ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৮ পিএম
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ প্রকাশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে জমা না দেয়ায় ৭৩ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পাঁচটি স্কুলের ৭৩ জন পরীক্ষার্থী এ্যাপারেল ম্যাসুফেকচারিং বেসিক-২ ট্রেডের পরীক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, ২০২৫ সালের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় কেন্দ্রে পাচ শিক্ষসপ্রতিষ্ঠানের এ্যাপারেল ম্যাসুফেকচারিং বেসিক-২ বিষয়ে ৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এদের মধ্যে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২২ জন, জৈনাবাজার আদর্শ কারিগড়ির ১২জন, পেলাইদ আদর্শ বিদ্যালয়ের ২০ জন, তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের ১২জন,শ্রীপুর কারিগড়ি স্কুলের ৭ জন। সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যথা নিয়মে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে অন্যান্য বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর অন লাইনে পাঠানো হলেও পাঠানো হয়নি এ ৭৩ পরীক্ষার্থীর। ফলাফল পুনঃবিচারের দাবিতে রোববার পরীক্ষার্থীরা শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করে।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সকলে ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। গত দশ জুলাই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখি আমাদের সকল বিষয়ে ভালো রেজাল্ট হয়েছে।
একমাত্র এ্যাপারেল ম্যাসুফেকচারিং বেসিক-২ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছি। এ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর ৪০। আমরা সকলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছি। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের জন্য আমরা অকৃতকার্য হয়েছি।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তানজিল,তামান্না, অনি ও সুমনা সহ পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, ‘আমরা সঠিকভাবে পরীক্ষা দিয়েছি। রেজাল্ট হবার পর দেখি আমরা ফেল।’
‘পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমাদের ফল বিপর্যয় হয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। ’
পেলাইদ আদর্শ কারিগরি স্কুলের সুপারেন্টেনডেন্ট মো. কামরুল হাসান জানান, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রেজাল্ট দেখে হতবাক। আমার স্কুলের ২০ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পাই তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর জমা না দেয়ায় এমনটি ঘটেছে।
কেন্দ্র সচিব সাহানা পারভীন বলেন, ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়েছে। সারভার সমস্যার কারণে হয়তো নম্বর জমা হয়নি। আমরা বোর্ডে যাগাযোগ করেছি। বিষয়টি সমাধান হতে পারে।
উপাজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর বোর্ডে লোক পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি কেন্দ্রের কারো দায়ীত্বে অবহেলা আছে কিনা। যদি থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা