নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৫ ১২:৩০ এএম
নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে: আশাবাদী মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে নির্ধারিত সময়েই—অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদল আয়োজিত "জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণসভা"য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত হওয়ার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর থেকে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে বলে তার দাবি।
তার ভাষায়, “আমরা জানি, এই দেশের জনগণ অতীতে যেমন সংগ্রামের মাধ্যমে অধিকার আদায় করেছে, তেমনিভাবে এবারও তারা ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবে। নির্বাচন ঠেকানোর যেকোনো অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা চায় আমরা উত্তেজিত হয়ে পথে নামি, সংঘাতে জড়াই। এতে করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। কিন্তু আমরা তা করব না। আমরা ধৈর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা চালিয়ে যাব।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান প্রবর্তন করেছিলেন খালেদা জিয়াই। বিএনপির লক্ষ্য কেবল ক্ষমতা নয়, বরং জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি গঠন। অথচ পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে বিভ্রান্ত ও হেয় করার অপপ্রচারে লিপ্ত একটি মহল।
তারেক রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা ভয় পায়, কারণ তারেক রহমান ইতিমধ্যে জাতীয় নেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়্যারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, "নির্বাচন যে হলে কোন দল জিতবে তা সবার জানা। সেই কারণে নানা কৌশলে তা ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তবে আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসার সুযোগ নেই।"
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সরকার আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছিল। সেদিন আহত ছাত্রদের সেবা দিতে ছাত্রদল ও ড্যাবের সদস্যরা সারারাত ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছিলেন। হাজারো বাধা সত্ত্বেও ছাত্রদল রাজপথে থেকে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/হ.র