প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ধ্যায় ৮ দলের বৈঠক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন দেশের আটটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় যমুনায় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকটিতে অংশ নেবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলামী পার্টি।
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এই বৈঠকে তার দলের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেবেন। একইসঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, নেজামে ইসলামী পার্টি এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে থাকবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো, আসন্ন নির্বাচন এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের পরিকল্পনা। রাজনৈতিক নেতারা এসব বিষয়ে তাদের মতামত ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেবেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছেন। ধারাবাহিক এই বৈঠকগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশন (বিপিসি)। এরপরই ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। রোববার (২৫ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।আজ সকালে সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে বিপিসি ও মালিক সমিতি। বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে সব দাবি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তা ছাড়া অন্যান্য দাবিগুলো দুই মাসের মধ্যে সুরাহা না হলে পুনরায় কর্মবিরতি যাবে বলেও জানান পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতারা।এর আগে জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ শতাংশ নির্ধারণসহ সাত দফা দাবিতে আজ সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ।কমিশন বৃদ্ধিসহ পেট্রোল পাম্প মালিকদের ৭ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে-১। সওজ অধিদফতরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা।২। পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলিয়া গণ্য করা।৩। বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা।৪। পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদফতর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল। ৫। বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ। ৬। ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা। ৭। বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না।রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরামের আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দরকে যেন ম্যানেজ করতে পারে, আমরা তা চাচ্ছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। আমরা চাই টার্মিনালে যেন তারা বিনিয়োগ করেন, ম্যানেজ করেন।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি, তারা তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রাম বন্দর সংস্কার করতে চাই, কিন্তু এটিকে কোনো দেশের হাতে তুলে দিচ্ছি না। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো যেন বন্দরের নির্দিষ্ট টার্মিনালগুলো পরিচালনা ও বিনিয়োগ করতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।এর আগে গত ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।ভোরের আকাশ/এসএইচ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার প্রতিবাদে সচিবালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। রোববার (২৫ মে) সকালে দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে শত শত কর্মচারী মিছিলে অংশ নেন। আজ সকাল ১০টার পরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল শুরু হয়। ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে নতুন ভবন, ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে আসে মিছিলটি। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করতে থাকেন।বিক্ষোভকারীরা বলেন, নতুন খসড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আরও সহজ করা হয়েছে। এতে চাকরি থেকে বরখাস্ত করাও সহজতর হবে, যা সরকারি কর্মচারীদের জন্য ভয়ংকর এক শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, অধ্যাদেশের খসড়ায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানের ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ পুনরায় সংযোজন করা হয়েছে। তাঁদের মতে, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলবে।সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশটি পুনর্বিবেচনা করে তা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা হলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, এরপর আইনি জটিলতা কী হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সর্বত্রই চলছে নানা আলোচনা- বিশ্লেষণ। আইনগত দিক থেকে অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ কতটা আছে, সরকার পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা আছে কিনা, এসব প্রশ্ন উঠছে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা নিয়ে আলোচনার শুরু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের মাধ্যমে।নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে পারেন, এমন খবর পেয়েই তার সঙ্গে দেখা করেছেন উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’।গতকাল শনিবার একনেক বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত এক সভা হয়। ওই সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে থাকছেন। উনি বলেননি যে উনি পদত্যাগ করবেন। অন্য উপদেষ্টারাও থাকছেন। আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমরা সে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি।’পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস ইউং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকারের ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার উদ্যোগ, বিচারপ্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’এর মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এনসিপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্ঠার বৈঠক হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের একটি সূত্র জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেন এবং ওই উপদেষ্টা পরিষদে তাকে না রাখার কথা বলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে অধ্যাপক ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে দেশের সরকার ব্যবস্থা কোন পথে চলবে? এটি কী পুনরায় গঠন করা যাবে?আইন কী বলছে : অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ আইনে কতটা আছে, এই প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন আইনজীবীরা। তাদের কেউ বলছেন, সুপ্রিমকোর্টের মতামত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। ফলে এখন অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করলে কোনো সাংবিধানিক সংকট হবে না; তখন নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে। অধ্যাপক ইউনূস চলে গেলে রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে দিতে পারেন, যে সরকার শুধু নির্বাচন করবে।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক পরিস্থিতিটাকে ব্যাখ্যা করেন ভিন্নভাবে। তিনি বলেন, আইনে কী বলা আছে, তা এখন ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কারণ ‘আইন অনুযায়ী কিছু হচ্ছে না।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ডিসেম্বরে পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিল করেছে হাইকোর্ট। যে অংশটি বাতিল করা হয়েছে তার ফলে দেশের সংবিধানে আবারো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসার পথ তৈরি হয়েছে।এ বিষয়টি তুলে ধরে শাহদীন মালিক বলেন, অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিল করে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর সুযোগ করা হলো, এই সংশোধনী করার ক্ষমতা তো সংসদ ছাড়া কারো নাই। তাই, এখন জোড়াতালি দিয়ে চলতে হবে। এখন আর আইনের ভূমিকা নাই। আইন অনুযায়ী কিছু হচ্ছে না। সব আইনের বাইরে হচ্ছে। আইনের প্রশ্ন এখন অবান্তর।’পদত্যাগ করলে তবেই নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর আটই অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান। তখন আদালত উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করানোর অনুমতি দেয়।এ বিষয়ে শাহদীন মালিক বলেন, ‘রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে সংবিধানের বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগের বড় দুই রায়ে বলা আছে-এটি করা যায় না। কোনো কিছুর দোহাই দিয়ে যা অসাংবিধানিক, তাকে সাংবিধানিক বলা যাবে না।’সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদও মনে করেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছিলো। তখন প্রয়োজনের তাগিদে একটি সরকার গঠন করা হয়েছে এবং সরকারের বৈধতা নিয়ে কেউ কোনো আপত্তি করে নাই, এটির আইনগত প্রশ্নও তখন উত্থাপন হয় নাই।’তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে কোনো সাংবিধানিক সংকট হবে না উল্লেখ করে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘উনি পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে। উনি যদি থাকেনও, নির্বাচন করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাম দিয়ে সরকার গঠন করা যাবে।’মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন ছিল। এখন তা নাই। এখন নির্বাচন দরকার। তাই, নির্বাচন যদি প্রয়োজনীয় হয়, তাহলে নতুন করে আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দরকার নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বর্তমানে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদও থাকতে পারে। আবার, রাষ্ট্রপতির মনোনয়নক্রমে নতুন করেও পরিষদ সাজানো যেতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের অন্তত ৯০ দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় আদালত থেকে রেফারেন্স আনা হয়েছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ওই রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন মনজিল মোরসেদ। তবে মুহাম্মদ ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে তার উপদেষ্টা পরিষদ কি বহাল থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ প্রধান উপদেষ্টা তাদের মনোনীত করেছেন যে আমার সাথে কাজ করেন। উনি না থাকলে অন্যদেরও থাকার সুযোগ নাই।’এ প্রসঙ্গে শাহদীন মালিক বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করলে পরবর্তী সরকার প্রধান নির্বাচনের জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একজন ব্যক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে যেতে হবে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ