ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মিটফোর্ডের ঘটনায় সকল ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তিনি বিদেশে অবস্থানরত থাকা অবস্থায় জেনে এই কথা বলেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ডের সামনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের ভেরিফাইড আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, এ কোন যুগ! কোন সমাজ! প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ক্ষুদ্র, সাধারণ ব্যবসায়ীকে শুধু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শত শত মানুষের সামনে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!
তিনি আরও লেখেন, হে ক্ষতিগ্রস্ত মজলুম পরিবার, আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত। হে ব্যবসায়ী ভাই সোহাগ, তোমার এই পরিণতি হওয়ার আগে সত্যিকারের কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলাম না- এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে লজ্জিত।
ইসলামীর আমির আরও লেখেন, হে সমাজ, জেগে উঠো! মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রমাণ দাও। মনে রেখো - আজ তুমি কারো বিপদে চুপ থাকলে, আগামীকাল তোমার ওপর এর চেয়েও বড় বিপদ এলে, তখন তুমি কাউকে পাশে পাবে না। অতএব, ভয় ও সংকোচ উপেক্ষা করে আমাদেরকে সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।
এর আগে, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ডের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলেও মূলত শুক্রবার (১১ জুলাই) ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক সড়কে পড়ে থাকা একজন ব্যক্তিকে বড় আকারের একটি পাথর দিয়ে ওপর থেকে আঘাত করা হচ্ছে। কেউ নিথর শরীরে আঘাত করছে আবার কেউ মাথায় সজোরে আঘাত করছে। এতে ওই লোকটির মাথা থেতলে যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মিটফোর্ডের ঘটনায় কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। কোন ছিদ্র পথে দু-একজন দুষ্কৃতকারী ঢুকে পড়ে, সেটি সব সময় খোঁজ রাখা যায় না। কিন্তু দুষ্কৃতকারীদের কোনোভাবে যদি চিহ্নিত করা যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করেন না দল বা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রিজভী আরও বলেন, যে নিহত হয়েছে আর যারা ঘাতক তাদের মধ্যে ঝগড়া চলেছে। এটি যুগ যুগ ধরে তারা করে আসছে, এখন পট পরিবর্তন হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের কেউ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারে, যা মহানগর বা কেন্দ্রীয় নেতারা জানেন না, রুট লেভেলে তো সবকিছু বোঝাও যায় না। তবে কোনো ধরনের অপকর্ম সংঘাত বা মানুষ হত্যায় যারা জড়িত, তাদের ছাড় নেই।তিনি বলেন, দু-একটি রাজনৈতিক দল মিছিল করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। আমরা যদি শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকতাম, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতাম, তাদের বহিষ্কার না করতাম তাহলে এক কথা ছিল। দল নিন্দা জানিয়েছে, ব্যবস্থা নিয়েছে। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেন? মানে একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য।একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আপনাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যাইনি। আমরা ভুলে যাইনি সেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কীভাবে পায়ের রগ কেটেছে, কীভাবে বাসের ভেতর থেকে ছাত্রদল নেতাকে ধরে বিনোদপুর গ্রামে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদের নৃশংসতা, আপনাদের ভয়াবহতা মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনো লাভ হবে না।রিজভী বলেন, যে কোনো ধরণের অপকর্ম সংঘাত বা মানুষ হত্যায় যারা জড়িত তাদের ছাড় নেই। মাটির গভীরে গেলেও সেখান থেকে ধরে এনে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা অনেক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে দেখেছি। পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল দেখেছি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) রাজশাহীর ভূবন মোহন পার্কে মহানগর বিএনপির সদস্য ফরম নবায়ন ও বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।ড. মঈন খান বলেন, সংস্কার ও বিচার দুটোই চলমান প্রক্রিয়া। তাই আগে সংস্কার পরে নির্বাচন এই অজুহাত জনগণ আর মেনে নেবে না।বিএনপির শৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়ে সততার আদর্শ রেখে গেছেন। আমরা যদি শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ ধরে না রাখি, তবে সেই আদর্শ ধরে রাখা যাবে না।আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একটি পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল। তারা যা করেছে, তার জন্য কখনও জাতির কাছে ক্ষমাও চায়নি। আমাদের আচরণ যেন তাদের মতো না হয় আমরা মানুষের জন্য কাজ করব, আর মানুষ আমাদের প্রতিদান দেবে।বিএনপিকে ঘিরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, মানুষের আস্থা আমাদের ওপর আছে। সেই আস্থা ষড়যন্ত্র করে নষ্ট করা যাবে না।অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেখে একটি গোপন সংগঠন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে যেন কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মোনায়েম মুন্না বলেন, তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেখে একটি গোপন সংগঠন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। মিটফোর্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেলেও তিনজনকে বাদ দিয়ে মামলায় অন্য তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি বলেন, আমরা সবসময় দায়িত্বপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিই।তিনি বলেন, রগ কাটা রাজনীতির ইতিহাস একটি নির্দিষ্ট দলের। এসব ঘটনার পেছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সাধারণ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মিটফোর্ডের ঘটনায় সকল ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তিনি বিদেশে অবস্থানরত থাকা অবস্থায় জেনে এই কথা বলেন।শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ডের সামনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।নিজের ভেরিফাইড আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, এ কোন যুগ! কোন সমাজ! প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ক্ষুদ্র, সাধারণ ব্যবসায়ীকে শুধু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শত শত মানুষের সামনে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!তিনি আরও লেখেন, হে ক্ষতিগ্রস্ত মজলুম পরিবার, আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত। হে ব্যবসায়ী ভাই সোহাগ, তোমার এই পরিণতি হওয়ার আগে সত্যিকারের কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলাম না- এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে লজ্জিত।ইসলামীর আমির আরও লেখেন, হে সমাজ, জেগে উঠো! মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রমাণ দাও। মনে রেখো - আজ তুমি কারো বিপদে চুপ থাকলে, আগামীকাল তোমার ওপর এর চেয়েও বড় বিপদ এলে, তখন তুমি কাউকে পাশে পাবে না। অতএব, ভয় ও সংকোচ উপেক্ষা করে আমাদেরকে সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।এর আগে, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ডের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলেও মূলত শুক্রবার (১১ জুলাই) ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক সড়কে পড়ে থাকা একজন ব্যক্তিকে বড় আকারের একটি পাথর দিয়ে ওপর থেকে আঘাত করা হচ্ছে। কেউ নিথর শরীরে আঘাত করছে আবার কেউ মাথায় সজোরে আঘাত করছে। এতে ওই লোকটির মাথা থেতলে যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ