বুধবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
গ্রিড উপকেন্দ্রের সম্প্রসারণ কাজের জন্য আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা পিরোজপুর ও ঝালকাঠীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। নির্ধারিত সময়ের পর সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিজিসিবি জানায়, গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভান্ডারিয়া ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের বে-সম্প্রসারণ কাজ চলবে। এজন্য উপকেন্দ্রের বরিশাল-ভান্ডারিয়া ও ভান্ডারিয়া-বাগেরহাট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে।
এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) ও কাউখালী উপজেলা, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায়।
পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ এ সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নির্বাচন আয়োজন বাংলাদেশের পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে সবাইকে জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষত এখনও গভীর এবং স্মরণীয়। তাদের ১৫ বছরের শাসনামলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব চরম হুমকির মুখে পড়েছে।"তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ অতীতে বারবার প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। অথচ, নির্বাচন হতে হবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন।”প্রেস সচিব আরও জানান, একটি অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছে। এতে জনগণের স্বার্থ এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/হ.র
নাটোরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মানবিক গুণ বিকাশে শিক্ষকের বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক যেন বাবা-মায়ের চেয়েও ঘনিষ্ঠ হয়—এই সম্পর্কই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সত্যিকারের শিক্ষায় আলোকিত করতে পারে।মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।তিনি বলেন, “শিশুরা কেমন পড়াশোনা করছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তারা কী ধরনের সেবা পাচ্ছে তা নিয়মিত খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের সন্তানরা যদি শুধু আক্ষরিক জ্ঞান অর্জন করে কিন্তু তার অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন না করে, তাহলে সেটি প্রকৃত শিক্ষা হবে না।”ডা. বিধান আরও বলেন, “শুধু নৈতিক শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের আচরণগত শিক্ষায়ও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। দেখা যায়, কেউ লিখতে পারলেও সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না—এ ধরনের দুর্বলতা দূর করতে শিক্ষকদের আন্তরিক হতে হবে।”সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা কর্মকর্তা। ভোরের আকাশ/হ.র
বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ, অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিনসহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।অন্যরা হলেন- আকিজ উদ্দিনের স্ত্রী রোখসানা খাতুন, মা রবিয়া খাতুন, বোন হাসমত আরা, শ্যালক গোলামুর রহমান, শারমিন আক্তার শামীমের স্বামী নাছির উদ্দিন, নাছির উদ্দিনের ভাই মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন, বোন হোসনে আরা বেগমের স্বামী মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী মো. আলমাছ আলী, বেদার উল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, এস. এম জামাল উদ্দিন।দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) তাহাসিন মুনাবীল হকের করা আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি বেনামে ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচার করেছেন। তদন্তে দেখা গেছে, এসব টাকা মানিলন্ডারিং অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব হয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে চলে গেলে দুদকের অনুসন্ধান ব্যাহত হবে, এমন আশঙ্কা থেকে আদালতের কাছে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।সম্প্রতি এস আলম গ্রুপকে কেন্দ্র করে ব্যাংকিং খাতে বড়সড় অনিয়ম ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়। ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক থেকে বেনামে বিশাল অঙ্কের ঋণ তুলে বিদেশে অর্থ পাচার, সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংক।এই নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে যে, ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হলেও অনিয়মে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে—পাঁচ ব্যাংকের টাকা তুলে বিদেশে নেওয়ার মতো অপারেশন দীর্ঘ সময় কিভাবে অজানাই থেকে গেলো?দুদকের যৌথ তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের সম্পদের হিসাব তলব এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের সম্ভাবনাও রয়েছে।এটি শুধু একটি তদন্তের সূচনা, আর এতে দেশব্যাপী আলোচিত ‘ব্যাংক লুটপাট’ কেলেঙ্কারির অনেক অজানা পর্দা উন্মোচিত হতে পারে। ভোরের আকাশ/হ.র
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে। তবে এবার লক্ষ্য একটাই—সিন্ডিকেটমুক্ত অভিবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যে আগামী ১৫ মে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।এ বিষয়ে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান সরকারের আমলেই মালয়েশিয়া শ্রমবাজারকে সিন্ডিকেটের করালগ্রাস থেকে মুক্ত করার এটিই উপযুক্ত সময়। অতীতে ২০১৬-১৮ সালে মাত্র ১০টি এবং ২০২২-২৪ সালে ২৫ থেকে ১০০ এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সীমিত এজেন্সিকে মুনাফা এনে দেওয়ার কারণে এই বাজারে দুর্নীতি, অতিরিক্ত খরচ এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে প্রতি কর্মীকে গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১.৫২ লাখ টাকাই ছিল অবৈধ চাঁদা। এইভাবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের তালিকায় রয়েছে প্রবাসী ও প্রাক্তন সরকারি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ—যেমন বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন (স্বপন), তার সহযোগী দাতোশ্রী আমিন নূর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সচিব মনিরুস সালেহীন, সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদসহ আরও অনেকে।অভিযোগ রয়েছে, এদের যোগসাজশেই সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এবং হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।বিশেষজ্ঞ শরিফুল হাসান বলেন, এফডব্লিউসিএমএস-এর মতো অনলাইন সিস্টেমকে অটোমেটেড স্বচ্ছ পদ্ধতিতে রূপান্তর না করা পর্যন্ত সিন্ডিকেট নির্মূল সম্ভব নয়।শ্রমিকদের বৈধকরণও গুরুত্বপূর্ণ, যারা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করছেন, তাদের নিয়মিত করতে হবে।অতীতে প্রতারিত হওয়া ১৮ হাজার কর্মীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সরকার মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে পুরনো সিন্ডিকেটের ফিরিয়ে আনার যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে প্রস্তুত। শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলেও তা হতে হবে সবার জন্য সমান সুযোগের ভিত্তিতে।সুশাসন ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নতুনভাবে চালু হওয়ার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকার চাইছে, দেশের গরিব ও খেটে খাওয়া কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে—যেন আর কেউ প্রতারণার শিকার না হন। ভোরের আকাশ/হ.র