সংগৃহীত ছবি
জনপ্রিয় ডিসি কমিক্স চরিত্র সুপারম্যানের নতুন অ্যাকশন সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসের শীর্ষস্থান দখল করেছে। এই খাতের বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস মতে, ইতোমধ্যে টিকেট বিক্রি থেকে এই সিনেমার আয় ১২ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড়িয়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স ও ডিসি স্টুডিওসের এই সিনেমার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন জেমস গান। তিনি এর আগে মার্ভেল কমিক্সের কিছু চরিত্রকে সফল সিনেমায় রূপ দিয়েছেন। সুপারম্যানের নাম-ভূমিকায় আছেন অপেক্ষাকৃত নতুন ও স্বল্প পরিচিত অভিনেতা ডেভিড করেনসওয়েট। সঙ্গে তার বান্ধবী লুইস লেইনের ভূমিকায় ছিলেন ‘দ্য মার্ভেয়াস মিসেস মেইজেল’ চরিত্রের জন্য খ্যাতি অর্জনকারী অভিনেত্রী র্যাচেল ব্রসনাহান। পাশাপাশি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিকোলাস হৌল্ট।
ফ্র্যাঞ্চাইজ এন্টারটেইনমেন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক ডেভিড এ. গ্রস বলেন, ‘৭৫ বছর ধরে নির্মাণ করা হচ্ছে এমন একটি সুপারহিরোর গল্পের সপ্তম পর্ব স্থানীয় বাজারে (যুক্তরাষ্ট্রে) যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা অসামান্য।’
‘এ ক্ষেত্রে পরিচালক মিস্টার গান শুধু বড় বড় তারকাদের ওপর নির্ভর করেননি। তিনি ভালো গল্প ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, তারই ফলাফল দেখছি আমরা’।
১৯৯৩ সালে আধুনিক বিশ্বে ডাইনোসরদের কাল্পনিক ঘোরাফেরা নিয়ে জুরাসিক পার্ক সিনেমাটি নির্মাণ করেন বিখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। এরপর ওই ধারায় অসংখ্য ‘জুরাসিক’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যার সর্বশেষ নজির ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’। সুপারম্যানের দাপটে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে। সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রে ৪ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে।
এই সিনেমায় মূল চরিত্রে আছেন মার্ভেলের ব্ল্যাক উইডোখ্যাত স্কারলেট ইয়োহানসন, জনাথান বেইলি ও মাহেরশালা আলি। তৃতীয় অবস্থানে আছে ‘এফ ওয়ান: দ্য মুভি’। অ্যাপল ও ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রযোজিত সিনেমার মূল চরিত্রে আছেন ব্র্যাড পিট। এটি ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ব্যবসা করেছে।
চতুর্থ স্থানে আছে ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’। ২০১০ সালের জনপ্রিয় এই সিনেমাটি নতুন করে নির্মাণ করেছে ইউনিভার্সাল ও ড্রিমওয়ার্ক্স অ্যানিমেশন। এটি ৭৮ লাখ ডলারের ব্যবসা করেছে।
শীর্ষ দশের পরের সিনেমাগুলো হলো টুয়েন্টি এইট ইয়ার্স লেটার, লিলো অ্যান্ড স্টিচ, মিশন ইম্পসিবল - দ্য ফাইনাল রেকনিং, মিগান টু পয়েন্ট ও এবং ম্যাটেরিয়ালিস্টস।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জনপ্রিয় ডিসি কমিক্স চরিত্র সুপারম্যানের নতুন অ্যাকশন সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসের শীর্ষস্থান দখল করেছে। এই খাতের বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস মতে, ইতোমধ্যে টিকেট বিক্রি থেকে এই সিনেমার আয় ১২ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড়িয়েছে।ওয়ার্নার ব্রাদার্স ও ডিসি স্টুডিওসের এই সিনেমার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন জেমস গান। তিনি এর আগে মার্ভেল কমিক্সের কিছু চরিত্রকে সফল সিনেমায় রূপ দিয়েছেন। সুপারম্যানের নাম-ভূমিকায় আছেন অপেক্ষাকৃত নতুন ও স্বল্প পরিচিত অভিনেতা ডেভিড করেনসওয়েট। সঙ্গে তার বান্ধবী লুইস লেইনের ভূমিকায় ছিলেন ‘দ্য মার্ভেয়াস মিসেস মেইজেল’ চরিত্রের জন্য খ্যাতি অর্জনকারী অভিনেত্রী র্যাচেল ব্রসনাহান। পাশাপাশি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিকোলাস হৌল্ট।ফ্র্যাঞ্চাইজ এন্টারটেইনমেন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক ডেভিড এ. গ্রস বলেন, ‘৭৫ বছর ধরে নির্মাণ করা হচ্ছে এমন একটি সুপারহিরোর গল্পের সপ্তম পর্ব স্থানীয় বাজারে (যুক্তরাষ্ট্রে) যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা অসামান্য।’‘এ ক্ষেত্রে পরিচালক মিস্টার গান শুধু বড় বড় তারকাদের ওপর নির্ভর করেননি। তিনি ভালো গল্প ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, তারই ফলাফল দেখছি আমরা’।১৯৯৩ সালে আধুনিক বিশ্বে ডাইনোসরদের কাল্পনিক ঘোরাফেরা নিয়ে জুরাসিক পার্ক সিনেমাটি নির্মাণ করেন বিখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। এরপর ওই ধারায় অসংখ্য ‘জুরাসিক’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যার সর্বশেষ নজির ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’। সুপারম্যানের দাপটে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে। সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রে ৪ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে।এই সিনেমায় মূল চরিত্রে আছেন মার্ভেলের ব্ল্যাক উইডোখ্যাত স্কারলেট ইয়োহানসন, জনাথান বেইলি ও মাহেরশালা আলি। তৃতীয় অবস্থানে আছে ‘এফ ওয়ান: দ্য মুভি’। অ্যাপল ও ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রযোজিত সিনেমার মূল চরিত্রে আছেন ব্র্যাড পিট। এটি ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ব্যবসা করেছে।চতুর্থ স্থানে আছে ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’। ২০১০ সালের জনপ্রিয় এই সিনেমাটি নতুন করে নির্মাণ করেছে ইউনিভার্সাল ও ড্রিমওয়ার্ক্স অ্যানিমেশন। এটি ৭৮ লাখ ডলারের ব্যবসা করেছে।শীর্ষ দশের পরের সিনেমাগুলো হলো টুয়েন্টি এইট ইয়ার্স লেটার, লিলো অ্যান্ড স্টিচ, মিশন ইম্পসিবল - দ্য ফাইনাল রেকনিং, মিগান টু পয়েন্ট ও এবং ম্যাটেরিয়ালিস্টস।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী প্যারিসের মন্টমার্ত্রে স্যাক্রে-ক্যো গির্জার সামনে তার স্বামীর নামে একটি ‘লাভ লক’ বা প্রেমের তালা লাগিয়ে রোমান্টিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন।ফ্রান্সের এই বিখ্যাত স্থানে লোহার বেষ্টনিতে ছোট একটি তালা ঝুলিয়ে মেহজাবীন তাঁর স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক স্বরূপ এই কাজ করেছেন। তালায় স্বামীর নাম খোদাই করা ছিল। প্রেম ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে ‘লাভ লক’ বেশ কিছু সময় ধরে প্যারিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকের বিশ্বাস, এই তালা লাগানোর মাধ্যমে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয় এবং প্রেম অটুট থাকে।মেহজাবীনের এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। ভক্তরা এই রোমান্টিক মুহূর্তের প্রশংসা করেছেন এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।মাস খানেক আগে মেহজাবীন ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান। এর আগে তার স্বামী আদনান আল রাজীব ‘আলী’ ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। উৎসব শেষে তারা একসঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন এবং সেই সময়ের ছবি এখন মেহজাবীন শেয়ার করছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদার আজকের দিনে মারা যাওয়ার ২২ বছর পার করলেন। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই দর্শকদের মুখের হাসি ছিনিয়ে নিয়ে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তবে দীর্ঘ বছর পরও বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মনে তাঁর স্মৃতি অমলিন রয়ে গেছে।দেলোয়ার হোসেন নামের এই অভিনেতাকে আমরা সবাই দিলদার নামে চিনতাম। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু। এরপর ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে প্রাণবন্ত অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।দিলদার শুধু পর্দার অভিনেতা নন, ছিলেন সহশিল্পীদের মধ্যে প্রাণবন্ত মানুষ। শুটিং সেটে তাঁর হাসি আর উৎসাহ সর্বদা ছড়িয়ে যেতো আশেপাশে। ‘লাল বাদশা’ ছবির ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটি নিজের কণ্ঠে পরিবেশন করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন।ব্যক্তিগত জীবনে দিলদার ছিলেন দায়িত্বশীল স্বামী ও পিতাও। তিনি কখনোই রাতে শুটিং সেটে দেরি করতেন না এবং পরিবারের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম এখনো তাঁর রেখে যাওয়া বাড়িতেই রয়েছেন।অন্যদিকে, ‘তুমি শুধু আমার’ ছবির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন, যা তার প্রতিভার প্রমাণ হলেও আসল সম্মান পেয়েছেন দর্শক হৃদয় থেকে।দিলদারের প্রিয় চলচ্চিত্র বন্ধুদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী আনোয়ারা, চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও আফজাল শরীফ।আজকের দিনে আমরা স্মরণ করছি সেই হাসির মূর্তিমান চেহারাকে, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে দিয়েছিলেন অসাধারণ কমেডি এবং যাঁর অবদান বাংলা সিনেমার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দিনদুপুরে নির্মম এই হত্যাকাণ্ড এবং ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও হতবাক প্রতিক্রিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঝড়, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও।এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক আবেগকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা ও মডেল সালমান মুক্তাদির। শনিবার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “যে ধর্ষণ আর হত্যাকাণ্ড আপনাকে কষ্ট দেয়, সেগুলো পাশের রাজনৈতিক লোকগুলোর কাছে আনন্দের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। কেউ শুধু জাতীয় সংকটে আপনার পক্ষে কথা বলছে বলে ভাববেন না যে তারা ন্যায়বিচারের পক্ষে। তারা সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের স্বার্থে।”তিনি আরও বলেন, “যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তারা কখনো রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে কাজ করে না। যারা নিঃস্বার্থভাবে পাশে থেকেছে, কেউ প্রাণ দিয়েছে, কেউ হাত-পা হারিয়েছে—আমাদের উচিত তাদের চিনে রাখা এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, দলমত নির্বিশেষে।”সতর্ক করে সালমান লেখেন, “চারপাশ চিনুন। আপনার আবেগকে যারা রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে চায়, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। তারা চায় আপনি যেন তাদের ‘ত্রাণকর্তা’ ভাবেন, অথচ মানবতা ও সহমর্মিতা যেন কোনো দলের প্রচারণার পণ্য না হয়ে যায়।”সোহাগ হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, “এই ভয়ংকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লেগেছে প্রায় দুই দিন। অথচ দেশে এত ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এত সংগঠন থাকার পরও শুরুতে কেউ মুখ খোলেনি। বিএনপি, এনসিপি বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—কেউ কোনো অবস্থান নেয়নি। কিন্তু সাধারণ তরুণরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য দিয়ে সক্রিয় হয়েছে।”সালমান মুক্তাদিরের ভাষায়, “সব অপরাধী রাজনীতিবিদ নয়, আবার সব রাজনৈতিক দলও নির্দোষ নয়। আমরা যদি শুধুমাত্র একটি দলের বিরুদ্ধে দাঁড়াই, তাহলে সেটা পক্ষপাত হয়। আমাদের উচিত হচ্ছে অপরাধ এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে এককথায় দৃঢ় অবস্থান নেওয়া—দল, মত নির্বিশেষে।”তার এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই একে সময়োপযোগী ও সাহসী মন্তব্য হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক দায় এড়ানোর কৌশলও হতে পারে।তবে অধিকাংশের একমত, সোহাগ হত্যার মতো নৃশংসতা যেন আর না ঘটে এবং অপরাধীরা যে দলেই থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।কালের সমাজ//হ.র