মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫ ০১:২৩ পিএম
অসহায় মদিনা খাতুনের পাশে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম।
শুধু একটি ছেলেই ছিল তার জীবনের ভরসা। ছেলে বেঁচে থাকাকালে কখনো কারো কাছে হাত পাততে হয়নি। অথচ এখন পেটের ক্ষুধা মেটাতে, নাতনির মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতে এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় ঘুরে বেড়ান ৬৪ বছর বয়সী মদিনা খাতুন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মেহেরপুর শহরের পুলিশ লাইন পাড়ার একটি খাসজমিতে বসবাস করা এই নারী আজ নিঃস্ব, ক্লান্ত ও দিশেহারা। এমন করুণ চিত্র চোখে পড়েছিল কিছু সংবাদকর্মীর। আর তাদের মাধ্যমেই খবর পেয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম।
মদিনার জীবনে আশার আলো জ্বালালেন সদর ইউএনও খাইরুল ইসলাম মেহেরপুর প্রতিনিধি: শুধু একটি ছেলেই ছিল তার জীবনের ভরসা। ছেলে বেঁচে থাকাকালে কখনো কারো কাছে হাত পাততে হয়নি। অথচ এখন পেটের ক্ষুধা মেটাতে, নাতনির মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতে এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় ঘুরে বেড়ান ৬৪ বছর বয়সী মদিনা খাতুন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মেহেরপুর শহরের পুলিশ লাইন পাড়ার একটি খাসজমিতে বসবাস করা এই নারী আজ নিঃস্ব, ক্লান্ত ও দিশেহারা। এমন করুণ চিত্র চোখে পড়েছিল কিছু সংবাদকর্মীর। আর তাদের মাধ্যমেই খবর পেয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম।
মদিনা খাতুনের ছেলে কেরামত আলী ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর মৃত্যুতে মদিনা, ছেলের স্ত্রী আম্বিয়া, বড় মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী নাতনিকে নিয়ে জীবনের কঠিনতম অধ্যায় পার করছেন তিনি। ভাঙা ঘরে চারজনের ভরপেট খাবার জোগাড় করাই এখন এক দুঃসাধ্য কাজ। কাজের সন্ধানে বুড়ো বয়সেও তাকে যেতে হয় মাঠে, ছেলের বউকেও করতে হয় কঠিন কায়িক শ্রম।
বিষয়টি জানার পর ইউএনও খাইরুল ইসলাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে মদিনার বাড়িতে যান। খাদ্য ও নগদ অর্থ দিয়ে তাৎক্ষণিক সহায়তা করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে তাকে ঘর ও চিকিৎসার সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগের কথাও জানান।
ইউএনও খাইরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ এই মায়ের বাড়িতে যা দেখলাম তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমরা শুধু উন্নয়নই করি না, একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই প্রশাসনের বড় সাফল্য। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোতভাবে এই মায়ের পাশে থাকার।
এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ জানান, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এই ধরনের পরিবারগুলোকে সচ্ছল করতে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত।
স্থানীয় বাসিন্দারাও ইউএনও’র এই মানবিকতা দেখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যদি সব কর্মকর্তা এমন হতেন, তবে দেশে কোনো মদিনা খাতুনের এমন পরিণতি হতো না।
ভোরের আকাশ/আজাসা