৬ বছরেও নির্মাণ হয়নি সেতু
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৩:৪৫ পিএম
ঢাকার ধামরাইয়ে সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতু
ঢাকার ধামরাইয়ে সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সময়সীমা সোয়া ৫ বছরে পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। ফলে এখনো বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমী বাঁশের সাঁকোই দুই পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। ওই এলাকার মানুষের স্বপ্নের সেতুটি কবে নির্মাণ কাজ শেষ হবে তা কেউ বলতে পারেনি। এমনকি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসও বলতে পারেনি।
জানা গেছে, কাজের সিডিউল অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। অপরদিকে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন না করে দুই দফায় দুইটি শুধু পিলার উঠিয়েই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এরমধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে তিন দফায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের শেষের দিকে আবার কাজ শুরু করে। এরপর নদীর মাঝখানে আরও দুটি পিলার নির্মাণ শেষ করার পর তিন দফায় আবার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে সেতুর মাঝখানের গার্ডার তৈরী পুরোপুরি শেষ না করে আবার কাজ বন্ধ করে রেখেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ধামরাইয়ের ১০টি গ্রামের মানুষ।
ধামরাই উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর ৯৮ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭৭৪ টাকা। কাজটি পান মেসার্স সুরমা অ্যান্ড খোশেদা এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, সোমভাগ ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ এই নদীর উপর দিয়ে। তাদেরকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু কি তাই পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্য ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে কেনাবেচা করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন এখন যে অবস্থা সেতুর কাজ আদৌ হবে কি না বা মৃত্যুর আগে দেখতে পাবো কি তাও ভাবার বিষয়।
ওই এলাকার সাইফুল, মিনহাজসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রামের মানুষ চরম কষ্টের মধ্য দিয়ে নদীতে বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকায় আর শুস্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তা ছাড়া যাতায়াতের জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যেতে হয়।
বর্তমানে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ সম্পর্কে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম বলেন, আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বার বার তাগিদ দিচ্ছি যেন অতি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু করেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা