এনসিপির উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল
এসসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতবৃন্দের উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ৮ টার দিকে কলেজ মোড়স্থ বিজয় স্তম্ভ চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দোয়েল চত্বরে এসে সমাবেশ মিলিত হয়।
এসসময় এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুজ্জামান তাওহীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মুকুল মিয়া। তিনি বলেন- "কোন প্রকার সন্ত্রাসী হামলা করে জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিকে রুখে দেওয়া যাবেনা। আমাদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ সকল নেতৃবৃন্দের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।"
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহামুদুল হাসান জুয়েল, মোজাম্মেল হক বাবু, মাসুম মিয়া, যুব শক্তির সংগঠক তারিকুজ্জামান তমাল।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী দিনার মিনহাজ, সদস্য আসাদুজ্জামান, লিটু সরকার, তাজুল ইসলাম, শামীম রানা, শ্রমিক উইংয়ের মমিনুল ইসলাম, নুরুজ্জামান প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
এসসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতবৃন্দের উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।মঙ্গলবার (২৪ জুন) ৮ টার দিকে কলেজ মোড়স্থ বিজয় স্তম্ভ চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দোয়েল চত্বরে এসে সমাবেশ মিলিত হয়।এসসময় এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুজ্জামান তাওহীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মুকুল মিয়া। তিনি বলেন- "কোন প্রকার সন্ত্রাসী হামলা করে জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিকে রুখে দেওয়া যাবেনা। আমাদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ সকল নেতৃবৃন্দের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।"সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহামুদুল হাসান জুয়েল, মোজাম্মেল হক বাবু, মাসুম মিয়া, যুব শক্তির সংগঠক তারিকুজ্জামান তমাল।আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী দিনার মিনহাজ, সদস্য আসাদুজ্জামান, লিটু সরকার, তাজুল ইসলাম, শামীম রানা, শ্রমিক উইংয়ের মমিনুল ইসলাম, নুরুজ্জামান প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
বরিশাল জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বিসিসি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের সময় রসুলপুর গ্রামে কামরুলের গলিস্থ শান্তার মা’র ঘরের ভাড়াটিয়া মো. হামিদ সরদারের (৪৫) ভাড়া নেওয়া এক কক্ষবিশিষ্ট টিনের চালা ও টিনের বেড়াযুক্ত বসতঘরে অভিযান চালানো হয়।অভিযানকালে একটি প্লাস্টিকের ঢাকনাবিহীন ড্রামের ভেতরে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা ও পলিথিন থেকে মোট ৩ কেজি ৭৬০ গ্রাম গাঁজা এবং ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।এর মধ্যে কাগজে মোড়ানো ৪৮৫টি গাঁজার পুরিয়া, যার ওজন ৩ কেজি ৩৩০ গ্রাম এবং লুস গাঁজা ৪৩০ গ্রাম ছিল। এছাড়াও দুইটি নীল রঙের জিপার ব্যাগে প্রতিটিতে ২৫০ পিস করে মোট ৫০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৫০ গ্রাম।আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানার রসুলপুর গ্রামের সোবহান সরদারের ছেলে মো. হামিদ সরদার (৪৫), আরেকজন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা উত্তর চেচরী গ্রামের রহিম মুন্সির মেয়ে শিরিন আক্তার (২০)।অভিযান শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর (শায়েখে চরমোনাই) সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আগে আওয়ামী লীগের লোকজন যে সূরে কথা বলতেন, সেই সূরেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ কথা বলছেন। দেশে শুধু দলের শাসন দেখেছি, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখিনি।মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে এক গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতির পরিবর্তন হয়নি। আগে যে নামে চাঁদাবাজি হতো, শুধু নামের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। তিনি দেশে ইসলাম বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।এ সময় তিনি গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে মাওলানা আওলাদ হোসেন ও গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মুফতি তৌহিদুল ইসলাম।গণ সমাবেশে মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, হাত পাখার বিজয় হলে দেশের বিজয় হবে, মানুষের বিজয় হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রতীক হাত পাখায় ভোট দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অ্যাড. এম. হাছিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ আনওয়ার উল ইসলাম আরিফ, মো. মাহবুবুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাড. মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, আহমাদ আলী, মোহা. আব্দুল মুত্তালিব মন্ডল, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, হাফেজ মাও. মো. খায়রুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, মো. আওলাদ হোসাইন, মো. আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম শরিফ, শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ প্রমুখ। গণ সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সেক্রেটারী মুফতি আল আমিন বীন হোসাইন।বক্তারা গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্তের প্রতিবাদ জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জে শিশুশ্রমের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে ৬১ জন শিশু। তাদের মধ্যে ১২ জন আবারও হাতে তুলে নিয়েছে বই-খাতা, ফিরে গেছে ক্লাসরুমে। জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত দুই অর্থবছরে এই শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে।কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩০ জন এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরও ৩১ জন শিশুকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিশুশ্রমের কাজ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ১২ জনকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে।মোজাম্মেল হোসেন বলেন, "আমরা সরেজমিনে গিয়ে শিশুদের শনাক্ত করে উদ্ধার করি। এরপর শিশুশ্রমে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং শিশুর পরিবারকে সচেতন করি।"শিশুশ্রমে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিদর্শন অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো—সিংগাইর উপজেলার আঙ্গারিয়া এলাকার বিসমিল্লাহ বেকারি এবং রফিকনগর এলাকার আল মদিনা ফুড।শ্রম আইন অনুযায়ী (বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬; সংশোধিত ২০১৩), ১৪ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে শ্রমে নিয়োজিত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদণ্ডসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়।উদ্ধারকৃত ১২ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। দপ্তর সূত্র জানায়, এদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘদিন পর আবার স্কুলের পথে ফিরেছে। কেউ বা প্রথমবারের মতো শিক্ষার স্বাদ পাচ্ছে।স্থানীয় অভিভাবক ও সমাজকর্মীরা বলছেন, শিশুশ্রমের করাল ছায়া থেকে মুক্তি পাওয়া এই শিশুদের শিক্ষাজীবনে ফিরে আসা শুধু তাদের নয়, গোটা সমাজের জন্যই আশার আলো।জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এই পদক্ষেপ সমাজে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। দপ্তরের কর্মকর্তারা শুধু শিশুদের উদ্ধার করেই থেমে থাকেননি, বরং পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে শিশুদের পুনর্বাসনের জন্যও কাজ করছেন।এ বিষয়ে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “আমরা শুধু শিশুদের শ্রম থেকে ফিরিয়ে আনি না, তাদের শিক্ষায় যুক্ত করার বিষয়েও পদক্ষেপ নেই। অনেক প্রতিষ্ঠান মালিক এখন শিশুশ্রম বন্ধে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”শিশুশ্রমে নিযুক্ত ১২ জন শিশুকে শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক রুকাইয়া জান্নাত। তিনি বলেন, “কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহায়তায় ওই ১২ শিশুকে উদ্ধার করে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়। পরে তাদের নিজ নিজ এলাকার নিকটবর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।”তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলে আরও শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।শিশুশ্রম প্রতিরোধে শুধু আইনি পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়—এই বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দারিদ্র্য ও সচেতনতার অভাবই শিশুশ্রমের মূল কারণ। তাই শিশুদের সুরক্ষায় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবার এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের একযোগে কাজ করা জরুরি।মানিকগঞ্জের এই সফল উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অনুকরণীয় মডেল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ভোরের আকাশ/আজাসা