বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:২৩ পিএম
সংগৃহীত ছবি
জাজিরায় খবির উদ্দিন সরদার ও আলমাছ সরদার হত্যা মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
শরীয়তপুরের জাজিরায় খবির উদ্দিন সরদার ও আলমাছ সরদার হত্যা মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবির হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন গগনকে (৬০) গাজীপুর টঙ্গীর ভোলারটেক এলাকা থেকে, কামাল সরদার (৩৯) এবং শরীয়তপুরের সখিপুর থানার আলুর বাজার এলাকা থেকে আলমাছ হত্যা মামলার প্রধান আসামি দানেশ সরদারকে (৫৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন আজ রোববার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ওমরদ্দিন মাদবর কান্দী এলাকায় খবির উদ্দিন সরদার হত্যা মামলার আসামি ওই এলাকার মৃত চাঁন মিয়া সরদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন গগন ও পালেরচর ঝিনু মার্কেট এলাকার আছমত আলী সরদারের ছেলে কামাল সরদারকে গাজীপুর টঙ্গীর ভোলারটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে আলমাছ সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওমরদ্দিন মাদবর কান্দি এলাকার মৃত ইউনুছ সরদারের ছেলে দানেশ সরদারকে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার আলুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-৮, র্যাব-১ ও র্যাব-১২ পরিচালিত যৌথ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদ্দিন মাদবর কান্দী এলাকায় আলমাছ সরদারের পরিবার ও খবির উদ্দিন সরদারের পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি ওই এলাকার সরদার বাড়ি জামে মসজিদ কমিটি নিয়েও দ্বন্দ্ব বাধে দুই পরিবারের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ওমরদ্দিন মাদবর কান্দী এলাকায় খবির সরদারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে স্থানীয় জব্বার মাস্টারের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়রা খবিরের রক্তাক্ত দেহ ডোবা থেকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত আলমাছ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এমন অভিযোগ ওঠে খবিরের পরিবারের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট আলমাছসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে খবিরের বড় ভাই দানেশ সরদার বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর ২৮ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে একটি পরিত্যক্ত ভিটা থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় বস্তাবন্দী আলমাছের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর খবিরের ভাই দানেশ সরদারসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে আলমাছ সরদারের বোন লিপি বেগম বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত খবির উদ্দিন সরদার (৫৫) ওই গ্রামের মৃত ইউনুছ সরদারের ছেলে। তিনি বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পেশায় তিনি কৃষিকাজ করতেন। এদিকে, আলমাছ সরদার (৩২) উমরদ্দিন মাদবর কান্দী গ্রামের মৃত সহন সরদারের ছেলে। তিনি পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। খবির ও আলমাছ সম্পর্কে চাচা ভাতিজা।
ভোরের আকাশ/জাআ