খুলনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক আগ্নেয়াস্ত্র গুলিসহ আটক ৪
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর রাতে খুলনার বিভিন্ন একালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচলনা করে। অভিযানে খুলনার অন্যতম ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ শাকিল গ্রুপের প্রধান ও বি কোম্পানির অন্যতম সদস্য শাকিল শেখ, শহিদুল ইসলাম খোকন ও মো. শাকিল এবং আশিক গ্রুপের সদস্য ইয়াসিন আরাফাতকে খুলনার লবনচরা এলাকা হতে আটক করা হয়।
এ সময় আটককৃত সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাতের বাসা তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি দেশীয় পাইপ গান, বিভিন্ন গোলাবারুদ, স্টান গান, ১টি ডামি পিস্তল, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও অবৈধ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত সকল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে খুলনা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলা, মাদকসহ আটককৃত ব্যক্তিদের অইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে লবনচরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
রাজনীতির উৎসবমুখর পরিবেশে মেহেরপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টায় মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড়ে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা সাঈদ ইকবাল মাহমুদ টিটো। সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।মূল বক্তব্যে জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, “এই সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম কেবল কাগজে কলমে নয়—এটি হচ্ছে বিএনপিকে মানুষের হৃদয়ে প্রোথিত করার একটি ঐতিহাসিক প্রয়াস।”অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ফায়েজ মোহাম্মদ। আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল মামুন গাজী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. সাব্বির শরীফ।অনুষ্ঠান শেষে নতুন সদস্যদের মাঝে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচি জেলার প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে এর তাৎপর্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বরণে সিরাজগঞ্জে 'জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ' নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান চত্বরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি আগামী ৫ই আগস্টে এই স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, জুলাই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের স্মরণে সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হচ্ছে। জুলাই আগস্টের শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্য এটা স্থাপিত হচ্ছে। আগস্টের পাঁচ তারিখে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা ও পুলিশসহ এই জেলায় নিহত হয় ২৯ জন।ভোরের আকাশ/জাআ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ১০ জন জুয়াড়িকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম, নগদ ১৫ হাজার ৬২৪ টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।আটকৃতরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের ঝিড়াই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে শাহিন (২৫), একই গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২০), কোগাড়িয়া গ্রামের ফজলু রহমানের ছেলে ফারুক আহম্মেদ (২৮), একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (৩৫) ও হোসেন আলীর ছেলে জিয়াউর (৩০), বাল্যা গ্রামের ছিরমত আলীর ছেলে শামসুল আলম (৩৫), কাঁঠালবাড়ী গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে নুরুন নবী (৫০), বানীহালি গ্রামের আব্দুল গোফ্ফারের ছেলে শাকিব (৩০), একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে তৌহিদ (২০) ও মৃত সাইরুদ্দিনের ছেলে মিজানুর (৩৮)।যৌথ বাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ২টা থেকে বুধবার ভোররাত পর্যন্ত গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের মেজর ইনজামামুল আলমের নেতৃত্বে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের বৈরাগীহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম, নগদ ১৫হাজার ৬২৪ টাকা, ১০টি মোবাইল ফোন জব্দসহ ১০জুয়ারাকে আটক করা হয়। পরে আসামীদেরকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।সূত্র আরও জানান, জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে। অভিযানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ সদস্যরাও অংশ নেন।গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে আসামীদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের এক দফা দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে। এতে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-জামালপুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের নগরীর রহমতপুর বাইপাস মোড় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।বুধবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কলেজের সামনে রহমতপুর বাইপাস মোড়ে সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় সড়ক বেরিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সবধরনের যানবাহন এই এলাকা পর্যন্ত এসে থেমে যায়। ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।এদিকে আন্দোলন চলাকালীন সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবুও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলমান রাখে। দাবি বাস্তবায়নে নানা শ্লোগান দেওয়া হয়।আলম এন্টারপ্রাইজ নামের বাসের ভেতরে বসে ছিলেন আব্দুল হাই নামের একজন যাত্রী। তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ যাবত বাস বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ধীরে ধীরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়া প্রয়োজন।ট্রাকচালক নজরুল মিয়া বলেন, সবাই দাবি আদায়ে সড়ককে বেছে নেয়। এতে যে সবাই ভোগান্তিতে পড়েন, তা কেউ চিন্তা করে না। শিক্ষার্থীদের দাবি যুক্তিসঙ্গত হলে মেনে নেওয়া প্রয়োজন।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, বিআইটি গঠনের দাবিতে দুই মাস ধরে আন্দোলন করে এলেও ওপর মহল আমাদের দাবিকে কর্ণপাত করছে না। আমরা যুক্তিসঙ্গত দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। সড়কে আন্দোলনের কারণে যাত্রীরা সাময়িক ভোগান্তিতে পড়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা হোক, এটাই আমাদের চাওয়া।ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান , শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে।অবরোধ সরানো হয়েছে। যান চলাচল শুরু হয়েছে।এর আগে গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২৩) চলমান শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর ২০ মে থেকে সব শিক্ষার্থী একাডেমিক কম্বাইন্ড সিস্টেম বাতিলের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। ঈদের পর ১৪ জুন প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও পাঠ ও পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেননি শিক্ষার্থীরা। ২৪ জুন থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে প্রশাসনকি কার্যক্রমও। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় ৫ জুলাই থেকে বিআইটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজের শহীদ মিনার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বিআইটির আদলে স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করার এক দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রযুক্তি ইউনিটের মাধ্যমে আয়োজিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। ভোরের আকাশ/আজাসা