রাবি শিক্ষক-ছাত্রীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ এবং একই বিভাগের এক ছাত্রীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহীর মতিহার থানায় গত শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রী। এদিন সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ করেছেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ। অভিযুক্তরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, সুমন, আতাউল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন সজিব।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ মে বিকাল ৫টার দিকে তিনি শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে পড়াশোনা করছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা সেখানে গিয়ে তাদের (শিক্ষক-ছাত্রী) গালাগাল ও ভিডিও ধারণ করে।
এ সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা করা হয়। তাকে ধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা হেদায়েত উল্লাহর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক লাখ টাকা হেদায়েত উল্লাহ ব্যাংকের বুথ থেকে তুলে সুমনের হাতে দেন। আরও ৪ লাখ টাকা দিলে ওই ভিডিও তাদের মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করা হবে বলে জানানো হয়।
আরও দুই লাখ টাকা ১২ মে দুপুরে সাকিব ও সুমনকে দেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ। বাকি দুই লাখ টাকা ১৮ মে দেওয়ার কথা। এর আগেই ১৪ মে অভিযুক্তরা ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। অভিযুক্তরা প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ। ওই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্ররা।
তারা বলেন, অনৈতিক একটি ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তবে সাকিবের সঙ্গে হেদায়েত উল্লাহর কথোপকথনের একটি রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এতে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর সঙ্গে সাকিব দেখা করতে চেয়েছেন। তখন হেদায়েত উল্লাহ চারজনকে (অভিযুক্ত) একসঙ্গে আসতে বলেছেন।
জবাবে সাকিব বলেন, বাকি দুইজনের দায়িত্ব আমার। আমরা শেষে রুমে যে দুইজন ছিলাম, আমাদের কথাই ফাইনাল। আমরা একসঙ্গে চারজন মুভ করতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে সোমবার মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা হয় দৈনিক ভোরের আকাশ’। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর জিডি আমরা তদন্ত করছি। এটা মামলায় টার্ন নিতে পারে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ এবং একই বিভাগের এক ছাত্রীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহীর মতিহার থানায় গত শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রী। এদিন সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ করেছেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ। অভিযুক্তরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, সুমন, আতাউল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন সজিব। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ মে বিকাল ৫টার দিকে তিনি শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে পড়াশোনা করছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা সেখানে গিয়ে তাদের (শিক্ষক-ছাত্রী) গালাগাল ও ভিডিও ধারণ করে।এ সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা করা হয়। তাকে ধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা হেদায়েত উল্লাহর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক লাখ টাকা হেদায়েত উল্লাহ ব্যাংকের বুথ থেকে তুলে সুমনের হাতে দেন। আরও ৪ লাখ টাকা দিলে ওই ভিডিও তাদের মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করা হবে বলে জানানো হয়। আরও দুই লাখ টাকা ১২ মে দুপুরে সাকিব ও সুমনকে দেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ। বাকি দুই লাখ টাকা ১৮ মে দেওয়ার কথা। এর আগেই ১৪ মে অভিযুক্তরা ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। অভিযুক্তরা প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত শুক্রবার থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ। ওই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্ররা।তারা বলেন, অনৈতিক একটি ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তবে সাকিবের সঙ্গে হেদায়েত উল্লাহর কথোপকথনের একটি রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এতে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর সঙ্গে সাকিব দেখা করতে চেয়েছেন। তখন হেদায়েত উল্লাহ চারজনকে (অভিযুক্ত) একসঙ্গে আসতে বলেছেন।জবাবে সাকিব বলেন, বাকি দুইজনের দায়িত্ব আমার। আমরা শেষে রুমে যে দুইজন ছিলাম, আমাদের কথাই ফাইনাল। আমরা একসঙ্গে চারজন মুভ করতে চাচ্ছি না।এ বিষয়ে সোমবার মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা হয় দৈনিক ভোরের আকাশ’। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর জিডি আমরা তদন্ত করছি। এটা মামলায় টার্ন নিতে পারে।ভোরের আকাশ/জাআ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে গত বছরের ৫ আগস্ট। এর তিন দিন পরই যাত্রা শুরু হয় অন্তর্বর্তী সরকারের। এরপর সাড়ে ৯ মাস অতিবাহিত হলেও স্বৈরাচারী দোসরদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং দেশে অন্তর্ঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরিতে চলছে নানা অপতৎপরতা। এতে ইন্ধন দিচ্ছে সরকারের নিযুক্ত আওয়ামী-ভারতপন্থি আমলারা। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসন ও হাজার কোটি টাকা লোপাটের পাহাড়সম অভিযোগ কাঁধে নিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই কৃষির গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে তৈরি হয় অস্থিরতা ও অচলাবস্থা, যা দূর করতে সরকার তৎকালীন সচিব ওয়াহিদা আক্তারকে সরিয়ে আগস্টের মাঝামাঝিতে নিয়োগ দেয় আরেক আওয়ামীপন্থি আমলা ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানকে। যিনি সচিব হওয়ার পর থেকে দপ্তরগুলোতে অচলাবস্থা দূর করার বিপরীতে সংস্থাগুলোতে আওয়ামীপন্থিদের টিকিয়ে রাখা, বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করে অস্থিরতা টিকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সচিবের ভাষ্য, আরও এক-দুই বছর এমন চলবে।বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন, বরাদ্দ, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণে এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকলেও তিনি এখনো দায়মুক্ত। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেট কি তাকে দায়মুক্ত করেছে-সে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। বর্তমানে কৃষি সচিব হিসেবে দায়িত্বে থাকা এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের বিরুদ্ধে কৃষি প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে। কৃষি সচিব মিয়াদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সচিব মিয়ানের অপসারণের দাবিতে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন হয়েছে। একইভাবে প্রশাসনে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও তার অপসারণ চাওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আল্টিমেটাম।মিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, বিতর্কিত প্রকল্প অনুমোদন, মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন ও নিয়োগে তার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর সময় আওয়ামী সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়া যেসব আমলা বিবৃতি ও সভা-সমাবেশে অংশ নেন, তাদের অনেকেই পরবর্তীতে পুনর্বাসিত হন। তাদের সবাই আত্মগোপনে থেকে এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের ছত্র-ছায়ায় পুনর্বাসিত হয়েছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অংশ নেওয়া কথিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে পদায়নের বিষয়টি স্পষ্ট।জানা গেছে, তৎকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালে কমিটি গঠন করে সরকার। এ কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ আমলা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ কমিটিকে সহায়তা করতে ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি দায়িত্ব প্রদান করা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ানকে। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ছাত্রহত্যা মামলায় কারাগারে থাকলেও এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এখন আছে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে।অথচ মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, স্নারক ও স্থাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং দলীয়করণের অভিযোগ উঠেছে। ড. মিয়ান ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম। তিনি বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয়ে তিনি একই ধরনের দলীয় পক্ষপাত ও আমলাতান্ত্রিক স্বার্থে পরিচালিত নীতি অনুসরণ করছেন। দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর নাম এসেছে। কামাল আবদুল নাসের বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের কারণে কার্যত সারাদেশে পতিত ফ্যাসিবাদ সমর্থিতরা পুনর্বাসিত হচ্ছে। সরকারের নানা কর্মকাণ্ড কৌশলে তারা ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। সচিবালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠদের কাছে সহসাই পৌঁছে যাচ্ছে। বিগত বড় বড় দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র সরিয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। কৃষি সচিবের ইন্ধনে ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেকেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসব কর্মকর্তারাই একতরফা নির্বাচনের কুশীলব ছিলেন। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্টের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ছিলেন সদা তৎপর। বিনিময়ে নিজেরা হয়েছেন সম্পদশালী।জুলাই বিপ্লবের পরও তাদের অবস্থার নড়বড়ে হয়নি। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের অপসারণের দাবি ওঠলেও সরকার এ ব্যাপারে নির্বিকার। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠেছিল ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের খুঁটির জোর কোথায়? ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের মিশনে যেনো খুব তড়িঘড়ি করে বসছেন কৃষি সচিব এমদাদুল্লাহ মিয়ান।তিনি তার অধীনস্থ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরসমুহে আওয়ামী পন্থী ৪ আগষ্ট শান্তি মিছিলে অংশগ্রহনকারী কর্মকর্তাদের পদায়ন করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসর কর্মকর্তাদের বহাল রেখেছেন। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, এসআরডিআই, বিনা, বিএআরসি, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৪ আগস্ট শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।এছাড়া সকল দপ্তর সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্টের দোসরদের বহাল রেখেছেন। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি থেকে আগস্ট এর পরে পদায়নকৃত ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। ডিএইর মাঠ পর্যায়ের অনেক পদ খালি থাকলেও তিনি সেখানে পদায়ন করছেননা। ফলে কৃষি সেক্টরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বড় সংস্থা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। কৃষি মন্ত্রণালয়ে সচিব মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান যোগদানের প্রায় ৯ মাস পার হতে চললেও এখনো পর্যন্ত একজন যোগ্য ‘মহাপরিচালক’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তিনি। উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক মো. ছাইফুল আলমকে মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। এ কর্মকর্তা তার উইংয়ের কাজের পাশাপাশি মহাপরিচালকের বাড়তি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।ডিএইর কর্মকর্তারা বলছেন, সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত যে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে, তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিচালনার জন্য একজন মহাপরিচালক না থাকাটা একটা বড় সংকট। যে কারণে সংস্থাটির পরিচালিত ৩১টি প্রকল্পের মধ্যে ৯ মাসে মাত্র ১০ জন্য ‘প্রকল্প পরিচালক’ পরিবর্তন করা হয়েছে, বাকিগুলোতে এখনো আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগীরাই রয়েছেন। এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে।কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বড় প্রকল্প পার্টনারের গড় বাস্তবায়ন অগ্রগতি মন্ত্রণালয়ের গড় অগ্রগতির চেয়ে অনেক কম। কারণ প্রকল্পটির সাবেক পরিচালক মিজানুর রহমান প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে না পারলেও তাকে প্রকল্প পরিচালক পদে বহাল রেখেছিলেন সাবেক সচিব। কিন্তু যখন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ছুটির দিনে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে প্রতিবেদন হয় এবং এর সত্যতা পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।একই অবস্থা দেশের সবচেয়ে বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি)। যেখানে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানকে মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটিও ‘রুটিন দায়িত্ব’। প্রতিষ্ঠানটির বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিচালক যারা আছেন তাদের সবাই আওয়ামী সময়ের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত। অথচ গত মাস পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির তিনটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন হার মন্ত্রণালয়ের গড় অগ্রগতির চেয়ে কম বলে উঠে এসেছে মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণেই। অর্থাৎ প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ঠিকভাবে হচ্ছে না। কিন্তু মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত ড. মো. আবুল কালাম আজাদকে। পদোন্নতিতে জটিলতা বিষয়ে গত ১৮ মার্চ এ মহাপরিচালককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহে অবস্থিত বিনার কার্যালয়ে মানববন্ধন করেন এবং তার কক্ষে তালা দিয়ে দেন।বিনার মতো একই অবস্থা তৈরি হয়েছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে। রুটিন দায়িত্বে মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. নার্গীস আক্তারকে। এ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার আগে মহপরিচালক পদে যাওয়ার যোগ্য চার কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে। যে কারণে সেখানেও অস্থিরতা রয়েছে।সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এবং অনিয়ম, দুর্নীতি ও দলীয়করণের অভিযোগে কর্মকর্তারা তার পদত্যাগ দাবি করার পর নার্গীস আক্তারকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এরপর কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে বাইরে রাস্তায় পোস্টারিং করে। কিন্তু এখনো তার ওপরই ভরসা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব।পদায়ন নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে। সাবেক কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সময়ের ব্যাপক সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত ড. সালাহউদ্দিন আহমেদকে রুটিন দায়িত্বেই মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তা আবার প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক হিসেবে রুটিন দায়িত্বে এনেছেন ড. মো আবদুল হাকিমকে।এ পদের জন্য যোগ্য তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানটিতে থাকলেও চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তা আবদুল হাকিমকে প্রশাসন উইংয়ের পরিচালক পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ব্যাপকভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।একই রকম অবস্থা কৃষির ১৪টি সংস্থার বেশিরভাগেই। যে কারণে বিভিন্ন বিভাগের কাজেও কর্মকর্তাদের মনোযোগ কম। যার প্রতিক্রিয়া সার্বিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।গত ১৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে ২০২৫-এর এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি সংস্থার প্রকল্প ও প্রোগ্রামসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ করে। এ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সংস্থার প্রধানদের উপস্থিতিতে সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।এর মধ্যে অন্যতম একটি সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘দপ্তর সংস্থার প্রদানরা কর্তৃক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’ কিন্তু বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কৃষির বেশিরভাগ প্রকল্পগুলোই ঠিকভাবে চলছে না। কারণ যেসব প্রকল্পে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা রয়েছেন, তারা চাইলেও ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। যার উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র থেকেই।কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না, বরং কোনো কোনো সংস্থায় আওয়ামীপন্থিদের পদায়ন করে আরও জটিলতা বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। অথচ এসব জটিলতা নিরসনেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব গত আগস্টের মাঝামাঝিতে নিয়োগের পর থেকে টানা শতাধিক মিটিং করেছেন। কিন্তু তার দৃশ্যমান কোনো ফল নেই মাঠে।এমদাদুল্লাহ মিয়ানে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে গত ২৪ মার্চ লিখিত অভিযোগ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন। অভিযোগ উঠে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের নামে প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করেন তিন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদ্মা সেতু ও গোপালগঞ্জভিত্তিক কয়েকটি প্রকল্প কোনরূপ সম্ভাব্যতা যাচাই ব্যতিরেকেই অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক ও স্বীয় প্রভাব খাটান। তিনি গাজীপুরে ‘রহিমা-ফজল মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ’ নামে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি উন্নয়ন তহবিল থেকে নানা প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, দপ্তরগুলোতে পূর্ণাঙ্গ মহাপরিচালক নিয়োগ করার মতো যোগ্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। একটা নির্দিষ্ট মেয়াদে পরিচালক পদে চাকরির পর তাদের মহাপরিচালক হতে হয়, কিন্তু এমন লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এ সমস্যাটা আরও এক-দুই বছর থাকবে। যে কারণে রুটিন দায়িত্বে মহাপরিচালক দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, যেসব জায়গায় মহাপরিচালকদের বা অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেটা কিছু কর্মকর্তার স্বার্থের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের চেয়ে ভালো কর্মকর্তা দপ্তরগুলোতে আমরা পাইনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা মহানগর পুলশিরে (ডিএমপি) গোয়ন্দো শাখার (ডিবি) সাবকে প্রধান হারুন অর রশীদরে শ্বশুর মো. সোলায়মানরে ১০ তলা ভবন জব্দ ও পাঁচটি ব্যাংক হসিাব অবরুদ্ধরে আদশে দয়িছেে আদালত। আদশে এসছেে হারুনরে ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের দুটি ব্যাংক হসিাব অবরুদ্ধ করারও।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন আবেদন দুটি করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন ও তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের নামে থাকা ১৩০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেয় একই আদালত। ওই দিন তাদের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশও আসে। অবরুদ্ধ করা হয় তিনটি কোম্পানির শেয়ারও।এর আগে গত ২৭ অগাস্ট হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। গত ৮ জানুয়ারি আসে হারুন ও তার ভাই শাহরিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ।আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া হারুনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে নামে-বেনামে রাজধানীতে দুই ডজন বাড়ি, অর্ধ-শতাধিক ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।তিনি যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও জেদ্দাসহ বিভিন্ন জায়গায় অঢেল সম্পদ গড়েছেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে দুদক।২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিএমপির ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন হারুন অর রশীদ। গণআন্দোলনে সরকার পতনের চার দিন আগে গত ৩১ জুলাই তাকে সেখান থেকে সরিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, এর ট্রাস্টি বোর্ড এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মোট ৪৪৫ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মঙ্গলবার (১৩ মে) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ম লঙ্ঘন করে নিজস্ব তহবিল থেকে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনে ৩৪৩ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছে।এছাড়াও, ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারের ১০২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানান আখতার হোসেন।এদিকে, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুর্নীতি নজরদারিতে কোনো বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, এ ধরনের কোনো বিশেষ উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। তবে নতুন অভিযোগ এলে সেগুলোরও তদন্ত করা হবে। ভোরের আকাশ/আমর