সংগৃহীত ছবি
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের ফাঁদে পড়া ১৬২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) আনুমানিক সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বেনগাজির বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটে (নম্বর: UZ222) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
দূতাবাস থেকে জানানো হয়, প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে ১৪১ জন এবং ত্রিপলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে ১৬ জন অভিবাসী আটক ছিলেন। এ ছাড়া ৫ জন ত্রিপলিতে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন।
দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বেনগাজির বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের বিদায় জানান।
এ সময় তারা অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবনে দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। এই বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।বুধবার (৯ জুলাই) সকালে দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত। এর প্রভাবে সারাদেশেই বাড়ছে বৃষ্টির প্রবণতা।আগামীকাল বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অনেক জায়গায় এবং ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এদিন তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এবং রংপুর ও রাজশাহীর কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কিছু জায়গায় ভারী বর্ষণও হতে পারে।শনিবার দেশের প্রায় সব বিভাগেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। এ সময় দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে জনসাধারণকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বুধবার অধিদপ্তরের এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ।বুধবার (৯ই জুলাই) বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। গণমাধ্যম-বিষয়ক আরও কিছু সংস্কার কার্যক্রম আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। সংবাদপ্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন। সাক্ষাতে উপদেষ্টা আরও জানান, গণমাধ্যমপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি প্রণয়নেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট লিনা ফক্স উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৯ জুলাই) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর বিষয়টি জানিয়েছেন।তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। এতে যুক্তরাষ্ট্র, মালদ্বীপ, জর্ডান, দক্ষিণ-আফ্রিকা, ওমান এই পাঁচটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন মিলেছে।বর্তমানে ৯টি দেশে ভোটার কার্যক্রম চলছে। দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। জাপানে শুরু হবে ১৫ জুলাই।সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি-বায়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্যসংগ্রহ করে দেখেছে ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। এসব দেশকেই মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মৌরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (৯ জুলাই) গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিবিসির অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ কথা বলেন তিনি।পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, জুলাইয়ের গণআন্দোলন নিয়ে বিবিসির গভীর অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেখানে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর কথাও উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে।তিনি লেখেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তার আর পালানোর কোনো পথ নেই। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দমননীতি ও সহিংসতা চালানো হয়েছে, তার জন্য দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার ও তার নির্দেশে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারাও শাস্তি এড়াতে পারবে না।বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশন বলেছে, ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের অডিও যাচাই করেছে তারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানেই ওদের (বিক্ষোভকারী) পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।’ফাঁস হওয়া ওই অডিও অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন। তিনি বলেন, তারা (বাহিনীর সদস্যরা) যেখানে আন্দোলনকারীদের পাবে, সেখানে গুলি করতে পারবে। সরকারি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এই কথোপকথনের অডিওটিকে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ