রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার চায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি দেশে যত শীঘ্রই সম্ভব সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।সোমবার (৯ জুন) বিকেলে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা বিএনপির নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনের অবসান হলেও তারা দেশে এবং বিদেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। তাই দেশে যেন আর ফ্যাসিবাদী শক্তির জন্ম না হয়, সে জন্য বিএনপিসহ সব জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও এগিয়ে নিতে হবে।পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্নাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।পরে সালাউদ্দিন আহমেদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দ্বিতীয় শহিদ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের করব জিয়ারত করেন ও তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ জুন ২০২৫ ০৮:৪৭ পিএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক আমরা তা কোনওভাবেই চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়িত্ব তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত না এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাদের এখতিয়ারে থাকা উচিত না। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত হবে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, এমন বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। কিন্তু দলীয় অবস্থান থেকে আমরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে আস্থাভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনসহ জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। এর বাইরে সব বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে।তিনি বলেন, রাষ্ট্রে যদি কোনো কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি দল নয়, সমস্ত দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।রাষ্ট্রে যদি কোনও কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি দল নয়, সমস্ত দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে জানিয়ে সালাগউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি ছাড়া অন্য দুই বিষয়ে প্রায় সবাই-ই একমত হয়েছেন। কেউ কেউ বিস্তারিত আলাপের জন্য সময় চেয়েছেন। এই তিনটা বিষয়ে যদি একমত হওয়া যায়, তবে আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা আলাদাভাবে উপস্থাপন করব এবং আমাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে এটা থাকবে।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নিয়েও স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনওভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হোক চাই না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়িত্বের সময় ৪ মাস প্রস্তাব করেছিলেন। আমাদের দলীয় মত হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়িত্ব তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত না এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাদের এখতিয়ারে থাকা উচিত না।সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব সম্পর্কেও মত দেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, তাদের প্রস্তাবনা ছিল সব স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী দলের হবে। এটা বাস্তবতা বহির্ভূত। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে হতে পারে, কিন্তু সবাই যদি বিরোধী দল থেকে হয়, তবে সরকার তার কার্য পরিচালনা করতে সবসময় বাধাগ্রস্ত হবে।সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঈদের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনায় বসছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং জুলাই মাসে একটি ঐকমত্যভিত্তিক ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের লক্ষ্যেই ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই আলোচনা চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৩ জুন ২০২৫ ০৫:৫৫ পিএম
ড. ইউনূস থাকতে না চাইলে জাতি বিকল্প বেছে নেবে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আর থাকতে না চাইলে জাতি বিকল্প বেছে নেবে।শুক্রবার (২৩ মে) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় নির্বাচন, করিডোর ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে স্বাগতও জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।ড. ইউনূসের পদত্যাগ ইস্যুতে দলের অবস্থান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না। তবে, তিনি থাকতে না চাইলে জাতি বিকল্প বেছে নেবে। সম্প্রতি কয়েক দফায় ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েও বিএনপি তার সময় পায়নি অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য আর কয়েকদিন অপেক্ষা করে তারপর সরকারকে সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্নে করণীয় চূড়ান্ত করবে বিএনপি।ভোরের আকাশ/জাআ
২৪ মে ২০২৫ ০৭:৪০ এএম
ইশরাককে দ্রুত শপথ না পড়ালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, অল্পসময়ের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আদালত ঘোষিত ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা হোক। তা নাহলে ঢাকার চলামান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে। সোমবার বিকালে তিনি সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঢাকার রাজপথে নগরভবনে আজকে কয়েকদিন যাবত জনগণ ঘেরাও করে রেখেছে। আল্টিমেটাম দিয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে। আদালতের রায়ে যিনি মেয়র হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন যার নামে গেজেট প্রকাশ করেছে আদালতের রায় মেনে তাকে আপনারা শপথ গ্রহণ করাবেন না। বিভিন্ন রকমের কলাকৌশল করছেন। তাহলে কি এটা আইনের শাসন হলো?সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই সংস্কারের ফল আমাদের পেতে হলে একটি নির্বাচিত সংসদের বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচনের কথা বললে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব নারাজ হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন দাবি করবে না? তো কী দাবি করবে? কিছু কিছু উপদেষ্টা বলছেন তারা নাকি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। গণঅভ্যুত্থান নাকি তাদের নির্বাচিত করেছে। তারা যদি সেভাবে নির্বাচিত হয়ে যায় বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা কেন আছে? নির্বাচন কমিশনের কাজ কী? এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক পন্থায় হাঁটছেন। আপনারা কথা বলছেন গণতন্ত্রের বিপরীত ভাষায়। আপনারা কাজ করছেন আইনের শাসনের বিরুদ্ধে। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না। বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হত না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসমবায়-বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।সভায় সূচনা বক্তব্য দেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে দায়িত্বে) তারিকুল আলম তেনজিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ