ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৫ ১২:১০ এএম
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনের ক্ষতি ও চিকিৎসকদের পরামর্শ
অনেকেই জানেন না, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলে বা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক সময় অসাবধানতাবশত আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে ফেলি, পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের মতামত জানলে বিভ্রান্তি দূর হবে।
সাধারণ চিকিৎসক ডা. রাহুল মেহতার মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ মানেই ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে বিষে পরিণত হয়—এই ধারণা ভুল। বেশিরভাগ ওষুধ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা হারালেও তা সরাসরি ক্ষতিকর হয় না। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, হার্টের ওষুধ বা ইনসুলিনের মেয়াদ শেষ হলে কাঙ্ক্ষিত ফল নাও আসতে পারে। এতে রোগের জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
স্টেরিস হেলথকেয়ারের সিইও জীবন কাসারা জানান, তরল ওষুধ, ইনসুলিন কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক মেয়াদ পেরোলেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া করে। এসব ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে শরীরে অস্বস্তিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হালকা পেটের সমস্যা কিংবা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আবার দীর্ঘমেয়াদি রোগে এসব ওষুধ অকার্যকর হয়ে শারীরিক ক্ষতি বাড়াতে পারে।
গ্রাম বা শহরের অনেক পরিবারেই ওষুধ জমিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে। পুরোনো পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক বা সিরাপ ফেলে না দিয়ে রেখে দেন অনেকে। আইকিউরের সিইও সুজয় সান্ত্রা সতর্ক করেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সংক্রমণ পুরোপুরি সারে না, বরং জীবাণু আরও শক্তিশালী হয়ে ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়।
ডা. জীবন কাসারার মতে, ওষুধ ফ্লাশ করা বা ডাস্টবিনে ফেলা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে অনেক ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা আছে, সেটিই নিরাপদ উপায়।
চিকিৎসকদের মতে, ভুল করে এক-আধবার খেয়ে ফেললে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে নিয়মিতভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ওষুধ ব্যবহারের আগে মেয়াদ দেখে নেয়া ও সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি।
ভোরের আকাশ/হ.র