হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫ ০৪:৪০ পিএম
হোসেনপুরে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু বেশি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এরই মধ্যে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১০,৩৯২টি। চাহিদার বিপরিতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু ১১,৭৬৬টি। ফলে এ বছর হোসেনপুরে স্থানীয় পর্যায়েই পশুর চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, গত বছর হোসেনপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল ১১,২৮১টি এবং চাহিদা ছিল ৯,৮৯৭টি। সেই তুলনায় এবছর পশুর সংখ্যা এবং চাহিদা উভয়ই বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে খামারির সংখ্যাও। বর্তমানে উপজেলায় নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ২,১১৬ জন, যা গতবছর ছিল ২,০৮৭ জন।
খামারিরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও গোখাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের খরচ অনেকটাই বেড়েছে। ফলে তাঁরা যে পশুগুলো কোরবানির জন্য যত্ন করে লালনপালন করেছেন, সেগুলোর ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
খামারিরা আরও বলছেন, সরকারি পরামর্শ ও সেবার কারণে গরু মোটাতাজাকরণ অনেক সহজ হয়েছে। এবার যদি বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়, তাহলে তারা আগামীতেও আরও বড় পরিসরে খামার গড়ে তুলবেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ উপজেলায় এ বছর দেশীয় জাতের গরু মোটাতাজাকরণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খামারগুলোতে হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান ক্রস ও শাহীওয়াল জাতের উন্নত গরুও দেখা যাচ্ছে। এসব গবাদিপশু সুস্থ ও মানসম্পন্ন হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. উজ্জল হোসাইন ভোরের আকাশকে জানান, আমরা শুরু থেকেই খামারিদের প্রশিক্ষণ, ভেটেরিনারি চিকিৎসা ও নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। কোরবানির আগে প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং রোগমুক্ত নিশ্চিত করেই বাজারজাত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, খামারিদের নিরাপদ পশু প্রস্তুতের বিষয়ে সচেতন করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচার, পরামর্শ এবং ভেটেরিনারি সেবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের সময় পশুর হাটগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও ভ্রাম্যমাণ টিম গঠিত হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই