সংগৃহীত ছবি
কিশোরগঞ্জ তাড়াইলে ৪নং জাওয়ার ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড ইছাপশর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হারিছ মিয়ার পুকুরে গভীর রাতে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বত্তরা। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
হারিছ মিয়া তার বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তিনি বলেন সকাল ১১ টায় পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেছি পুকুরের মাছ চাষ করেছেন হারেছ মিয়া, দেড় লক্ষ টাকার মতো মাছ ক্ষতি সাধন হয়েছে আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে আবু তাহের বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
তাড়াইল থানা ওসি সাব্বির রহমান বলেন, সরেজমিনে গিয়েছি তদন্তে সাপেক্ষে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে রাসেল (১৬) নামে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে ৩৫৩ মেইন পিলারের তিনুয়া মাদারী সীমান্তের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটে। আসকর আলী রাসেল ৫ নং হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী এলাকার নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।বিজিবি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেলের কয়েকজন বন্ধু মিলে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতের পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। শনিবার ভোর আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে মিনাপুর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করলে ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এতে রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। রাসেলের মরদেহ ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পড়েছিল। পরে বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে যায়।বাংলাদেশ (বিজিবি) দিনাজপুর ৪২ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসানকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছেন। বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাগেরহাটে টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বিশেষ করে মৎস্য চাষে খ্যাত এই অঞ্চলে তলিয়ে গেছে ৯ শতাধিক মৎস্য ঘেরেরও বেশি। এতে অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়ে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গলদা চিংড়ি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা জেলার মোংলা, রামপাল, বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ এর সাথে ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিদের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। চাষিদের দাবি কয়েকশ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে এই পানিতে।ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার সবুজ রায় বলেন, বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের পারের উপর হাঁটু পানি। নেট, কচুরিপানা ও ঘাষ দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু কতদূর আছে জানি না।চিতলমারীর সালাম নামের আরেক চাষি বলেন, এখন আসলে মাছ ধরার সময় আমাদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্যোগ আমাদের পথে বসিয়ে গেল। আমার ৩টি ঘেরের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ঘেরের পাড়ের সবজি গাছও মরে যাবে পানি টানার সাথে সাথে।স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, হঠাৎ করেই পানি বাড়তে শুরু করে। মাত্র এক রাতেই ঘেরগুলো ডুবে যায়। মাছ বের করে নেওয়ার কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে রুই, কাতলা, পাঙাস ও তেলাপিয়া মাছের চাষ করেছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি বেড়ে সব ভেসে গেছে। প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজদ বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ৯০০টির বেশি ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের ৭ হাজার ৩৪০ কোটির প্রকল্পটি সেনাবাহিনীকে দিয়ে বাস্তবায়ন করার কথা ভাবছে সরকার।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ফেনীর পুরাতন মুন্সীর হাটে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন।ফারুক-ই-আজম বলেন, এখানকার বর্তমানের বাঁধ এরকম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে না এটি আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর জন্য আরও শক্তিশালী বাঁধ এবং উদ্যোগ-আয়োজন প্রয়োজন। প্রস্তাবিত এ বড় প্রকল্প যথাযথভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে সম্পন্ন করেন তা নিশ্চিত করা হবে।তিনি বলেন, এখানে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সবাই যেন ত্রাণ সহায়তা যথাযথ পান সেজন্য দেখতে এসেছি। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় যেসব সমস্যা হচ্ছে, এগুলো জানতে এসেছি। কিভাবে কাজ করলে এটি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে তা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে শুনেছি। সরকারও তাদের কথা শুনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রায় ৪০ জন নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী সফর করছেন। আগামীকাল রোববার (১৩ জুলাই) পিরোজপুরে আসছেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা। শনিবার (১২ জুলাই) রাতে এসে পরদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পর ঝালকাঠি রওনা দিবেন।দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব তাসনিম জারা, মূখ্য সমন্বয়ক নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ড. মাহমুদা মিতু প্রমুখ নেতারা এই সফরে অংশ নিচ্ছেন।এছাড়া খুলনা বিভাগীয় প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মোল্যা রহমাতুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন-সহকেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ৪০ জন সদস্য পিরোজপুর সফরে অংশ নেবেন।জানা যায়, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় পিরোজপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভা করবেন। রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার ইয়াসিন খার পুল সংলগ্ন একটি নূরানী মাদ্রাসায় নৈশভোজ ও সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন রোববার (১৩ জুলাই) মূল পদযাত্রার ও পথসভা করবে দলটি। শহরের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে শহীদ মিনারে এসে পথসভায় মিলিত হবেন তারা। এই সফরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতারা দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, জনসম্পৃক্ততা এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলটির দায়িত্বশীলরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ