বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫ ০৩:৪৬ পিএম
ছবি : ভোরের আকাশ
বাগেরহাটে টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বিশেষ করে মৎস্য চাষে খ্যাত এই অঞ্চলে তলিয়ে গেছে ৯ শতাধিক মৎস্য ঘেরেরও বেশি। এতে অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়ে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গলদা চিংড়ি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা জেলার মোংলা, রামপাল, বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ এর সাথে ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিদের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। চাষিদের দাবি কয়েকশ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে এই পানিতে।
ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার সবুজ রায় বলেন, বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের পারের উপর হাঁটু পানি। নেট, কচুরিপানা ও ঘাষ দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু কতদূর আছে জানি না।
চিতলমারীর সালাম নামের আরেক চাষি বলেন, এখন আসলে মাছ ধরার সময় আমাদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্যোগ আমাদের পথে বসিয়ে গেল। আমার ৩টি ঘেরের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ঘেরের পাড়ের সবজি গাছও মরে যাবে পানি টানার সাথে সাথে।
স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, হঠাৎ করেই পানি বাড়তে শুরু করে। মাত্র এক রাতেই ঘেরগুলো ডুবে যায়। মাছ বের করে নেওয়ার কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে রুই, কাতলা, পাঙাস ও তেলাপিয়া মাছের চাষ করেছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি বেড়ে সব ভেসে গেছে। প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজদ বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ৯০০টির বেশি ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ