ড. ইউনূস থাকতে না চাইলে জাতি বিকল্প বেছে নেবে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আর থাকতে না চাইলে জাতি বিকল্প বেছে নেবে।
শুক্রবার (২৩ মে) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় নির্বাচন, করিডোর ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে স্বাগতও জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
ড. ইউনূসের পদত্যাগ ইস্যুতে দলের অবস্থান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না। তবে, তিনি থাকতে না চাইলে জাতি বিকল্প বেছে নেবে।
সম্প্রতি কয়েক দফায় ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েও বিএনপি তার সময় পায়নি অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য আর কয়েকদিন অপেক্ষা করে তারপর সরকারকে সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্নে করণীয় চূড়ান্ত করবে বিএনপি।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গোপালগঞ্জ থেকে গাড়িবহর নিয়ে খুলনায় পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) কেন্দ্রীয় নেতারা।বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়িবহর নিয়ে তারা খুলনা শহরে প্রবেশ করেন।তাদের কেউ কেউ খুলনা সার্কিট হাউজে এবং কেউ কেউ হোটেল অবস্থান করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।এর আগে বিকেল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া এনসিপির নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া প্রহরা ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিরাপদে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান।তিনি লিখেছেন, গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশেরই অংশ। যতদূর জানতে পেরেছি, এনসিপির নেতৃবৃন্দ স্বাভাবিক নিয়মে সর্বপর্যায়ের প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আলাপ-আলোচনা করে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়েছেন। এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার।তিনি লিখেছেন, কিন্তু এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, কার্যত মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অতি দ্রুত সরকারকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ইতিহাসের পূর্ণ দায় সরকারের ওপরেই বর্তাবে।তিনি আর লিখেছেন, আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে সকল ধরনের উশৃঙ্খলতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই এবং শান্তিপ্রিয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে তার সাহায্য প্রেরণ করুন। আমিন।এরআগে, আজ এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল গোপালগঞ্জ জেলায়। এই পদযাত্রার আগেই কয়েক দফায় হামলা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপরও জেলার পৌরপার্কে সমাবেশ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশ শেষে দলটির গাড়িবহরে আবারো হামলার ঘটনা ঘটে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সারাদেশের মানুষকে গোপালগঞ্জে যাওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়ার এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।সারজিস বলেন, গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালরা আমাদের ওপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে।আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, নাহয় ফিরব না। সারা বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জে ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনা করার আজকেই শেষ দিন।এদিকে দুপুর আড়াইটার পর শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ স্থলে থেকে ফেরার পথে চৌরঙ্গী মোড়ে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আছেন।এর আগে, এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পদযাত্রায় দফায় দফায় হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।সংগঠনটি ফেসবুক পেজের পোস্টে জানায়, গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারা দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।এদিকে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ। এরই মধ্যে জেলা সার্কিট হাউজে আশ্রয় নিয়েছেন নাহিদ, হাসনাত, সারজিসসহ এনসিপির নেতারা।এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশের মঞ্চেও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সমাবেশ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে পৌরপার্ক এলাকা ত্যাগ করার কিছু সময় পর হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর।ভোরের আকাশ/এসএইচ