আল আমীন অর্ণব, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:৫০ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের বারইপাড়া এলাকায় পাওনা টাকা নিয়ে সালিশি বৈঠকের সময় হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আলমগীর হোসেনকে (৪৬) হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।
তিনি জানান, গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় বন্দরের সালেহনগর বারইপাড়ার মালেকের বাড়ির পেছনে পারভেজের গ্যারেজে সালিশি বৈঠকের সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আলমগীর হোসেনকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের বোন বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই দ্রুত অভিযান চালিয়ে মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। এসময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. জুয়েল (৩৬) এবং সহযোগী ১৮ নম্বর আসামি মির আকিব ইবনে রাতুল (৩০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।”
তিনি আরও জানান, “হত্যার ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলাটির তদন্ত গুরুত্বসহকারে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং শিগগিরই এর নেপথ্যের পুরো চিত্র উন্মোচিত হবে।”
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলমগীর স্থানীয়ভাবে একজন পরিচিত ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি অভিযুক্ত জুয়েলকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে টাকা ধার দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিনেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় আলমগীর জুয়েলের মোটরসাইকেল আটকে রাখেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ৩ অক্টোবর বিকেলে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়, যা শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ