সংগৃহীত ছবি
রংপুর মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম শুভকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।
এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইফতেখারুল ইসলাম শুভ রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ ধুমখাটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আহত মামুনুর রশিদ মামুন, আহত জয়নাল আবেদীন বাপ্পী, আহত রমজান আলী ও আহত শহিদুল ইসলাম পৃথক চারটি মামলা করেছেন। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার শুভ দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হামলা ও হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া চারটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গাজীপুরের শ্রীপুরে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে জমা না দেয়ায় ৭৩ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পাঁচটি স্কুলের ৭৩ জন পরীক্ষার্থী এ্যাপারেল ম্যাসুফেকচারিং বেসিক-২ ট্রেডের পরীক্ষার্থী ছিল।জানা যায়, ২০২৫ সালের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় কেন্দ্রে পাচ শিক্ষসপ্রতিষ্ঠানের এ্যাপারেল ম্যাসুফেকচারিং বেসিক-২ বিষয়ে ৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২২ জন, জৈনাবাজার আদর্শ কারিগড়ির ১২জন, পেলাইদ আদর্শ বিদ্যালয়ের ২০ জন, তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের ১২জন,শ্রীপুর কারিগড়ি স্কুলের ৭ জন। সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যথা নিয়মে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে অন্যান্য বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর অন লাইনে পাঠানো হলেও পাঠানো হয়নি এ ৭৩ পরীক্ষার্থীর। ফলাফল পুনঃবিচারের দাবিতে রোববার পরীক্ষার্থীরা শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করে।পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সকলে ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। গত দশ জুলাই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখি আমাদের সকল বিষয়ে ভালো রেজাল্ট হয়েছে। একমাত্র এ্যাপারেল ম্যাসুফেকচারিং বেসিক-২ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছি। এ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর ৪০। আমরা সকলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছি। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের জন্য আমরা অকৃতকার্য হয়েছি। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তানজিল,তামান্না, অনি ও সুমনা সহ পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, ‘আমরা সঠিকভাবে পরীক্ষা দিয়েছি। রেজাল্ট হবার পর দেখি আমরা ফেল।’‘পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমাদের ফল বিপর্যয় হয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। ’পেলাইদ আদর্শ কারিগরি স্কুলের সুপারেন্টেনডেন্ট মো. কামরুল হাসান জানান, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রেজাল্ট দেখে হতবাক। আমার স্কুলের ২০ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পাই তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর জমা না দেয়ায় এমনটি ঘটেছে।কেন্দ্র সচিব সাহানা পারভীন বলেন, ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়েছে। সারভার সমস্যার কারণে হয়তো নম্বর জমা হয়নি। আমরা বোর্ডে যাগাযোগ করেছি। বিষয়টি সমাধান হতে পারে।উপাজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর বোর্ডে লোক পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি কেন্দ্রের কারো দায়ীত্বে অবহেলা আছে কিনা। যদি থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শতাধিক ভর্তি রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার বিতরন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের পক্ষ থেকে উপজেলা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গাজী সাইফুল ইসলাম মিথুনের সহযোগিতায় এসব খাবার বিতরন করে উপজেলা মহিলা দল ও শ্রমিক দল।এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা আক্তার লিলি, পৌর শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক সোয়েবুর রহমান। এান বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম আক্তার, সদস্য মনি বেগম। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা খাবার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।কলাপাড়া পৌর শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক সোয়েবুর রহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সাম্য ও মানবতার বিএনপি’ গড়ার লক্ষে এসব খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে আমরা পৌর শহরের অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মাঝে আম এবং কাঁঠাল বিতরন করেছি। আমাদের এ মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।কলাপাড়া মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা আক্তার লিলি বলেন, হাসপাতালে অনেক অসহায় রোগী আছে যারা ভালো খাবার কিনে খেতে পারেনা। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে এবিএম মোশাররফ হোসেনের পক্ষ থেকে আমরা সাধারণ রোগীদের মাঝে পুষ্টিকর খাবার বিতরন করেছি। আমাদের ধারাবাহিক ভাবে এ কার্যক্রম চলবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আর্থিত ক্ষতির মুখে পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সবজি চাষিরা। ফুল-ফলন ধরা সবজির গাছ গুলোতে পচন ধরেছে। সবুজ গাছগুলো বিবর্ণ ও হলদে হয়ে গেছে। পাতা-লতা নেতিয়ে পড়েছে।উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠের বেশির ভাগ গাছ ভেঙে গেছে, হেলে গেছে গাছ। বিভিন্ন সবজি গাছে করলা, জিঙ্গা, পুই শাক, ধুন্দল। উপজেলা ২০ হেক্টর জমিতে করলা আবাদ হয়েছে। একেক জন সবজি চাষি গড়ে শুধু করলার আবাদ থেকে এক থেকে দুই লাখ টাকার ফলন পাওয়ার আশায় বিভোর ছিলেন। এখন তারা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। `সবজির হাব' খ্যাত কুমিরমারা গ্রাম ঘুরে সবজি চাষিদের এমন দুরবস্থা দেখা গেছে। গ্রামটির শতকরা ৯০ জন মানুষ সারা বছর সবজির আবাদ করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ষাকালীন আবাদ করা সবজির ফলন বাজারজাত করার পর্যায়ে পৌঁছালে অতিবৃষ্টিতে এখন অধিকাংশই শেষ হয়ে গেছে। মানুষ গুলো পুঁজির সঙ্কটে পড়েছেন, জীবিকায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ধানসহ ১২ মাসই এই গ্রামের আবাদি জমি থেকে শুরু করে বাড়ির আশাপাশে, এমনকি ক্ষেতের আইলে পর্যন্ত শাকসবজির আবাদ করে আসছেন। প্রচন্ড উদ্যমী এই মানুষগুলোর হাসিমুখ এখন বিমর্ষ হয়ে গেছে। প্রকৃতির রোষানলে পড়ে মানুষগুলো এখন অনেকটা দিশাগ্রস্ত হয়ে গেছেন।কুমিরমারা গ্রামে সবজি চাষি সুলতান গাজী জানান, তিনি ৭৫ শতক জমিতে করলার চাষ করেছিলেন। ফুল-ফল ধরা গাছ গুলো গত টানা বৃষ্টিতে হলুদ হয়ে গেছে। ফুল-ফল মরে গেছে। তিনি অন্তত এই ক্ষেত থেকে দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু এখন উল্টো এই ক্ষেত তৈরিসহ পরিচর্যায় অন্তত ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন, যার পুরোটাই লোকসান হয়েছে।তিনি আরও জানান, গেল বছর তিনি এই ক্ষেত থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন। এবছর এক টাকাও তুলতে পারেননি। তথ্য দিয়ে বললেন, ‘এই কুমিরামারা, মজিদপুর, পূর্ব সোনাতলা, এলেমপুর, মোস্তফাপুর, পাখিমারা, নাওভাঙার আংশিক এলাকা দিয়ে পাখিমারা বাজারে গত বছর এমন সময় প্রতিদিন ৬-৭ ট্রাক করলা কলাপাড়া, পটুয়াখালী ছাড়াও ঢাকা পর্যন্ত চালান করা গেছে। এই বছর তিন দিনেও এক ট্রাক হয় না।’ তার ভাষ্য, ‘প্রকৃতি যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’ তার দাবি, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন বাস্তবে চোখে দেখছি। যার ক্ষতির ভাগ সরাসরি পাচ্ছি।’পাখিমারা এলাকার কৃষক সোনা মিয়া তার ভাষ্য মতে, এখন বৃষ্টির পানি কমতে শুরু করেছে। আর গাছ গুলো মরতে শুরু করছে। পাতা নেতিয়ে পড়েছে। লাউসহ কিছু সবজি কেটে কলাপাড়া শহরের বিক্রি করছেন বলেও জানান সোনা মিয়া।একইভাবে কুমিরমারা গ্রামের সবজি চাষি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, শাহজাহান গাজী, মাসুম চৌধুরী, সোনাতলার নজরুল আকন, মজিদপুরের শামসু মিয়া, লিটন হাওলাদার, আব্বাস হাওলাদার, নাওভাঙার সালাম সিকদারের করলাসহ সবজির ক্ষেতের সর্বনাশা দৃশ্য দেখা গেছে।মোট কথা, কুমিরমারা, মজিদপুর, পূর্ব সোনাতলা, এলেমপুর, মোস্তফাপুর, নাওভাঙাসহ অধিকাংশ গ্রামের শতকরা ৮০ ভাগ সবজি চাষির বর্ষাকালীন অধিকাংশ সবজির গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। সবজির আবাদসহ ১২ মাস কৃষি নির্ভর মানুষগুলো সাত দিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে সব হারিয়ে ফেলেছেন। ফের আবাদ করবেন, নাকি অন্য কিছু করবেন-এমনটি অনেকে ভাবনায় আনতেও পারছেন না। কৃষিনির্ভর এই পরিবারগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে আবার মাঠে সবজির ক্ষেত তৈরির জন্য পুঁজির যোগান দেওয়ার দাবি করেছেন অধিকাংশরা। পাখিমারার সবজির পাইকারি দোকানি আবুল কালাম জানান, গেল বছর এমন সময় পাখিমারায় সবজির রমরমা ব্যবসা ছিল। বিশেষ করে করলার ছিল টনকে টন আমদনি, এবারে ভিন্ন চিত্র। আশঙ্কাজনক হারে সবজি উৎপাদন কমে গেছে, বৃষ্টিতে চাষিদের সর্বনাশ হয়ে গেছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আরাফাত হোসেন জানান, বিরামহীন বৃষ্টিতে কৃষকের শাকসবজির ক্ষেতের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পানি নামতে শুরু করেছে। পচন রোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা কৃষকদের পাশে আছেন। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন ও ৬-৭ দিন পর পর ওষুধ দিতে হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি একটি ভ্যানের চালক। আহতদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার পশ্চিম রামনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি ভ্যান গৌরিচরণপুর থেকে গোপালপুরের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাসের খাদে পড়ে যায়।এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভ্যানচালক সাগর (২৭), তিনি পিতা: আবদুল আউয়াল, গ্রাম: গৌরিচরণপুর গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে। আহত হয়েছেন দোড়ামথনা গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৭), ইমান আলীর ছেলে শামসুল (৪৫) ও শিশু আয়ান (৬)।আহতদের মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুটির গুরুতর কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ভ্যান জব্দ করেছে। ঘাতক বাস চালক পালিয়ে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাগুরা হাইওয়ে থানা পুলিশ।ভোরের আকাশ/আজাসা