ঢাকা দক্ষিণ সিটির সব নাগরিক সেবা বন্ধ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থক ও কর্মচারী ইউনিয়নগুলোর কর্মবিরতির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সব নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে নগর ভবন তালাবদ্ধ থাকায় ভবনের ভেতরের সব সেবা বন্ধের পাশাপাশি যে ৮টি আঞ্চলিক অফিস নগর ভবনের বাইরে রয়েছে সেগুলোও বন্ধ রয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই নগর ভবনের ভেতরকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। গতকাল নগর ভবনের বাইরের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোও বন্ধ ছিল। এর ফলে আমরা কোনো নাগরিক সেবা ঢাকা দক্ষিণ সিটির নাগরিকদের দিতে পারছি না।
ডিএসসিসির কর্মচারী ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে। তারা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে চলছে অচলাবস্থা।এই দাবিতে গতকাল বুধবার আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা। ১১টার পর নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবি জানান কর্মচারীরা। সে সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতো গতকালও নগর ভবনের বিভিন্ন বিভাগের অফিসে তালা মেরে রাখেন তারা।
তারা বলছেন, সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়ে ঢাকাবাসীর এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে। আমাদের দাবি মানা না হলে এরপর থেকে পরিচ্ছন্নতা সেবা, ময়লা পরিবহন সেবা এবং বিদ্যুৎ সেবাসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংগঠনগুলো হলো- স্ক্যাভেঞ্জার অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে আর কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় নীতিগতভাবে এই প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।বুধবার (৯ জুলাই) রাতে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে আমাদের সিডিউলভুক্ত হচ্ছে না। আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’জানা গেছে, নাগরিক ঐক্য তাদের পুরনো প্রতীক ‘কেটলি’ পরিবর্তে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। একইভাবে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-ও দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করে নিবন্ধনের সময়। এই দ্বিমুখী দাবির মধ্যেই শাপলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচন কমিশন মনে করে, এটি কোনো রাজনৈতিক দলকে দেওয়া উচিত নয়। কমিশনার মাছউদ বলেন, ‘সংবিধানে জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে। এ দুটোর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আইন ও বিধিমালা আছে। সেগুলো মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি এবার প্রতীকের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। আগের ৬৯টি থেকে এবার কমপক্ষে ১১৫টি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিল সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে ভেটিংয়ের জন্য।কমিশনের সূত্র জানায়, তফসিলে ‘শাপলা’ থাকবে না—এই সিদ্ধান্ত এখন চূড়ান্ত। কারণ এটি জাতীয় প্রতীক এবং সেটিকে রাজনৈতিক প্রতীকে পরিণত করা সংবিধানের ভাবনার পরিপন্থী।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষ হলে রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য তিনি আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর হতে বলেছেন।প্রেস সচিব আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
জুলাই আন্দোলন স্মরণে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।বুধবার (৯ জুলাই) অপারেটরদের এই নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।এতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন, জন আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষ্যে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা এবং গত ৮ জুলাই কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটরা আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ফ্রি ডাটা দেবে। এ ছাড়া অপারেটরগুলো গ্রাহকদের ফ্রি ডাটা দেওয়ার বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে আগেই অবহিত করবে।এসএমএসটি সম্পর্কে বিটিআরসি জানায়, কেউ কেড়ে নেবে না ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ১৮ জুলাই পাচ্ছেন ১ জিবি ডাটা ফ্রি। মেয়াদ ৫ দিন।বিটিআরসি অপারেটরদের এই পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এবং দিবসটি পালনে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিনামূল্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহতদের জন্য ঢাকায় ফ্ল্যাট দিতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। আহতদের জন্য ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা টাকা ব্যয়ে দেড় হাজারের বেশি ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। জানা গেছে, মিরপুর ৯ নম্বরে সরকারি জমিতে এসব ফ্ল্যাট তৈরি করবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ফ্ল্যাটের নকশাও তৈরি করেছে সংস্থাটি। সরকারের কোষাগার থেকে ফ্ল্যাট নির্মাণের টাকা দেওয়া হবে।নকশায় দেখা যাচ্ছে, এসব ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট। প্রতিটি ফ্ল্যাটে দুটি শয়নকক্ষ (বেডরুম), একটি ড্রয়িংরুম (বসার ঘর), একটি লিভিং রুম (বিশ্রাম ঘর), একটি খাবার কক্ষ, রান্নাঘর ও তিনটি শৌচাগার বা টয়লেট থাকবে। একটি কক্ষ থাকবে শুধু আহত ব্যক্তির জন্য, যিনি পঙ্গু বা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ওই কক্ষে তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।এ বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির বুধবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমকে জানান, ভবন নির্মাণে সব মিলিয়ে চার বছর সময় লাগবে। ফ্ল্যাট কারা পাবেন সেটি পরে নির্ধারিত হবে। এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণে। জুলাই অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বসে এ তালিকা ঠিক করবে। আহত ব্যক্তিদের ভয়াবহতা অনুসারে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।গত ৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে ‘ঢাকার মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মক্ষমতা হারানো জুলাই যোদ্ধা পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান প্রদানে এক হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শিরোনামে প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি মাসেই জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা দুটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাবে। এ দুটি প্রকল্পই ২০২৯ সালে শেষ হবে।ভোরের আকাশ/জাআ