মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত একটি সাবান কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল সাবান জব্দ করেছে র্যাব। এ সময় কারখানার মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রাথুরা এলাকায় র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকার মোন্নাফ আহমেদের ছেলে মোনায়েম আহমেদ।র্যাব জানায়, মোনায়েম আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে তার কারখানায় ডেটল, ডাব, কিটোনিমসহ বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল সাবান উৎপাদন করে আসছিলেন। অভিযানে এসব নকল সাবান ও কাঁচামাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। একই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে নকল সাবান তৈরির একটি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৫০ ধারায় কারখানার মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ভোরের আকাশ/জাআ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:০১ পিএম
ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে নতুন জীবনের পথে তারা
সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ চারিগ্রামের উজ্জ্বল হোসেন একজন ভূমিহীন। ঘর পেয়েছেন সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। তার একমাত্র ছেলে সজল আলী বাকপ্রতিবন্ধী। ছেলেকে বিয়েও করিয়েছিলেন তিনি। ছয় বছরের এক নাতি আছে তার। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে সে। তবে দুঃখের বিষয় প্রতিবন্ধী হওয়ায় বউ তার ছেলেকে ছেড়ে চলে গেছে। ফলে সংসারের ঘানি টানতে ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেন সজল। তবে ভিক্ষার আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে।বুধবার মানিকগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সজল আলীকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা দেওয়া হয়েছে। শুধু সজল আলী নয়, তার মত আরও ছয়জনকে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনকে মুদি দোকান ও একজনকে গবাদী পশু খাদ্যের দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।মুদি দোকানপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- সিংগাইর পৌরসভার নয়াডিঙ্গি এলাকার রুকমানের মেয়ে ফাতেমা বেগম, জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা এলাকার গৈজুদ্দিনের ছেলে সমসের আলী, জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভূমদক্ষিণ এলাকার সোবহান মোল্লার মেয়ে সালেহা খাতুন, পূর্ব ভাকুম এলাকার মঙ্গল মোল্লার মেয়ে গোনাই বিবি ও চান্দইর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম এলাকার নবীব মিয়ার মেয়ে মোমেনা। এছাড়া বলধারা ইউনিয়নের বড়বাকা এলাকার সিদ্দিক আলীর ছেলে আজমত আলীকে দেওয়া হয় গবাদী পশু খাদ্যের দোকান।রিকশা পেয়ে খুশি সজল ও তার পরিবার। তার বাবা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, সরকার আমার ছেলেকে একটি রিকশা কিনে দিয়েছে। আমার ছেলে এখন আর ভিক্ষা করবে না। আমি বাবা হিসেবে এখন বলতে পারব, আমার ছেলে এখন রিকশা চালায়।জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল বাতেন বলেন, সরকারি নির্দেশনায় ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সিংগাইর উপজেলার ৭ জন ভিক্ষুককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলো। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সমাজে কেউ যেন অবহেলিত না থাকে সেই লক্ষে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে যেন ভিক্ষাবৃত্তি করে না চলতে হয় সেই লক্ষে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতার মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানো উচিত।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৯ পিএম
মানিকগঞ্জে ছেলের হাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে অর্থ-সম্পদের দ্বন্দ্বের জেরে ছেলের হাতে মায়ের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম করুনা রানী ভদ্র (৬২)। তিনি মৃত ফটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্র (৪২) হত্যার পর পালিয়ে যায়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অর্থ-সম্পদ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল।ধারণা করা হচ্ছে, সেই বিরোধের জের ধরে ভোর রাতে রবি চন্দ্র ভদ্র ধারালো বটি দিয়ে বসতঘরের ভেতর মাকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই করুনা রানী ভদ্র মারা যান।খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ আর এম আল মামুন বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছেলে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৩০ পিএম
ভাঙা হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে বিয়ে!
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। এখনো সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেননি বর আনন্দ সাহা। তবে নির্ধারিত লগ্ন শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে থেমে থাকেনি বিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজন হয় বিয়ের।এমনি ব্যতিক্রমী এই বিয়ের আয়োজনের ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের অস্থায়ীভাবে খালি রাখা একটি অংশে এই বিশেষ বিয়ের আয়োজন করেন বর ও কনেপক্ষ।জানা গেছে, দুর্ঘটনায় আহত বর আনন্দ সাহার বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের বাজার রোড এলাকায় এবং কনে অমৃতা সরকার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী গ্রামের বাসিন্দা। হাত-পা ব্যান্ডেজে বাঁধা অবস্থায় থাকলেও নির্ধারিত লগ্ন মিস না করতে দুই পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজন হয় বিয়ের।হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়েই হাসপাতালে বিয়েবর ও কনের স্বজনরা জানায়, পঞ্জিকা অনুসারে শুভ তিথি ও নক্ষত্র দেখে বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিবাহ একটি পবিত্র সামাজিক পরিণয়, যা দুটি আত্মার আত্মিক মিলন এবং একটি পরিবারকে একসঙ্গে যুক্ত করে। আনন্দ সাহার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই বিয়ের আয়োজন করা হয়।এদিকে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে বিয়ের সম্পন্ন হওয়ায় বর-কনে দুজনেই আনন্দিত। ইতোমধ্যে ব্যতিক্রমী এই বিয়ের আয়োজনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।বর আনন্দ সাহা বলেন, কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ। দুর্ঘটনার পূর্বে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।এদিকে মোবাইলে কনে অমৃতা সরকার কালবেলাকে জানান, পারিবারিকভাবেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। তার কাছে এমন বিয়ের আয়োজন ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে বলে জানান। স্বামীর সুস্থতা ও তাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি।হাসপাতালের মেডিকেল অ্যান্ড ইউনিট হেড ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন রোগী (বর) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তার এক হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। সেদিনই তার বিয়ের দিন ছিল। পরিবার আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা গুরুত্ব সহকারে কনসালটেন্টদের সঙ্গে আলোচনা করি। রোগীর অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল মনে হওয়ায় হাসপাতালের অব্যবহৃত অংশে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়। আমাদের কর্তৃপক্ষ সবসময় রোগীদের সেবায় আন্তরিক।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৫ এএম
মানিকগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
মানিকগঞ্জে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে মনিকগঞ্জের সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রশিক্ষা মোড়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার নিলুয়া গ্রামের পরশ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৩) ও একই জেলার হরিরামপুর থানার কৌরি ঝিটকা গ্রামের মৃত শেরজন মোল্লার ছেলে মনির হোসেন (৬০)।এ ঘটনায় সিএনজিতে থাকা আহত অপর যাত্রীরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার দক্ষিন সেওতা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহসিন (৩২) ও পাবনা জেলার সাথিয়া থানার পাটগাড়ি গ্রামের মৃত আফাজউদ্দিনের ছেলে শাহজাহান আলী (৬০)।সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চারজন যাত্রী ছিলেন। অটোরিকশাটি সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ যাত্রী মারা যান।তিনি বলেন, গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:২৫ পিএম
আমাদের সময় বেশিদিন নাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সময় বেশিদিন নাই। আমরা একটি কৃষি আইন করে দিয়ে যাবো। যাতে কৃষিজমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা না যায়। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে যখন কোনো রাস্তা করে তখন জমির মালিককে তিনগুণ দাম দিতে হয় তেমনি এলজিইডিকেও তিনগুণ দাম দিতে হবে।বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ধল্লা এলাকায় ফারমার্স মিনি কোল্ড স্টোরেজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সময় বেশিদিন নাই। আমরা একটি কৃষি আইন করে দিয়ে যাবো, যাতে কৃষিজমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা না যায়। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে যখন কোনো রাস্তা করে, তখন জমির মালিককে তিনগুণ দাম দিতে হয়, তেমনি এলজিইডিকেও তিনগুণ দাম দিতে হবে।তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি পলিথিন ও প্লাস্টিকের পানির বোতল বর্জন করতে পারেন, তবে সবাই পাটজাত পণ্য ব্যবহার করতে পারবেন। পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগে দেখেছেন আমাদের বাবা-দাদারা চটের ব্যাগ ব্যবহার করতেন, আপনারাও তা ব্যবহার করবেন। দেখবেন, এতে কৃষির উন্নতি হবে এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন সম্ভব হবে।অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন, জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. রবিআহ নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মানিকগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের মামলার পলাতক আসামি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস আমিনুর রহমান সেলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ। গ্রেফতার আমিনুর রহমান সেলিম সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের রমনপুর গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ছেলে। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে দিঘি এলাকার নিজ বাসভবন থেকে আমিনুর রহমান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে আদালতে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১১:৫৬ এএম
মানিকগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক অবস্থায় বাবুল হোসেন (৫৫) নামের এক ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃত বাবুল হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. হুমায়ূন কবির খান বলেন, ‘বাবুল হোসেন কিছুদিন ধরে কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে তার বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।’হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, বাবুল হোসেনকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’ওসি জানান, গড়পাড়ায় শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি ছিলেন তিনি। গত চার মাস ধরে তিনি মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে রাজ্জাক শেখ (৫১) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।দণ্ডিত রাজ্জাক শেখ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মৃত অন্তেষ শেখের ছেলে।আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি বিকেলে রাজ্জাক শেখ সরিষার ফুল দেখানোর কথা বলে প্রতিবেশী এক শিশুকে ধানক্ষেতের পাশে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ওই শিশু ফুলসহ বাড়িতে ফিরে মাকে বিষয়টি জানায়।পরদিন ১৬ জানুয়ারি শিশুটির বাবা শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্জাক শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৩:৫৩ পিএম
ছিলেন কক্সবাজারে, তবুও মানিকগঞ্জে হামলা মামলার আসামি
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে বিক্ষোভে হামলার অভিযোগে করা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন একজন এমন ব্যক্তি, যিনি ঘটনার সময় পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার ভ্রমণে ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই। সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাক অনুসারে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের খালপাড় ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেই বিক্ষোভে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ঘটনায় বহু মানুষ আহত হন। এ ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর, ২০২৫ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মেহেরাব হোসাইন (১৯)। সিআর মামলা নম্বর ৪৮৪। মামলায় নাম উল্লেখ করা হয় ২১৭ জনের। আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে রাখা হয় অজ্ঞাতনামা আসামির তালিকায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।তবে মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন—এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন—দুইবার আসামি হয়েছেন। তিনি মামলার ৪১ ও ৭৭ নম্বর আসামি। ৪১ নম্বরের তালিকায় তাঁর পিতার নাম দেওয়া হয়েছে আবদুল গফুর, ঠিকানা—মহেশখো, হরিরামপুর। আবার ৭৭ নম্বর তালিকায় পিতার নাম অজ্ঞাত, ঠিকানা—রনি মেনশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা।প্রশ্ন উঠেছে, একজন ব্যক্তি কীভাবে একই মামলায় দুবার আলাদা পরিচয়ে আসামি হতে পারেন?আরো বিস্ময়ের জন্ম দেয় এই যে, ঘটনার দিন এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন পরিবারসহ কক্সবাজারে ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি স্ত্রী আফরোজা বেগম এবং দুই কন্যা এশা ও অরিশাকে নিয়ে ১৭ জুলাই কক্সবাজারে যান। তারা হোটেল সি ওয়াল্ডে তিন রাত অবস্থান করেন এবং ২০ জুলাই মানিকগঞ্জে ফেরেন।এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে হোটেল সি ওয়াল্ডের বিলের একটি অনুলিপি। তাতে দেখা যায়, ১৫ জুলাই বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা অগ্রিম পাঠিয়ে ১৭ জুলাই দুইটি রুম বুকিং দেন দেলোয়ার। পুরো থাকার জন্য ২১ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করেন তিনি। এ ছাড়া দেলোয়ার হোসেনের কক্সবাজার সফরের বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে তাকে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে দেখা যাচ্ছে।মামলায় নিজের নাম থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, "ঘটনার আগের দিন থেকেই আমি কক্সবাজারে ছিলাম। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে জানতে পারি, আমাকে ওই হামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি নাকি ছাত্রদের ওপর হামলা করেছি! বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।"তবে মামলার বাদী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মেহেরাব হোসাইনের দাবি, এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ঘটনার দিন মানিকগঞ্জে ছিলেন। হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাঁর নেতৃত্বে দুই বাস কর্মী এনে হামলা চালানো হয়েছে।মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। যেহেতু এটি সিআর মামলা, তাই আদালতের নির্দেশনার আলোকে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা না থাকলে সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
২২ জুলাই ২০২৫ ০৮:৩১ পিএম
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাপস সাহা গ্রেফতার
মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য তাপস সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রোববার (২০ জুলাই) রাতে জেলা শহরের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় তাপস সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”তাপস সাহা মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি আগে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ