ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে ওসি পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের ওসি ও পরিদর্শক পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বদলির এই আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার বিষয়টি জানানো হয়।
বদলি ও পদায়ন করা কর্মকর্তারা হলেন- আশুগঞ্জ থানার ওসি বিল্লাল হোসেনকে পুলিশ পরির্দশক সদর কোর্ট, সরাইল থানা ওসি রফিকুল ইসলামকে পুলিশ পরির্দশক সদর কোর্ট, নবীনগর থানা ওসি আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশ পরিদর্শক (ডিএসবি) বদলি করা হয়েছে।
অপরদিকে নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলমকে আশুগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর নাসিরনগর থানার ওসি হিসেবে জেলা পুলিশ লাইন্সে লাইনওয়ার থাকা মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। সরাইল থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরীকে।
নবীনগর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর ইসলামকে। বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খানকে।
বদলির বিষয়টি সোমবার সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ওবায়দুর রহমান। তিনি জানান, জনস্বার্থে এই বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। বদলির এ অফিস আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মনোনিত পিরোজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র সাবেক ইন্দুারকানি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, ইসলামকে যারা ভয় করে তারা দুর্নীতিকে জাহান্নামের আগুনের মতই ভয় করে।তিনি বলেন, তারা দুর্নীতি করবে না। যারা দুর্নীতি করে না- আপনার আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামই করতে পারবে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ইতোমধ্যে ৩শ আসনের মধ্যে ২৯৬ টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। প্রার্থী ঘোষণা করার পর বাংলাদেশের এমন কোন উপজেলা, যেখানে দুইটা গ্রুপের মারামারি করে ৫ জন মারা গেছে। আর ৩ জন ঠ্যাং ভেঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এমন রিপোর্ট দেখছেন আপনারা ?অথচ কোন কোন দলের ওয়ার্ড ইউনিয়ন কাউন্সিল হয় সেখানে নিজেরা নিজেরা চেয়ার ভাঙ্গে, অফিস ভাঙ্গে, শেষমেশ মাথা ও ভাঙ্গে। যারা নিজেরা নিজেদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। যাদের হাতে নিজেদের দলের কর্মী নিরাপদ নয়, তাদের হাতে দেশের ১৮ কোটি মানুষ কিভাবে নিরাপদে থাকবে?সোমবার (৭ জুলাই) বিকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে স্থানীয় আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাষ্টার মাওলানা আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা শামসুল হকের সঞ্চালনায় এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মাসুদ সাঈদী দেশ পরিবর্তনের জন্য ইসলামী শাসন কায়েম করতে দাড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে আরো বলেন, দেশকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে রাখতে হলে এবারে আপনারা নিজেরা শপথ নিয়ে পরিবার-পরিজন বন্ধু বান্ধব মিলে ভোটের তারিখ যেদিন ঘোষণা হবে, সেদিন সবাই দাড়িপাল্লায় ভোট দিব।তিনি আরো বলেন, আমার পিতা সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কেহ বলতে পারবে না যে, একটি টাকার দুর্নীতি করেছে। আমাকে নির্বাচিত করলে আমিও আমার বাবার ন্যায় আপনাদের খেদমত করব। ভালো নেতা বাছাই করলে ভালো থাকবেন, মন্দ নেতা বাছাই করলে মন্দ থাকবেন।এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারী কাজী মোসলে উদ্দিন, নাজিরপুর শহীদ জিয়া কলেজের প্রভাষক প্রদীপ কুমার হালদার, শিবিরের উপজেলা সেক্রেটারী মো. সাকিবুল হাসান প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
মাদারীপুর জেলার শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত 'লিটন চৌধুরী' সেতুর নদী শাসন বাঁধ না থাকায় বর্ষার শুরুতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে নদের পাড়ে। সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। উৎরাইল-শিবচর প্রধান সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত সেতুটির নয়াবাজার পাড়ের দক্ষিণপাশে নদের পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। সেতুর একটি পিলার থেকে একশত ফুটেরও কম দূরুত্বে এই ভাঙন।জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেতুটি নির্মানের ফলে শিবচর সদরের সাথে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়। সম্প্রতি আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেতুর কাছে নদের পাড় ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিস্রোত। ফলে সেতুর কাছেই নদের পাড়ের বেশকিছু জায়গা ভেঙে গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড় ভেঙে নদী কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেছে। একটি গাছ রয়েছে নদের পাড়ে। যেকোন সময় গাছটিও নদের গর্ভে চলে যেতে পারে।স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে ঘূর্ণিস্রোত। একারণেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদী ভাঙন আতংকের বিষয়। সেতুর পাড়ে নদী শাসন বাঁধ থাকে। অথচ এখানে নদী শাসন বাঁধ দেয় নাই। নদীতে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। ফলে সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে।শিবচর উশিবচরে আড়িয়াল খাঁ সেতুর কাছে পাড় ভাঙনপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, 'সেতুর দুইপাড়ে নদী শাসন বাঁধ সেতু নির্মানের পূর্বেই দেয়া উচিত ছিল। সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ নদী শাসন বাঁধ দেয়া হয় নি। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের। পানি বাড়লে ভাঙন বাড়তে পারে। যা সেতুর জন্য হুমকি স্বরূপ!'এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) পারভীন খানম।ভোরের আকাশ/জাআ
পরীক্ষার হলে কক্ষ পরিদর্শকের কাছে স্মার্ট ফোন পাওয়ায় মাওলানা মোঃ রাসেদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।সোমবার (৭ জুলাই) আমতলী সরকারি কলেজে মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম শ্রেণির ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, ওইদিন বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা রাসেদুল ইসলাম কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তিনি স্মার্ট ফোনসহ কক্ষে প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বহিষ্কার করেন।মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব মাওলানা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষার সময় একজন কক্ষ পরিদর্শকের কাছে মোবাইল পাওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং বহিষ্কৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাইফুল মোল্লা (৩৫) নামে এক আইস ফ্যাক্টরির শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (৭ জুলাই) ভোর ৫ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।সাইফুল মোল্লা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস মোল্লার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি আইস ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্বজন ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায়ও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। দুই দিন আগে কর্মস্থলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। এরপর তাঁকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়।পাথরঘাটা উপজেলায় চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু হলো। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার ৫২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে জেলায় ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও, বিভিন্ন বেসরকারি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের কেউ কেউ স্থানীয় হাসপাতালে, কেউবা ঢাকা বা অন্যান্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালের সিঁড়ি, বারান্দা এমনকি রিসেপশন কক্ষেও রোগীদের বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও মাঠপর্যায়ে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।ভোরের আকাশ/জাআ