ফাইল ছবি
গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছেন, গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশেরই অংশ। যতদূর জানতে পেরেছি, এনসিপির নেতৃবৃন্দ স্বাভাবিক নিয়মে সর্বপর্যায়ের প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আলাপ-আলোচনা করে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়েছেন। এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার।
তিনি লিখেছেন, কিন্তু এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, কার্যত মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অতি দ্রুত সরকারকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ইতিহাসের পূর্ণ দায় সরকারের ওপরেই বর্তাবে।
তিনি আর লিখেছেন, আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে সকল ধরনের উশৃঙ্খলতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই এবং শান্তিপ্রিয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে তার সাহায্য প্রেরণ করুন। আমিন।
এরআগে, আজ এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল গোপালগঞ্জ জেলায়। এই পদযাত্রার আগেই কয়েক দফায় হামলা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপরও জেলার পৌরপার্কে সমাবেশ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশ শেষে দলটির গাড়িবহরে আবারো হামলার ঘটনা ঘটে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু আর নেই। ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।আজ (বুধবার) বাদ আসর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও রংপুর বিভাগীয় জিয়া মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়েন উদ্দীন।এদিকে বিএনপি সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর হঠাৎ মৃত্যুতে নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই নগরী নুরপুরস্থ তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। জানা গেছে, আনিছুর রহমান লাকু আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জেলা সম্মেলনে দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দাওয়াত দিতে ঢাকায় যান। সেখানে সাংগঠনিক কাজ শেষে রংপুর ফেরার পথে বগুড়ার শেরপুরে পৌঁছার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি ইতোপূর্বে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার মিথ্যা মামলায় ১০ বছরের সাজা নিয়ে দীর্ঘদিন জেলখানায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় একাধিক মামলা ছিল।তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিল্লুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আল ইমরান সুজন, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ লাবু, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন- আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেলসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গণহত্যায় অংশ নেয়নি আওয়ামী লীগের এমন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভাই-বোন সম্বোধন করে তাদের জন্য দোয়া করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এ দোয়া করেন তিনি।দোয়া করার সময় দুই হাত উপরে তুলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওসমান হাদি বলেন, আল্লাহ, আওয়ামী লীগের যে ভাইয়েরা হাসিনার সঙ্গে গণহত্যায় অংশ নেয়নি; কিন্তু এখনো হাসিনার পক্ষ সমর্থন তাদের অন্তরে সত্য প্রকাশ করে দেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক ভাই-বোনদের বোঝার সুযোগ দেন যে আবরার ভাই তাদের নিজের ভাই, আবরার তাদের নিজের সন্তান। তিনি আরও বলেন, হে আল্লাহ, আবরার ভাইকে আপনি জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন।এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েটসংলগ্ন পলাশী গোল চত্বরে ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যয় হয়েছে ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ‘শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোল চত্বরে আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ ও পলাশী ইন্টারসেকশন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ স্থাপনাটি নির্মাণ করেছে ডিএসসিসি।আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভের প্রতিটি স্তম্ভ সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে নির্মিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আট স্তম্ভের অবয়বের চেয়ে এতে লিখে রাখা বিষয়গুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এই বদ্বীপের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।’তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার নানা ভাস্কর্য ও প্রকল্প নির্মিত হলেও বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়। অথচ আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। চলতি মাসের মধ্যেই এসব আসনে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে। দলীয় সূত্র বলছে, বাকি আসনগুলোর কিছু জোট ও সমমনাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, আর বাকিগুলোতে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এখনও চলমান।দলীয় সূত্র জানায়, নভেম্বরে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে বিএনপি ও তাদের জোট। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।গত সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বৈঠকে নেতারা জানান, অধিকাংশ আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন—কোনো কোনো আসনে ১৫ থেকে ২০ জন পর্যন্ত। সেখান থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সিনিয়র কিছু নেতা বাদ পড়লেও যাতে দলীয় কোন্দল না হয়, সে বিষয়েও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্তে ইতোমধ্যে পাঁচ দফা জরিপ সম্পন্ন করেছে বিএনপি। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত এই জরিপগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিচালিত হয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন তারেক রহমান।স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। কখন ও কীভাবে প্রার্থীদের নাম জানানো হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।”সমমনা ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। সেপ্টেম্বরে শরিক দলগুলোর কাছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা চাওয়ার পর এখন আলোচনা চলছে। সূত্র জানায়, অধিকাংশ শরিক দলই তালিকা জমা দিয়েছে, কেবল দু-একটি দল এখনো চূড়ান্ত করেনি।সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শরিকদের জন্য প্রায় ৫০টি আসন ছাড়ার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে আসনসংখ্যা চূড়ান্ত হবে দর-কষাকষির মাধ্যমে। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রত্যেক আসনেই বিএনপির একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছে। অনেক আসনে ১০-১২ জন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন।”একই বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে সংসদ নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি।নেতারা মনে করেন, সংবিধানে গণভোট আয়োজনের বাধা এখন আর নেই। সরকার চাইলে অধ্যাদেশ বা নির্বাচনী আইনে সংশোধন এনে নির্বাচন কমিশনকে একই দিনে গণভোটের ক্ষমতা দিতে পারে। এতে সময় ও অর্থ—উভয়ের সাশ্রয় হবে বলে মত দিয়েছেন তারা।তবে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আলাদা গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হয়। বিএনপি নেতারা মনে করেন, পৃথক গণভোট আয়োজনের ফলে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে এবং জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে।ভোরের আকাশ//হর
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হওয়ায় তারা সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুনভাবে সংযোজিত বিধান অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কিংবা থাকা—দুই ক্ষেত্রেই অযোগ্য বিবেচিত হবেন।সোমবার (৬ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি কোনো ব্যক্তি স্থানীয় সরকার সংস্থার সদস্য, চেয়ারম্যান, মেয়র, প্রশাসক বা কমিশনার পদেও নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। একইভাবে তিনি প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে বা সরকারি দায়িত্বেও নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হবেন।তবে কেউ যদি ট্রাইব্যুনালে অব্যাহতি বা খালাস পান, সেক্ষেত্রে এই বিধান তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর ইতোমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনি পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।ভোরের আকাশ//হর