্তিষ্কে, এবং শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ও বিচারে সহযোগিতা করুন। কিন্তু নাগরিক হিসেবে সবার মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন। কোনো এলাকাকে ‘ঘেটো’ বানানোর চেষ্টা করবেন না।শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।মাহফুজ আলম তার পোস্টে বলেন, গোপালগঞ্জের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ নিম্নবর্গের হিন্দু। তারা লীগের আমলে নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের উচিত, বাংলাদেশজুড়ে লীগের হাতে নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের সঙ্গে মৈত্রী করা।তিনি বলেন, হাসিনার পরাজয় রাজনৈতিক না কেবল, নৈতিকও বটে। নৈতিক পরাজয়ের পর তার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছিল। ফলে আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে গিয়ে নৈতিক উচ্চতা হারাতে পারি না। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা আর সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য।তিনি আরো বলেন, অনেকেই এখনো ভাঙার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ পুরনো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙা যাবে না বরং ভাঙতে গেলে আরো বেঁকে যাবে, বেঁকে যাচ্ছে। আবার সময় আসবে যখন, তখন ভাঙা যাবে। কিন্তু এক্ষণে গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পরিবেশ রক্ষায় আমাদের প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে মন্তব্য করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলার এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, সরকার সব ঠিক করে দেবে এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে পরিবার থেকেই।শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও অন্যান্য পরিবেশবিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই প্রতিযোগিতাগুলো শিশুদের মাঝে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করেছে।অভিভাবকদের সচেতন অংশগ্রহণই এসব আয়োজন সফল করেছে। এই আগ্রহ থেকেই তৈরি হবে পরিবেশ রক্ষার ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে শিশুদের বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। গাছ কাটার পরিণাম কিংবা শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে ছোটবেলা থেকেই। আইন নয়, মূল্যবোধই হবে পরিবেশ রক্ষার ভিত্তি।তিনি আরও বলেন, পলিথিন ব্যবহার পরিহার, শব্দ দূষণ রোধে সচেতনতা, বিদ্যুৎ ও পানির সাশ্রয়ী ব্যবহার এসব ছোট ছোট অভ্যাসই পরিবেশ শিক্ষার অংশ। সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও উচ্চ শব্দের মাধ্যমে অন্যকে কষ্ট না দিয়ে পরিবেশবান্ধব আয়োজনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবেশ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের কাজ প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিবেশ শিক্ষায় আরও উৎসাহ সৃষ্টি করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলি।অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিবেশবিষয়ক চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, রচনা, প্রকল্প প্রস্তাবনা ও মেলার শ্রেষ্ঠ স্টল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিকাশের লক্ষ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের দপ্তর চালু করতে তিন বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দুই পক্ষ। শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) একটি তিন বছরের সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশে একটি মিশন চালু করা হবে।এতে আরও বলা হয়, কয়েকটি পক্ষ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আইডিওলজিক্যাল ওরিয়েন্টেশন (আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমাদের নাগরিকদের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে যে, যে কোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে দেশের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।যদি কখনো মনে হয়, এই অংশীদারত্ব আর জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাহলে সরকার চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার অধিকার রাখে বলেও প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না। এ সময় তিনি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।শনিবার (১৯ জুলাই) মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সাইন্স’ বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।সেনাপ্রধান বলেন, শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে। উন্নয়নের জন্য প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এ সময় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে পুরস্কার দেন তিনি।তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎপাদন কৌশল, তাপ প্রকৌশল ও মহাকাশ গবেষণাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা গবেষক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ