বিভেদ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, "বর্তমান সংকটকালে বিভেদ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে এবং গণহত্যাকারীদের আরও শক্তিশালী করে তুলবে।" মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, “খুনি সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধের মতো একটি ঐতিহাসিক ঘটনার পর আমাদের উচিত সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য গড়ে তোলা। এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যে যে কোনো ধরনের বিভেদ কেবল শত্রুপক্ষকে সুযোগ করে দেবে এবং আমাদের দাবির বাস্তবায়ন ব্যাহত করবে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ছিলাম বলেই গোপন আওয়ামীপন্থিরা আমাদের বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। তবে তাদের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। আমাদের দাবি আংশিক বাস্তবায়িত হলেও পূর্ণ বাস্তবায়নের আগে যে কোনো বিভক্তি আমাদের আন্দোলনকে দুর্বল করে দেবে।”
জুলাই মাসকে সামনে রেখে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কোনো ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত হিসাব-নিকাশ যেন আমাদের ঐক্য বিনষ্ট না করে।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “এই সময়টা অস্তিত্বের লড়াইয়ের সময়। কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থ যেন এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব না পায়। অন্যথায় ইতিহাস এবং জনতার আদালতে দায়ী হিসেবে সেই নামগুলো চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, "বর্তমান সংকটকালে বিভেদ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে এবং গণহত্যাকারীদের আরও শক্তিশালী করে তুলবে।" মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।সারজিস আলম বলেন, “খুনি সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধের মতো একটি ঐতিহাসিক ঘটনার পর আমাদের উচিত সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য গড়ে তোলা। এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যে যে কোনো ধরনের বিভেদ কেবল শত্রুপক্ষকে সুযোগ করে দেবে এবং আমাদের দাবির বাস্তবায়ন ব্যাহত করবে।”তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ছিলাম বলেই গোপন আওয়ামীপন্থিরা আমাদের বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। তবে তাদের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। আমাদের দাবি আংশিক বাস্তবায়িত হলেও পূর্ণ বাস্তবায়নের আগে যে কোনো বিভক্তি আমাদের আন্দোলনকে দুর্বল করে দেবে।”জুলাই মাসকে সামনে রেখে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কোনো ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত হিসাব-নিকাশ যেন আমাদের ঐক্য বিনষ্ট না করে।”সারজিস আলম আরও বলেন, “এই সময়টা অস্তিত্বের লড়াইয়ের সময়। কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থ যেন এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব না পায়। অন্যথায় ইতিহাস এবং জনতার আদালতে দায়ী হিসেবে সেই নামগুলো চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”ভোরের আকাশ/হ.র
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন যারা সংস্কারের কথা বলছেন তাদের কারো চেহারা আমরা আগে দেখিনি। আন্দোলনের সময় রাস্তায়ও ছিল না তারা। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে। এখানে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। আমরা ৩১ দফা সংস্কার দিয়েছি। তার আগে বিএনপি ২৭ দফা সংস্কার দিয়েছে। তার সাত বছর আগে খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টের পলায়নের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে যে পরিবর্তন আসছে সেটা কি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো? আমরা ধারণ করতে পারবো? যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নেই। তিনি আরও বলেন, আপনি যত সংস্কারের কথা বলবেন দিনের শেষে সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দেইনি যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। বাংলাদেশের সংস্কার হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের মাধ্যমে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেসব সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য হবে সেগুলোর জন্য আমরা প্রস্তুত। দেরি কেন? আমরা কেন জানতে পারছি না কোথায় ঐকমত্য হয়েছে? সব রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়ে বসে আছে। আমরা অপেক্ষা করছি ঐকমত্য কোথায় হবে। তারাও বলছে ঐকমত্য করতে হবে। আমরাও বলছি ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে হবে। তাহলে কোথায় ঐকমত্যটা, আমরা জানতে পারছি না কেন? আমীর খসরু বলেন, কেউ যদি মনে করেন ওই শেখ হাসিনার মালিকানা এখন অন্য কারো হাতে গেছে তারা দেশের সিদ্ধান্ত নেবে, জনগণ কী চায় তার তোয়াক্কা করবে না; সেই মালিকানা কাউকে দেওয়া হয় নাই। বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। তারা সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে কী সংস্কার হবে। সংসদে আলোচনা হবে, বাইরেও আলোচনা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছেÑ বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই। আমরা অপেক্ষা করছি নির্বাচনের পর শুরু হবে। ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেনÑ জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ। এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে দলের আরেক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, মানবিক করিডোর নিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দল অন্ধকারে আছে। একই সঙ্গে করিডোরের কারণে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তিনি বলেন, কোনো আগ্রাসনে জড়িত না হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দুর্বল সরকারের পেছনে জনগণ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইলেও সরকার এখনো নির্বাচনের পথে যায়নি। একই অনুষ্ঠানে বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দিল্লির কাছে এমনভাবে আত্মনিবেদন করেছিলেন, সে আত্মনিবেদন থেকে তিনি ফিরে আসতে চাননি। তিনি সেটা করলেন এবং তার ইফেক্ট শুরু হয়েছে। এর যে বর্জ্য নদীতে পড়ছে, দিনকে দিন নদীগুলোর পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে আমরা ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। ভোরের আকাশ/আমর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কৌশলের রাজনীতি দেখতে চায় না।মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মন্তব্য করেছেন।চরমোনাই পীর বলেন, এখন সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি তাদের শাসন আমরা দেখেছি। নতুনভাবে তারা আমাদের কী উপহার দেবে, সেটা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে জেনে গেছে।পীর বলেন, নতুনভাবে আমাদের আর দেখার কিছু নেই। এখন শুধু একটিই নীতি-আদর্শ রয়েছে, সেই নীতি-আদর্শের মাধ্যমে দুনিয়াতে শান্তি, আখিরাতে মুক্তি। তার নাম ইসলাম।সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, আওয়ামী লীগের তো মৌলিকভাবে এ দেশে রাজনীতি করার কোনো যুক্তি নেই। তাদের যখন নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আওয়াজ তুলেছিল; তখন আমরা কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যানার নিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং খুনিদের বাতিলের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিই।তিনি বলেন, এখন কথা হলো অন্য যারা রয়েছে, তাদের যে কৌশল, এটাকে আমি ঘৃণা করি। আমি তাদের এই কৌশলকে ধিক্কার জানাই। কারণ, হাজার হাজার মায়ের কোল সন্তানহারা হয়েছে। আর এই খুনিদের নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে টালবাহনা, এটা বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। এ জন্য তারা নাকি কৌশল করছে। এই কৌশলের রাজনীতি বাংলাদেশে মানুষ দেখতে চায় না।সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আলেম ও সমাজসেবক হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান দিদারী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, রাজশাহী জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগরের সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ।রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা পাঁচ দফার আলোকে বক্তব্য দেন। ভোরের আকাশ/এসআই
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার (১৩ মে) রাত ১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।জানা যায়, জিনাত সোহানা সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান হলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। এছাড়া তাঁর স্বামী মোহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের আওয়ামী লীগের সভাপতি। পুলিশ জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা কোতোয়ালী থানা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিনাত সোহানা।এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে জিনাত সোহানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/আমর