গাইবান্ধায় ডোবার পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ডোবার পানিতে ডুবে মোস্তাফিজুর রহমান (৯) নামের ৩য় শ্রেণির এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের রামনাথেরভিটা বালুচর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিয়াখালী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জান্নাতুল আম্বিয়া।
নিহত শিশু মোস্তাফিজুর ওই এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে বাদিয়াখালী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্বজন স্থানীয়রা জানান, শিশু মোস্তাফিজুর প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়তে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী এক শিক্ষিকার কাছে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকার কাছে যাওয়া আগেই পথিমধ্যে পা পিছলে ডোবার পানিতে পড়ে যায়।
যথাসময়ে সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে ডোবা থেকে লাশ ভেসে থাকতে দেখতে পায় তারা। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু আর নেই। ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।আজ (বুধবার) বাদ আসর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও রংপুর বিভাগীয় জিয়া মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়েন উদ্দীন।এদিকে বিএনপি সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর হঠাৎ মৃত্যুতে নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই নগরী নুরপুরস্থ তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। জানা গেছে, আনিছুর রহমান লাকু আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জেলা সম্মেলনে দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দাওয়াত দিতে ঢাকায় যান। সেখানে সাংগঠনিক কাজ শেষে রংপুর ফেরার পথে বগুড়ার শেরপুরে পৌঁছার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি ইতোপূর্বে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার মিথ্যা মামলায় ১০ বছরের সাজা নিয়ে দীর্ঘদিন জেলখানায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় একাধিক মামলা ছিল।তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিল্লুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আল ইমরান সুজন, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ লাবু, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন- আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেলসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে এসে যানজটে আটকা পড়েছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথে আসেন। পরে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে আশুগঞ্জের হোটেল উজানভাটিতে যাত্রাবিরতি করেন। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করলে আশুগঞ্জের বাহাদুরপুরে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়েছেন উপদেষ্টা।বুধবার সকাল থেকেই আশুগঞ্জের সোহাগপুর থেকে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই মহাসড়ক পরিদর্শন করবেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।হাইওয়ে পুলিশের দাবি, এক পাশে মালামাল রেখে সড়ক সংস্কার ও খানাখন্দের কারণে এই যানজট দেখা দিয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। এ কারণে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে তীব্র যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ধীরগতির কারণে মহাসড়কের এ অংশ পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর সময় লাগে ৪-৬ ঘণ্টা।এই প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে এসেছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান। তার আগমন উপলক্ষে রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে সড়কের খানাখন্দের ভরাট শুরু করা হয়। একপাশ বন্ধ রেখে সংস্কারকাজ চালানোর কারণে গত তিনদিন ধরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে আছে মহাসড়কে। বুধবার সকাল থেকেও তীব্র যানজট।আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম জানান, উপদেষ্টা আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। পথে আশুগঞ্জের মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটের আটকা পড়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিষাক্ত সাপের কামড়ে এনামুল মিয়া (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গিয়ে তাকে একটি সাপে কামড় দেয়।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত এনামুল ওই গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে এবং ধাপেরহাট কারিগরি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনামুল বাড়ির পাশে ঠুসি জাল বসিয়ে ধানক্ষেতে মাছ ধরতে যান। এ সময় তাকে একটি বিষাক্ত সাপ কামড়ে দেয়। প্রথমে বিষয়টি তিনি টের না পেলেও বাড়িতে ফিরে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমাতে গেলে শরীরে বিষক্রিয়া দেখা দেয়।পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর পথে বুধবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান জানান, সাপের কামড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দুপুরে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।এদিকে, এনামুলের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে ইলিশ নিধনের অপরাধে ৭ জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় জব্দকৃত ৫০ হাজার মিটির জাল পুড়িয়েও ধ্বংস করা হয়েছে।ভ্রাম্যমান আদালত জানায়,শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই এম ইবনে মিজানের নেতৃত্ব মা ও ডিমওয়ালা ইলিশ নিধন প্রতিরোধে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মা নদীর শিবচর অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিকেলে চরজানাজাত পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু জেলেদের ইলিশ মাছ নিধন করতে দেখা যায়।এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রবিউল দরিয়া (২০), মোরসালিন মোল্লা (২৪), আসিফ ফকির (১৯), সাখাওয়াত মোল্লা (২০), আরিফ হাওলাদার (২৪), আলতাফ শেখ (৬০), সোহেল হাওলাদারসহ (৩২) ৭ জেলেকে আটক করে নৌ পুলিশের সদস্যরা। তাদের সকলের বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর থানায় বাড়ি বলে জানা যায়।পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট এইচ এম ইবনে মিজান রাত ৮ টার দিক আটককৃত জেলেদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর আটককৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানকালে জেলা মৎস অফিসার ড. মোঃ হাদিউজ্জামান, চরজানাজাত নৌ পুলিশের ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস অফিসার সত্যজিৎ মজুমদারসহ শিবচর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, ইলিশ মাছ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ অভিযানকালে ইলিশ নিধনের অপরাধে ৭ জেলেকে আটক করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা