ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, বাংলাদেশ তত পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন না হলে বিনিয়োগ আসবে না, ইনভেস্টমেন্ট হবে না।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলায় সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের আমন্ত্রণে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ তত পিছিয়ে যাবে। বিনিয়োগ আসবে না। চাকরির সুযোগ তৈরি হবে না। জুডিসিয়াল সিস্টেম ভেঙে পড়বে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে। তাই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, চব্বিশের আগে ১৫ বছর আমাদের সিলেটের বহু নেতাকর্মী ও ভাই গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় রক্ত দিয়েছেন। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, হাতে-পায়ে বেড়ি দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। চব্বিশে আমার ভাই, আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। আমাদের ভোটের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট এসেছি।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা গণতন্ত্র, ভোট, পত্রিকা বন্ধ করেছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। সেই অবস্থায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র এনে নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমরা সেই দল সেই যে দল স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, কর্মস্থান সৃষ্টি করতে চাই এবং বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র করতে চাই। সেজন্য বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছি। আর এই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সময় ঠিক করেছেন, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, কেউ যাতে আঙুল তুলে কথা না বলতে পারে, আমরা জমি দখল করেছি, চাঁদাবাজি করেছি, জায়গা দখল করেছি। জয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। মানুষের কাছে যান। মানুষ যাতে বুঝতে পারে বিএনপি ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে একমত সব দল বলে জানিয়েছিন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জরুরি অবস্থা যেন ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে একমত হয়েছে সবাই।সোমবার (৭ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১০ম দিনের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সবাই একমত হয়েছি যে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার না হয়, কারণ অতীতে এর অপব্যবহার হয়েছে। কিন্তু আমাদের মত হলো-এটা নিয়ে জাতীয় সংসদে বিস্তারিত ডিবেট হওয়া উচিত। কারণ এর সঙ্গে জড়িত কিছু বিস্তারিত আইন প্রণয়নের বিষয় রয়েছে। সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হতে পারে। সেগুলো সেখানেই বিবেচনা করা উচিত।কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির যে বিধান রয়েছে, তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতের ক্ষমতাও একরকম স্থবির করে দেয়। এ কারণে সংবিধানের ১৪১ (ক), (খ), (গ) অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি করা যাবে না। সেই সময়ও সংবিধান-নিশ্চিত নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার খর্ব করা যাবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, বাংলাদেশ তত পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন না হলে বিনিয়োগ আসবে না, ইনভেস্টমেন্ট হবে না।সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলায় সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের আমন্ত্রণে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ তত পিছিয়ে যাবে। বিনিয়োগ আসবে না। চাকরির সুযোগ তৈরি হবে না। জুডিসিয়াল সিস্টেম ভেঙে পড়বে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে। তাই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।তিনি বলেন, চব্বিশের আগে ১৫ বছর আমাদের সিলেটের বহু নেতাকর্মী ও ভাই গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় রক্ত দিয়েছেন। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, হাতে-পায়ে বেড়ি দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। চব্বিশে আমার ভাই, আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। আমাদের ভোটের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট এসেছি।তিনি আরও বলেন, হাসিনা গণতন্ত্র, ভোট, পত্রিকা বন্ধ করেছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। সেই অবস্থায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র এনে নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমরা সেই দল সেই যে দল স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, কর্মস্থান সৃষ্টি করতে চাই এবং বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র করতে চাই। সেজন্য বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছি। আর এই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সময় ঠিক করেছেন, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, কেউ যাতে আঙুল তুলে কথা না বলতে পারে, আমরা জমি দখল করেছি, চাঁদাবাজি করেছি, জায়গা দখল করেছি। জয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। মানুষের কাছে যান। মানুষ যাতে বুঝতে পারে বিএনপি ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে আশাবাদী বিএনপি। নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগিয়ে যাবে।সোমবার (৭ জুলাই) সকালে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাজ্য বিএনপি'র সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিকের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মাহফিলে যোগদান করবেন।এছাড়া দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার সিলেট জেলার সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে একটি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই তিনি হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারতে যান। পরে হযরত শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপিকে ‘সংস্কারবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রবিবার (৬ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, “মিডিয়ার একটি অংশ এবং কিছু ব্যক্তি বিএনপির সংস্কার বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন, যেগুলো সত্য নয়। বিএনপি সবসময় সংস্কারে বিশ্বাস করে। ২০১৬ সালে খালেদা জিয়ার ‘ভিশন-২০৩০’, ২০২২ সালে ঘোষিত ২৭ দফা এবং ২০২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি তারই প্রমাণ।”তিনি আরও বলেন, “এই ৩১ দফা নিয়ে আমরা দেশজুড়ে অসংখ্য কর্মসূচি পালন করেছি, জনগণের কাছে গিয়েছি, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অথচ একটি মহল এখন পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করতে চায়।”১৫ বছরের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি যে গণতন্ত্রের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে, তা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সমাবেশ, কর্মসূচি, পুলিশের দমন-পীড়ন—সবই আপনারা দেখেছেন, কভার করেছেন। এরপরও এ ধরনের প্রশ্ন তোলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”তিনি অভিযোগ করেন, “একটি চক্র বিএনপিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রচারণায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। দেশের মানুষ বিএনপিকে চেনে এবং বিএনপির শাসনামলে যেসব ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তা তারা মনে রেখেছে।”মির্জা ফখরুল বলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মুক্তবাজার অর্থনীতি—এসবই বিএনপির হাত ধরেই বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব ছিল সংস্কারেরই অংশ। সুতরাং, বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলার কোনো সুযোগ নেই।”সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে যারা চায়, তারা গণতন্ত্রের শক্তি হতে পারে না। তারা ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের’ ধারকও নয়।”জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, দেশে যেন কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিজম পুনরায় জন্ম না নেয়। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি, কোনো ব্যক্তি যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে না পারে। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির এ সিদ্ধান্তই তা প্রমাণ করে।”তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের কার্যকারিতা যেন ব্যাহত না হয়, সে কারণে আমরা এনসিসির মতো কোনো অতিরিক্ত ‘বডি’ গঠনের ধারণার সঙ্গে একমত হইনি। এটাই আমাদের অবস্থান।”সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং তারা আশাবাদী যে শিগগিরই সাংবিধানিক বিষয়গুলোতে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।ভোরের আকাশ//হ.র