নির্দেশনা আসলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী: শফিকুল ইসলাম
নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা আসলে সেনাবাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশন পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বনানীতে সেনা সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম তুলে ধরতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২ সপ্তাহে ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং পাহাড়ে শান্তি রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র গত ২ সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ছাড়াও ২৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ৫ আগস্টের পর ৮০ শতাংশ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আগের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী সোচ্চার আছে এবং থাকবে।
এছাড়া গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের নবম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বর্তমান বিধান সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। নতুন বিধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপরাধীকে ক্ষমা করার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি।বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য ঐকমত্য হয়েছে। বলা হয়েছে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ ক্রমে এক বা একাধিক বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে থাকবে- এই বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হয়েছে।তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৬ বছর বা তার আগে থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হয়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল অনুধাবন করেছেন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি যে ক্ষমার বিষয়টি আছে তা সংশোধন প্রয়োজন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও সব নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমার বিষয় সংবিধানে যুক্ত করার সুপারিশে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হয়েছে।আগামী সপ্তাহে নতুন আরও অনেক বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, জরুরি অবস্থা নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি এনসিসির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন যেহেতু এনসিসি আলোচনা টেবিলে নেই, তাই আমরা নতুন করে জরুরি অবস্থার বিষয়টি নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হাজির করব। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্য অন্যান্য বিষয়ে আমরা অগ্রগতি পৌঁছাতে পারব।ভোরের আকাশ/আজাসা
সংস্কার কাজে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনালাপে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফোনালাপে উভয় পক্ষ দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।গত সোমবার (৩০ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব চমৎকার পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। আমি সামনে বসা ছিলাম। সেখানে সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সমর্থনের কথাও বলেছে এবং কথায় কথা উঠে এসেছে যে, যথা শিগগির সম্ভব নির্বাচন করা হোক।’কোন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুপক্ষের কথাবার্তাই হচ্ছিল আন্তরিক পরিবেশে।তারমাঝে এই কথাগুলো উঠে এসেছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তারা জিজ্ঞাসা করেছেন এবং এ ব্যাপারে আমাদের যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে, সেটির বিষয়েও তাদের সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেছে। তখন তাদের জানানো হয়েছে যে আসলে যত শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করা হবে।’যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে ওয়াশিংটনে বৈঠক হবে।বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে গেছেন। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেখানে আছেন। কাজেই আমরা আশা করব যে একটি সমাধানে আমরা দুপক্ষ পৌঁছাতে পারব এবং বাণিজ্যে তেমন প্রভাব পড়বে না।’ভোরের আকাশ/আজাসা
ইউনেসকোর সেকশন ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, ডিভিশন অব ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেক্টরের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদী বেনচেলাহ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেহেদী বেনচেলাহ।।পুলিশ সদর দপ্তর এক বার্তায় জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কো প্রতিনিধি বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।আইজিপি ইউনেস্কো প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ইউনেস্কোর সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ ও ইউনেস্কোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ, কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।গুমের সঙ্গে সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালেও তাদের সেনাবাহিনী থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি কেউ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করব।নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।থানা থেকে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ