বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কৃষকের লাশ ফেরত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কৃষক যুবক ইব্রাহিম বাবুর (৩২) লাশ এক সপ্তাহ পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আইসিপির মেইন পিলার ৭৬ নং এর কাছে শূন্য লাইনে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মাসুদ হায়দার, সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী, দর্শনা বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. এনায়েত হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. মহিবুল্লাহ, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর।
অপরদিকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ৩২ বিএসএফের অধিনায়ক শ্রী সুজিত কুমার, হালদার পাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি তপস্যর কুমার, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি শ্রী সৌগত রায়। এ সময় নিহতের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা বৈঠক শেষে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশী নিহত যুবক ইব্রাহিম বাবুর লাশ দামুড়হুদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে নিহতের ভগ্নীপতি মো. এনামুল হক মরদেহ পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেন।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় অংশে বিএসএফের গুলিতে গত বুধবার (২ জুলাই) ইব্রাহিম বাবু (৩২) নামে এক বাংলাদেশী কৃষক যুবক নিহত হন। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
গত বুধবার দুপুরে ইব্রাহিম বাবুসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এসময় অসাবধানতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলি বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
রাজনীতির উৎসবমুখর পরিবেশে মেহেরপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টায় মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড়ে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা সাঈদ ইকবাল মাহমুদ টিটো। সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।মূল বক্তব্যে জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, “এই সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম কেবল কাগজে কলমে নয়—এটি হচ্ছে বিএনপিকে মানুষের হৃদয়ে প্রোথিত করার একটি ঐতিহাসিক প্রয়াস।”অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ফায়েজ মোহাম্মদ। আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল মামুন গাজী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. সাব্বির শরীফ।অনুষ্ঠান শেষে নতুন সদস্যদের মাঝে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচি জেলার প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে এর তাৎপর্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বরণে সিরাজগঞ্জে 'জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ' নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান চত্বরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি আগামী ৫ই আগস্টে এই স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, জুলাই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের স্মরণে সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হচ্ছে। জুলাই আগস্টের শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্য এটা স্থাপিত হচ্ছে। আগস্টের পাঁচ তারিখে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা ও পুলিশসহ এই জেলায় নিহত হয় ২৯ জন।ভোরের আকাশ/জাআ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ১০ জন জুয়াড়িকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম, নগদ ১৫ হাজার ৬২৪ টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।আটকৃতরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের ঝিড়াই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে শাহিন (২৫), একই গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২০), কোগাড়িয়া গ্রামের ফজলু রহমানের ছেলে ফারুক আহম্মেদ (২৮), একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (৩৫) ও হোসেন আলীর ছেলে জিয়াউর (৩০), বাল্যা গ্রামের ছিরমত আলীর ছেলে শামসুল আলম (৩৫), কাঁঠালবাড়ী গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে নুরুন নবী (৫০), বানীহালি গ্রামের আব্দুল গোফ্ফারের ছেলে শাকিব (৩০), একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে তৌহিদ (২০) ও মৃত সাইরুদ্দিনের ছেলে মিজানুর (৩৮)।যৌথ বাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ২টা থেকে বুধবার ভোররাত পর্যন্ত গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের মেজর ইনজামামুল আলমের নেতৃত্বে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের বৈরাগীহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম, নগদ ১৫হাজার ৬২৪ টাকা, ১০টি মোবাইল ফোন জব্দসহ ১০জুয়ারাকে আটক করা হয়। পরে আসামীদেরকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।সূত্র আরও জানান, জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে। অভিযানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ সদস্যরাও অংশ নেন।গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে আসামীদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের এক দফা দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে। এতে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-জামালপুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের নগরীর রহমতপুর বাইপাস মোড় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।বুধবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কলেজের সামনে রহমতপুর বাইপাস মোড়ে সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় সড়ক বেরিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সবধরনের যানবাহন এই এলাকা পর্যন্ত এসে থেমে যায়। ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।এদিকে আন্দোলন চলাকালীন সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবুও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলমান রাখে। দাবি বাস্তবায়নে নানা শ্লোগান দেওয়া হয়।আলম এন্টারপ্রাইজ নামের বাসের ভেতরে বসে ছিলেন আব্দুল হাই নামের একজন যাত্রী। তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ যাবত বাস বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ধীরে ধীরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়া প্রয়োজন।ট্রাকচালক নজরুল মিয়া বলেন, সবাই দাবি আদায়ে সড়ককে বেছে নেয়। এতে যে সবাই ভোগান্তিতে পড়েন, তা কেউ চিন্তা করে না। শিক্ষার্থীদের দাবি যুক্তিসঙ্গত হলে মেনে নেওয়া প্রয়োজন।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, বিআইটি গঠনের দাবিতে দুই মাস ধরে আন্দোলন করে এলেও ওপর মহল আমাদের দাবিকে কর্ণপাত করছে না। আমরা যুক্তিসঙ্গত দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। সড়কে আন্দোলনের কারণে যাত্রীরা সাময়িক ভোগান্তিতে পড়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা হোক, এটাই আমাদের চাওয়া।ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান , শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে।অবরোধ সরানো হয়েছে। যান চলাচল শুরু হয়েছে।এর আগে গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২৩) চলমান শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর ২০ মে থেকে সব শিক্ষার্থী একাডেমিক কম্বাইন্ড সিস্টেম বাতিলের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। ঈদের পর ১৪ জুন প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও পাঠ ও পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেননি শিক্ষার্থীরা। ২৪ জুন থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে প্রশাসনকি কার্যক্রমও। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় ৫ জুলাই থেকে বিআইটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজের শহীদ মিনার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বিআইটির আদলে স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করার এক দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রযুক্তি ইউনিটের মাধ্যমে আয়োজিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। ভোরের আকাশ/আজাসা