ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫ ০৮:৪৪ এএম
জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
অমৃত সাগর কলার পর এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে নরসিংদীর জনপ্রিয় ফল লটকন। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীরও জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর হাতে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ তুলে দেওয়া হয়। লটকনকে নিবন্ধিত ঘোষণা করায় আনন্দ প্রকাশ করেছে নরসিংদীর প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
এর আগে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) সহযোগিতায় ২০২৩ সালেই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিল নরসিংদী জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ পর্যালোচনার পর নরসিংদীর লটকনকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই ফলটি নরসিংদী জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ফলের পাশাপাশি স্বাদে-গন্ধে ও পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এই ফল।
অন্যদিকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর। এটি এ জেলার প্রথম কোনো জিআই পণ্য। বুধবার বিকেলে ফরেন সার্ভিসে একাডেমিতে ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও নিবন্ধনকৃত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের হাতে নিবন্ধন সনদটি তুলে দেওয়া হয়। ‘জেলা প্রশাসক মুন্সীগঞ্জ’ এই সনদের স্বত্বাধিকারী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান।
জেলা প্রশাসন জানায়, বহু প্রজন্ম ধরে স্থানীয় কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি এই সুস্বাদু মিষ্টি মুন্সীগঞ্জবাসীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে। জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এই পণ্যের মান ও স্বাতন্ত্র্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেল, যা স্থানীয় উৎপাদকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মত প্রকাশ করেন।
ভোরের আকাশ/এসআই