সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ
১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জেও পেট্রোল পাম্প বন্ধ ও বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে ১০ দফা দাবিতে রবিবার (২৫ মে) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
এদিকে ভোর থেকে বাঘাবাড়ি অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে ডিপো এলাকা। ট্যাংকলরির শ্রমিকেরা অলস সময় কাটাচ্ছে। বাঘাবাড়ি অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানী তেল উত্তোলন বন্ধ থাকায় উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলা ছাড়াও টাঙ্গাইল, শেরপুর ও জামালপুরেও তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি চলছে। তবে এই কর্মসূচি ২ টা পর্যন্ত চলবে তাই ২ টার পর ডিপো থেকে তেল উত্তোলন চলবে। তখন চালকেরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তেল সরবরাহ শুরু করবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু আবদুল্লাহ খান। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খোঁজ নিতে ওয়ার্ডও পরিদর্শন করেন তিনি।রোববার (২৫ মে) বিকালে হাসপাতালে পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস ছোবহানসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।এসময় ইউএনও আবু আবদুল্লাহ খান হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। রোগীদের সেবার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও কথা বলেন, নেন সার্বিক চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে খোঁজ। সংশ্লিষ্টদের রোগীর সেবা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।হাসপাতালে ভর্তি রোগী ইদ্রিস হোসেন জানান, পেটে ব্যাথা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আগের তুলনায় অনেকটা চিকিৎসার মান উন্নত হয়েছে। ঔষধপত্র ঠিক মতো পাচ্ছেন। তবে, কিছু সমস্যা রয়েছেও বলে জানান সে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু আবদুল্লাহ খান পরিদর্শনকালে বলেন, চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের সাথে সৌজন্যমূলক কুশল বিনিময় এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার কথা শোনা হয়। এছাড়াও হাসপাতালের সমস্যা সমাধান করে সেবারমান আরও বাড়ানোর আশ্বাস দেন।ভোরের আকাশ/এসআই
নওগাঁর মান্দায় গনেশপুর ইউনিয়নের সতীহাটে কলার পাতা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে দুই জন আহত হয়েছে।রোববার (২৫ মে) সকালে উপজেলার ৫ নং গনেশপুর ইউনিয়নের সতীহাটে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন-মান্দা উপজেলার গনেশপুর গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে পারভেজ (২৬) এবং পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে কালাম (৩৮)।প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সতীহাটে সপ্তাহে ৩ দিন কলা বেচা-কেনা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল ১০ টার দিকে সতীহাট কলাহাটিতে কলা কেনা-বেচার এক পর্যায়ে কালাম নামে এক কলা ব্যাবসায়ী কলা কেনার পর তা কলার পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। সেখান থেকে পারভেজ নামের এক কলা ব্যাবসায়ী অনুমতি ছাড়াই দু’টো কলার পাতা নেয়। এতে কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ধস্তাধস্তি করার সময় তার হাতে থাকা কলার কাঁধি কাটা হাসুয়া লেগে পারভেজের পিঠ কেটে যায়। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে পারভেজের বাবা আতোয়ার রহমান ১০ থেকে ১৫ জন লোক ডেকে এনে কালামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আহতদের উভয়কে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছিলো।ভোরের আকাশ/এসআই
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমির সুরক্ষিত মালিক হই”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভূমি মেলা ২০২৫ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি উপজেলার ভূমি অফিসের কাছে সড়ক প্রদক্ষিণ করে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার, সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, সঞ্চালন করেন ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কমিশনার আজিজুল হক। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন আলআমিন ও গীতা পাঠ করেন টিপু শিল।প্রধান অতিথি বলেন, ভূমি সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি জনগণকে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ ক্রয়কৃত জমির নামজারি সম্পন্ন করার আহবান জানান। তিনি ভূমি মেলায় স্থাপিত সেবামূলক স্টল পরিদর্শনপূর্বক জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।এ সময় ভূমি সেবা সপ্তাহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, নান্দাইল বাজার কমিটির সভাপতি হাফেজ মোঃ ফজলুল হক, সাবেক পৌরসভার মেয়র আজিজুল ইসলাম পিকুল, জামাতের সভাপতি সামছুউদ্দিন, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান খোকন, সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল, সাংবাদিক হান্নান মাহমুদ।সহকারী কমিশনার ফয়জুর রহমান বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই ভূমি মেলা'র আয়োজন।উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ভূমি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জনগণকে অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত সেবা, নামজারি, খতিয়ান উত্তোলন ও ভূমি কর প্রদান সম্পর্কিত নানা তথ্য প্রদান করা হয়।মেলার আয়োজন করেছে উপজেলা ভূমি অফিস, নান্দাইল। সহযোগিতায় ছিলো ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প।ভোরের আকাশ/জাআ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, জনগণের দেয়া ট্যাক্সের টাকায় সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন হয়। যাদের টাকায় আমাদের বেতন হয়, আমরাই আবার তাদের প্রভু সেজে যাই।রোববার (২৫ মে) খুলনায় গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, যে সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করে, সে জ্ঞানত অন্যায় করতে পারে না। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন আমরা সবাই দুর্নীতি বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একই সাথে মানসম্মত সেবা প্রদানের নিশ্চয়তাও দিতে হবে।তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা হতাশ হবে না। পরিবারকে যেমন সেবা করতে হবে, তেমনি লব্ধ জ্ঞান প্রজাতন্ত্রের কাজে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে উদ্যোক্তা হতে হবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আবদুল ওয়াদুদ। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, দুদকের মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) মোঃ আক্তার হোসেন, পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার ও পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বক্তৃতা করেন।দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)-এর আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খুলনার সরকারি দপ্তরসমূহে সেবাবঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ বিষয়ে সরাসরি এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে খুলনা সদরে অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মী, বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিযোগ উত্থাপনকারী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বো আগামীর শুদ্ধতা’ এই শ্লোগান নিয়ে খুলনা মহানগরে সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ সরাসরি শুনতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুদক। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক তাৎক্ষণিক তদন্ত করার নির্দেশ বা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই