ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ১২:৩০ এএম
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডিসহ ১৩ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ, অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিনসহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
অন্যরা হলেন- আকিজ উদ্দিনের স্ত্রী রোখসানা খাতুন, মা রবিয়া খাতুন, বোন হাসমত আরা, শ্যালক গোলামুর রহমান, শারমিন আক্তার শামীমের স্বামী নাছির উদ্দিন, নাছির উদ্দিনের ভাই মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন, বোন হোসনে আরা বেগমের স্বামী মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী মো. আলমাছ আলী, বেদার উল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, এস. এম জামাল উদ্দিন।
দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) তাহাসিন মুনাবীল হকের করা আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি বেনামে ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচার করেছেন। তদন্তে দেখা গেছে, এসব টাকা মানিলন্ডারিং অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব হয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে চলে গেলে দুদকের অনুসন্ধান ব্যাহত হবে, এমন আশঙ্কা থেকে আদালতের কাছে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
সম্প্রতি এস আলম গ্রুপকে কেন্দ্র করে ব্যাংকিং খাতে বড়সড় অনিয়ম ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়। ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক থেকে বেনামে বিশাল অঙ্কের ঋণ তুলে বিদেশে অর্থ পাচার, সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে যে, ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হলেও অনিয়মে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে—পাঁচ ব্যাংকের টাকা তুলে বিদেশে নেওয়ার মতো অপারেশন দীর্ঘ সময় কিভাবে অজানাই থেকে গেলো?
দুদকের যৌথ তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের সম্পদের হিসাব তলব এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এটি শুধু একটি তদন্তের সূচনা, আর এতে দেশব্যাপী আলোচিত ‘ব্যাংক লুটপাট’ কেলেঙ্কারির অনেক অজানা পর্দা উন্মোচিত হতে পারে।
ভোরের আকাশ/হ.র