নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যার পর শিপলু নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের বাবুরাইল বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), মোহিনী আক্তার মীম (২৫) ও আফরান (৪)।জানা যায়, বাবুরাইল এলাকার রংধনু সমিতি নামের একটি সমিতির ম্যানেজার ছিলেন শিপলু। ২০২১ সালে সমিটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সমিতির টাকার বেশ কিছু লেনদের বকেয়া ছিল শিপলুর। এর চাপ সইতে না পেরে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, স্ত্রী ও সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর শিপলু নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। আর্থিক সমস্যার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন এক নারী। পরিবারকে বলেছিলেন, তিনি ইউরোপ ভ্রমণে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই ভ্রমণের আড়ালে ছিল এক বিশেষ পরিকল্পনা। প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবন শেষ করতে যাচ্ছিলেন তিনি।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি খরচ করেন (২১,৪০০ ডলার) বা ২৬ লাখ টাকারও বেশি।গত ৮ জুলাই আয়ারল্যান্ডের ক্যাভান থেকে লিথুয়ানিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মওরিন স্লাউ (৫৮)। তারপর গোপনে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে— যেখানে স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে নিজের জীবন সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন তিনি।তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন পরিবারের কেউ জানত না তার আসল উদ্দেশ্য। কেবল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। পরদিন মওরিনের মেয়ে মেগান রয়্যাল এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন মায়ের পরিকল্পনার কথা। সেই বন্ধুই তাকে জানান, “তোমার মা সুইজারল্যান্ডে। তিনি সেখানে আত্মহত্যা করতে গেছেন।”মেগান সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে খবর দেন। পরিবার মরিয়া হয়ে মওরিনের খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু পরদিনই আসে হৃদয়বিদারক সংবাদ। হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তায় জানানো হয়— মওরিন আর বেঁচে নেই। বার্তাটি পাঠিয়েছিল পেগাসোস নামের একটি সংগঠন- যাদের কাজ মূলত মানুষকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা। তারা আরও জানায়, মওরিনের অস্থি ডাকযোগে ৬-৮ সপ্তাহ পর পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।মেগান বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি একা ছিলাম, কোলে ছোট্ট সন্তান। বার্তাটি পড়েই আমি ভেঙে পড়ি। মনে হলো আমার দুনিয়া ভেঙে গেল।’পরবর্তীতে জানা যায়, মওরিন পেগাসোসের মাধ্যমে তার স্বেচ্ছামৃত্যু আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা (২১,৪০০ ডলার) খরচ করেছিলেন তিনি।সুইজারল্যান্ডে ১৯৪২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে সহায়তা বৈধ হলেও ইউথানেশিয়া নিষিদ্ধ। এখানে রোগী নিজেই ওষুধ গ্রহণ করে মৃত্যুর পথ বেছে নেন।তবে মওরিনের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সংগঠনটি পরিবারকে কিছু না জানিয়েই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। মওরিনের ভাই, যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ফিলিপ স্লাউ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন।মওরিনের মেয়ে বলেন, ‘আমার মা ছিলেন প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিমতী মানুষ। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। দুই বোনকে হারানোর পর ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন তিনি। আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি কষ্টে ছিলেন। কিন্তু সেটা এতটা গভীর ছিল না যে জীবন শেষ করে দিতে হবে। তিনি মরণব্যাধিতে ভুগছিলেন না। আরও অনেক জীবন তার বাকি ছিল।’আগস্টের শুরুতে মওরিনের অস্থি এসে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ডে। মাসের শেষে তাকে দুই বোনের পাশে সমাহিত করা হয়। মেগান বলেন, ‘আমরা তাকে বোনদের সঙ্গে কবর দিয়েছি। কিন্তু শোক থেকে বের হওয়া এখনো আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে আছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন এক নারী। পরিবারকে বলেছিলেন, তিনি ইউরোপ ভ্রমণে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই ভ্রমণের আড়ালে ছিল এক বিশেষ পরিকল্পনা। প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবন শেষ করতে যাচ্ছিলেন তিনি।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি খরচ করেন (২১,৪০০ ডলার) বা ২৬ লাখ টাকারও বেশি।গত ৮ জুলাই আয়ারল্যান্ডের ক্যাভান থেকে লিথুয়ানিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মওরিন স্লাউ (৫৮)। তারপর গোপনে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে— যেখানে স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে নিজের জীবন সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন তিনি।তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন পরিবারের কেউ জানত না তার আসল উদ্দেশ্য। কেবল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। পরদিন মওরিনের মেয়ে মেগান রয়্যাল এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন মায়ের পরিকল্পনার কথা। সেই বন্ধুই তাকে জানান, “তোমার মা সুইজারল্যান্ডে। তিনি সেখানে আত্মহত্যা করতে গেছেন।”মেগান সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে খবর দেন। পরিবার মরিয়া হয়ে মওরিনের খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু পরদিনই আসে হৃদয়বিদারক সংবাদ। হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তায় জানানো হয়— মওরিন আর বেঁচে নেই। বার্তাটি পাঠিয়েছিল পেগাসোস নামের একটি সংগঠন- যাদের কাজ মূলত মানুষকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা। তারা আরও জানায়, মওরিনের অস্থি ডাকযোগে ৬-৮ সপ্তাহ পর পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।মেগান বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি একা ছিলাম, কোলে ছোট্ট সন্তান। বার্তাটি পড়েই আমি ভেঙে পড়ি। মনে হলো আমার দুনিয়া ভেঙে গেল।’পরবর্তীতে জানা যায়, মওরিন পেগাসোসের মাধ্যমে তার স্বেচ্ছামৃত্যু আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা (২১,৪০০ ডলার) খরচ করেছিলেন তিনি।সুইজারল্যান্ডে ১৯৪২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে সহায়তা বৈধ হলেও ইউথানেশিয়া নিষিদ্ধ। এখানে রোগী নিজেই ওষুধ গ্রহণ করে মৃত্যুর পথ বেছে নেন।তবে মওরিনের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সংগঠনটি পরিবারকে কিছু না জানিয়েই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। মওরিনের ভাই, যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ফিলিপ স্লাউ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন।মওরিনের মেয়ে বলেন, ‘আমার মা ছিলেন প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিমতী মানুষ। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। দুই বোনকে হারানোর পর ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন তিনি। আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি কষ্টে ছিলেন। কিন্তু সেটা এতটা গভীর ছিল না যে জীবন শেষ করে দিতে হবে। তিনি মরণব্যাধিতে ভুগছিলেন না। আরও অনেক জীবন তার বাকি ছিল।’আগস্টের শুরুতে মওরিনের অস্থি এসে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ডে। মাসের শেষে তাকে দুই বোনের পাশে সমাহিত করা হয়। মেগান বলেন, ‘আমরা তাকে বোনদের সঙ্গে কবর দিয়েছি। কিন্তু শোক থেকে বের হওয়া এখনো আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে আছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৬ এএম
স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঋতু আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের শিমরাইল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে এবং সে পৌর শহরের চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।আজ(৬ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকালে নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার আগে গতকাল শুক্রবার আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে স্কুল শিক্ষার্থীর বাড়ির রান্নাঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান,স্বজনরা মৃত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে।বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, স্বজনরা নিহত স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে অভিমানে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বিকেলে হঠাৎ করে চিৎকারের আওয়াজ শুনে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঋতু তাদের রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে পড়নের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নিহত মেয়ের পরিবার অত্যন্ত ভালো একটি পরিবার। সে পরিবারের কাছে স্মার্টফোন বায়না করেছিল। কিন্তু সচেতন পরিবার হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে স্মার্টফোন কিনে দিতে রাজি হয়নি। এতে অভিমানে ফাঁকা বাড়িতে মেয়েটি এমনকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারাঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ ভোরের আকাশ/হ.র
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:২৯ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নে বাঁধন মিয়া (২০) নামে এক যুবকের আত্মহত্যা।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত বাঁধন মিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্ৰামের মোশাররফ মিয়ার ছোট ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে সকালে তার নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় নিহতের মা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।কি কারণে আত্মহত্যা করেছে; এমন প্রশ্নে তার পরিবারের একজন সদস্য জানায়, তেমন কোনো সমস্যা ছিল না, রাতেও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কারণ বলা যাচ্ছে না, ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।'নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৩৩ পিএম
পিরোজপুরে চিরকুট লিখে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যবসায়ী।বুধবার (২৭ আগস্ট) কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ওই ব্যবসায়ীর নাম নান্না ফরাজী (৫৫)। তিনি উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা। নান্না স্থানীয় বাজারে সুপারির ব্যবসা করতেন।মৃত ব্যবসায়ীর ফরাজীর বড় ভাই তোফায়েল ফরাজী জানান, তার ভাই নান্না ফরাজি স্থানীয় বাজারে সুপারির ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসার জন্য এনজিও ও স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। নান্না ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তোফায়েল ফরাজী।বিষপানের আগে চিরকুটে লিখে যান নান্না ফরাজী। তিনি লেখেন, আমি নান্না ফরাজী। আমার মৃত্যুর জন্য ফ্যামিলির কোনো লোক দায়ী না। আমার মেলা টাকা দেনা, তা দেওয়ার মতো কোনো পথ নাই, তাই দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। ভাই-বন্ধু মাফ করতে পারলে মাফ করবেন।মঠবাড়িয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৭ আগস্ট ২০২৫ ১০:১৮ পিএম
কথা রাখেনি প্রেমিকা, অভিমানে যা করলেন প্রেমিক
প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে যশোরে এক যুবক গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা সলুয়ার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।আত্মহত্যার চেষ্টাকারী যুবক হাবিবুর রহমান (২০) চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান মন্টুর ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাশাপোল গ্রামের জ্যোতি নামের এক তরুণীর সঙ্গে হাবিবুরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জ্যোতির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না। একপর্যায়ে জ্যোতিও পরিবারের পক্ষ নেয়, যা তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। এ নিয়ে হাবিবুর ও জ্যোতির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল।এরই জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাবিবুর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, হাবিবুর রহমান নামে এক যুবক গলায় ছুরি চালিয়েছে। তাকে সেবা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০৪:০০ পিএম
কুড়িগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পরিবারের সাথে অভিমান করে মিলন (২২) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলা ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবির মামুদ দালালী টারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ওই গ্রামের মকবুল হোসেন কসাইয়ের ছেলে। জানা গেছে, নিহত যুবক মিলনের বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী সানজিদার সাথে শাশুড়ির বনিবনা নেই। যার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া লেগেই থাকে পরিবারে। এ নিয়ে রোববার রাতে নিহত যুবক মিলনকে শাসন করে পরিবারের লোকজন। ওই রাতেই সবার অজান্তে শোয়ার ঘরের ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। ঘটনার সময় নিহতের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে ছিলেন।ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানান, ঘটনাস্থলে সার্কেল স্যার পরিদর্শন করেছেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০৩:২৪ পিএম
বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় লোক-লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে। জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী উপজেলার আউরিয়া গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেনের মেয়ে। সে অকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছেন।শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের ৬নং আউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, গত এক মাস আগে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পাত্রপক্ষের কাছে নিহতের টপস ও টি শার্ট পরিহিত একাধিক ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছেলে পক্ষের কাছে পাঠালে পাত্রপক্ষ ওই বিয়ে ভেঙে দেয়। সেই কারণে তিনি অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।নিহতের বাবা মো. জাহিদ হোসেন জানান, গত এক মাসে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের তারিখও পড়েছে। ছেলে পক্ষের কাছে একটি টপস ও টি শার্ট পরিহিত ছবি কেবা কাহারা পাঠিয়েছে জানিনা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। এটা আমার মেয়ে সহ্য করতে পারিনি তাই কাউকে না জানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সন্ধ্যার পূর্বেও স্থানীয় চাচা আইয়ুব আলীর দোকান থেকে আমার মেয়ে মোবাইলের জন্য এমবি কার্ড কিনে বাসায় এসে কার সাথে যেন ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করেছে শুনতে পেরেছিলাম।নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমা আক্তার জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে গেছেন।নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনা সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। আগামীকাল লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১১:১৩ এএম
পাথরঘাটায় চিরকুট লিখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় নিলিমা (২৩) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার হাড়িটানা গ্রামে তার পিতার বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।নিহত নিলিমা প্রবাসী নিলয়ের স্ত্রী এবং মৃত নারায়ণ চন্দ্র হাওলাদারের কন্যা।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় নিলিমার মা প্রভাতী রানী বাড়ির বাইরে ছিলেন। পরে বাসায় ফিরে এসে তিনি ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে নিলিমাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।স্থানীয়রা জানায়, স্বামী বিদেশে থাকাকালে নিলিমা প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। সম্প্রতি তিনি গর্ভবতী হলে সেই যুবক বিষয়টি অস্বীকার করেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নিলিমা। পরে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুটে আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে গেছেন বলে পরিবারের দাবি।পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/মো.আ.
২১ আগস্ট ২০২৫ ০২:৪২ পিএম
আমার মৃত্যুর কারণ লতিফ শিকদারের ছেলে পান্না
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন (১৬) নামে এক নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে।মৃত্যুর আগে সে দেড় পৃষ্ঠার একটি হৃদয়বিদারক চিরকুট লিখে গেছে, যেখানে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের ব্যর্থতার বর্ণনা দেওয়া। নিহত নাসরিন রঘুনাথপুর গ্রামের দীন মজুর এসকেন্দার মিয়ার মেয়ে এবং রঘুনাথপুর হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।ওই শিক্ষার্থীর ভাগিনা জানান, সে মারা যাওয়ার কারন হচ্ছে সে খাতায় লিখে গেছে আমরা পড়ছি, একটা ছেলের সাথে তার দীর্ঘদিন রিলেশন ছিল। সেই ছেলে বিয়ার প্রত্যাশা দিয়া তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এখন সে বিবাহ করতে রাজি হচ্ছে না। এজন্য সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। যে ছেলেটির সাথে সম্পর্ক করতো সে ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তার নাম পান্না শিকদার তার পিতার নাম লতিফ সিকদার। আমি বেলা একটার দিকে খবর পেয়ে দোকান থেকে এসে দেখি মারা গেছে। আপনারা এমন একটি প্রতিবেদন করবেন যাতে সুষ্ঠ বিচার হয় আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।ওই শিক্ষার্থীর ভাবী জানান, পান্না ওকে ডিস্টার্ব করার কারণে অনেক দিন স্কুলে ও যেতে পারেনি। অনেক খারাপ খারাপ কথা বলতো। ওকে বিবাহ করবে না বলায় ও এই আত্মহত্যা করেছে।আমরা এর শাস্তি চাই।চিরকুটে লেখা ছিল, আমি মরার কারণ হলো মসজিদ শিকদারের একমাত্র ছেলে পান্না শিকদার সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার দেহ ভোগ করেছে। আমার শেষ ইচ্ছা ওর এমন সাজা হোক যাতে আমার মত আর কারো জীবন না নষ্ট করতে পারে। বাবা এবং ভাই ও বোনের পারলামনা তোমাদের কথা রাখতে।আমাকে মাফ করে দিও। আমি বিয়ে করলেও কোনদিন সুখী হতাম না। আমি তো এমনিতে জাহান্নামী। আর মা আমি তো কি হইছে। আরও তো ভাই বোন আছে। আমাকে বিয়া দিবা না মনে করবা আমি শশুর বাড়ি। কান্না করবা না একটুও। আমার বুকে না অনেক কষ্ট। তাই আর সহ্য করতে পারলাম না। পান্নার জন্য কিনা করছি কিন্তু ও মিথ্যা অপবাদ দিলো।আমি নাকি সারা বেড়াগো সাথে কথা কই। তাই হলে ওর কাছে বারবার যেতাম না। বিদায় সবাই ভালো থাকো।ওর জন্য আমার অনেক কথা শুনতে হইছে। আমি ওর উচিত শিক্ষা চাই। good byeএ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ