ইরানে হামলা: বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার পর শুক্রবার (১৩ জুন) বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৭% এরও বেশি বেড়ে গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এর ফলে বহু মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি পর্যায়ে উঠেছে তেলের দাম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ৫.১ ডলার বা প্রায় ৭.৪% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৪.৪৬ ডলারে পৌঁছেছে। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দাম ৫.১ ডলার বা ৭.৫% বেড়ে ৭৩.১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি সরকার বলেছে, তারা শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অভিযানের অংশ। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নাতানজে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তদন্তে সাইটের বাইরে কোনো তেজস্ক্রিয় বা রাসায়নিক দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এসইবি বিশ্লেষক ওলে হভালবি রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিক উদ্বেগ ছিল সর্বশেষ ঘটনাবলী হরমুজ প্রণালীর উপর প্রভাব ফেলবে কি না, সেটি নিয়ে। মূল জলপথটি আগেও বর্ধিত আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে প্রভাবের ঝুঁকিতে ছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি প্রভাবিত হয়নি। বিশ্বের মোট ব্যবহৃত তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এই হরমুজ প্রণালী দিয়ে যায়। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে, প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া অথবা এই অঞ্চলের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়ার ফলে প্রতি ব্যারেলের দাম ১২০-১৩০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। বিশ্লেষক জানিভ শাহ বলেন, মূল প্রশ্ন হলো তেলের এই দাম বৃদ্ধি সপ্তাহান্তের চেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে - নাকি এক সপ্তাহের জন্য। আমাদের ইঙ্গিত হলো যে, একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা কম এবং তেলের দাম বৃদ্ধি সম্ভবত প্রতিরোধ করা যাবে। ভোরের আকাশ/আজাসা
১৩ জুন ২০২৫ ০৭:৫৩ পিএম
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান
তেহরানে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেছেন, ইরান প্রায় ১০০টি ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ছোড়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে এরই মধ্যে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় পাঁচ দফা হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সেনারা।এছাড়াও দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, জ্যেষ্ঠ দুই পরমাণুবিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি এবং খতম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দফতরের কমান্ডার গোলামালী রশিদ নিহত হয়েছেন। হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় জড়িত নয়। তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুন ২০২৫ ০১:৪৩ পিএম
জুলাই শহীদদের বাড়িতে ফল দিয়ে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের ওপর হামলা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মৌসুমি ফল বিতরণ শেষে মাদারীপুরে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা কমিটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা । এতে দুজন গুরুতর আহতসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।বুধবার (১১ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা জানান গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর সংলগ্ন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরপ্রসন্নদী বরিশাল গেট চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে (হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট) এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুল তামিম আশিক (২৪) ও যুগ্ম আহ্বায়ক কিরণ আক্তার (২৫)। তারা দুজনই মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। গুরুতর অবস্থায় তাদের দুজনকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়া ইসলাম ও মিথিলা ফারজানাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।স্থানীয়রা ও বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার (১০ জুন) দিনব্যাপী একটি মিনি ট্রাকে করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের বাড়ি বাড়ি মৌসুমি ফল পৌঁছে দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জাবের বিন নূরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা কমিটির নেতাকর্মীরা। ফলগুলো বিতরণ শেষে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া থেকে ট্রাকে করেই ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এলে মিজান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী গাড়ি তাদের মিনি ট্রাককে রাস্তার পাশে চাপ দেয়।পরে মুকসুদপুরের চরপ্রসন্নদী এলাকার বরিশাল গেট রেস্টুরেন্টে এসে গাড়িটি দাঁড়ালে চাপ দেওয়ার কারণ জানতে চান বৈষম্যবিরোধী নেতারা। এ সময় গাড়ির শ্রমিকরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করে এবং নারী সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে বাসের হেলপার। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে রেস্টুরেন্টের ছাদে থাকা একদল কিশোর লাঠিসোঁটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিশাদ রাব্বি জানান, রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সোবহান মুন্সীর বাড়িতে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ মৌসুমি ফল দিয়ে আসার সময় মিজান পরিবহন নামে একটি বাস আমাদের পিকআপটিকে (মিনি ট্রাক) চাপ দেয় এবং গাড়ির হেলপার আমাদের নেত্রীদের (নারী সদস্য) টিজ করে (কুরুচিপূর্ণ কথা বলে)। এ নিয়ে কথা বললে আমাদের ওপর একদল কিশোর গ্যাং সদস্য হামলা চালায়। ওরা সবাই বরিশাল গেট রেস্টুরেন্টের ছাদে বসা ছিল। আমাদের ঝামেলা ছিল মিজান গাড়ির হেলপারের সঙ্গে কিন্তু ওরা হামলা করল কেন! এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জাবের বিন নূর জানান, রেস্টুরেন্টে আমরা খাওয়া-দাওয়া করার জন্য আসি। এ সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা কিরণ ও আশিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১১ জুন ২০২৫ ০৮:৪২ পিএম
নাজিরপুরে মসজিদের ইমামের ওপর হামলার অভিযোগ
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মসজিদের সহকারী ইমাম মো. মাহমুদুল হাসান (৩২) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল সোমবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নাজিরপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।আহত মাহমুদুল হাসান উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ মধ্যমিয়া জামে মসজিদের সহকারী ইমাম পদে দায়িত্ব পালন করছেন।অভিযুক্ত আরিফ ফরাজী (৩৮) একই গ্রামের মৃত জিয়াউদ্দিন ফরাজির ছেলে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত মাহমুদুল হাসান নাজিরপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হতে এশার নামাজ শেষ করে রাস্তার উপর উঠলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শত্রুতার জের ধরে লোহার রড দিয়ে পিছন থেকে তার মাথায় আঘাত করে।পরে উপস্থিত লোকজন তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।।অভিযুক্ত আরিফকে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ওসি মুহাম্মদ মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/জাআ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার নিজ এলাকা সদর দক্ষিণ উপজেলার চাংগীনি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্টের পর সদর দক্ষিণ ও কোতয়ালী মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। এসব মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামি। তবে দুটি মামলায় আসামি হলেও তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত অফিস করতেন।এছাড়াও নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।।সদর দক্ষিণ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি (তোফাজ্জল) ২০২০ সালের ১০ জুলাই চাঙ্গেনী এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে ওই মামলায় জামিনে আছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ জুন ২০২৫ ০২:০৩ পিএম
পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলা, ৬ সাংবাদিক আহত
শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৬ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে শেরপুর সীমান্তের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা কাটাবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গারো পাহাড়ঘেরা বনভূমির ভেতর পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা ও তা ঘিরে বন বিভাগের আপত্তির প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এলাকা পরিদর্শনে যান।পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বনের জমিতে কোনো পর্যটন কেন্দ্র হবে না।তিনি আরো জানান, ওই এলাকায় হাতির জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে।তার এই ঘোষণার পরই স্থানীয় লোকজনের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পর্যটন কেন্দ্রের পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা দুই পক্ষ উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা গাড়িবহরের সাথে থাকা সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে শেরপুরে কর্মরত অন্তত ৬ সাংবাদিক আহত হয়েছে। হামলায় এখন টিভির সাংবাদিক জাহিদুল খান সৌরভ, সময় টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট বাবু চক্রবর্তী, বাংলা টিভির নাঈম ইসলাম, বাংলাদেশের খবরের শাহরিয়ার শাকিরসহ আরো ২ জন আহত হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
খুলনায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ২৮ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছে আদালত। সোমবার (১৯ মে) খুলনা মহানগর হাকিমের বিচারিক আদালত-১ এর বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শেখ জামিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সোহাগ, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবুসহ নেতাকর্মীরা।বিএনপি নেতাদের আইনজীবী গোলাম মাওলা জানান, ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সদর থানার ওসি হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। একই সময়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, তারিকুল ইসলামসহ বিএনপির নেতাদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেই মামলা করে পুলিশ। পুলিশ যথাযথ স্বাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত আসামি সবাইকে খালাস দিয়েছেন। ভোরের আকাশ/এসআই
২০ মে ২০২৫ ০৫:২৭ এএম
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার শিকার আরও ৩৫০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছেই। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য।ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত ভূখণ্ডটিতে গত তিনদিনে হামলার তীব্রতা ব্যাপকহারে বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এ ৭২ ঘণ্টায় অন্তত ৩৫০ জন নিরপরাধ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে দখলদার বাহিনী। সোমবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার (১৮ মে) ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই ১৫১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এর আগের দুইদিনে শুধু উত্তর গাজাতেই অন্তত ২০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলি বর্বর হামলায়। এ নিয়ে গত প্রায় ১৮ মাসে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযানে ৫৩ হাজার ৩৬০ জনেরও বেশি নিরপরাধ ফিলিস্তিনি তাদের প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ মে ২০২৫ ০৮:০২ পিএম
নাইজেরিয়ায় সহিংসতায় নিহত ৫২
নাইজেরিয়ায় সহিংসতার ঘটনায় ৫২ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রেড ক্রসের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার মালভূমি রাজ্যে হামলাকারীরা ৫২ জনকে হত্যা করেছে। আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘাত ও জমি বিরোধের কারণে পরিচিত এ অঞ্চলে সর্বশেষ ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা এটি। খবর এএফপির। মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এ রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এ সঙ্কট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।স্থানীয় সময় রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে বাসসা এলাকার জিকে ও কিমাকপা গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। চলতি মাসে ওই একই রাজ্যের বোক্কোস এলাকার গ্রামে এর আগেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করেছে।রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত ও আরও ৩০টি বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে।তবে মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৫৪। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলার কারণে শত শত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।জাইক এলাকার বাসিন্দা ডোরকাস জন বলেন, অজ্ঞাত হামলাকারীরা এখানে এসে সব জায়গায় গুলি চালিয়েছে। অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র লোক পুরো গ্রামে হামলা চালিয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫২ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ২৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হত্যাযজ্ঞ চলছেই। সবশেষ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৬ সদস্যসহ আরও ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে আরও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় একই পরিবারের ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিম গাজা শহরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রের কাছে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পশ্চিম গাজা শহরের আরেকটি হামলায় সাবেক একজন ফুটবল খেলোয়াড়ও নিহত হয়েছেন। এর বাইরে, দক্ষিণ-পশ্চিম গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া এলাকায় কাঠ সংগ্রহ করতে থাকা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় আরও দুইজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:০৫ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।এক বিবৃতিতে গাজার মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১৩৭ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১ হাজার ৩৯১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৪৩৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং সোমবার ভোর থেকে এ হামলায় কমপক্ষে আরও ৬০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে ৪ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ