প্রতীকী ছবি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
বুধবার (২৭ আগস্ট) কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ব্যবসায়ীর নাম নান্না ফরাজী (৫৫)। তিনি উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা। নান্না স্থানীয় বাজারে সুপারির ব্যবসা করতেন।
মৃত ব্যবসায়ীর ফরাজীর বড় ভাই তোফায়েল ফরাজী জানান, তার ভাই নান্না ফরাজি স্থানীয় বাজারে সুপারির ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসার জন্য এনজিও ও স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। নান্না ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তোফায়েল ফরাজী।
বিষপানের আগে চিরকুটে লিখে যান নান্না ফরাজী। তিনি লেখেন, আমি নান্না ফরাজী। আমার মৃত্যুর জন্য ফ্যামিলির কোনো লোক দায়ী না। আমার মেলা টাকা দেনা, তা দেওয়ার মতো কোনো পথ নাই, তাই দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। ভাই-বন্ধু মাফ করতে পারলে মাফ করবেন।
মঠবাড়িয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উপলক্ষে কো অডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোলায়মান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ শহিদুজ্জামান, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা এবাদত হোসেন, জাতীয় ইমাম সমিতি কাউখালী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন ইপিআই টেকনোলজিস্ট এবিএম আনিসুল হক।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য টিকা প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে টিকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আহমেদ জানান, কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিসিভি ক্যাম্পেইন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৩০৮জন ও কমিউনিটি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৫৫৯ জন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন চলবে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। কমিউনিটি পর্যায়ে ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। উপজেলায় মোট ১২০টি টিকাদান কেন্দ্র চলমান থাকবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৮ অক্টোবর বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিপুল সংখ্যক কিশোরীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।"আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি" এবছরের এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দেশব্যাপী একযোগে দিবসটি পালিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।বিআরডিবি কর্মকর্তা দিলারা আক্তার মনি ফকিরের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোঃ নাহিদুল হক, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য মাওলানা শেফাউল হক, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার তামান্না রশিদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রহিমা খাতুন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার আবু সাঈদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের নেতা রাশেদ রবি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রত্না আক্তার, তথ্যসেবা কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা প্রমুখ।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান নারী অধিকারের যুগে, সুশাসনের ও মানবাধিকারের যুগে কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলা আগের তুলনায় অনেক কমলেও তা যে একেবারে নেই, তা বলা যাবে না। এ ধরনের মানসিকতা এখনো আমাদের সমাজ থেকে পুরোপুরি দূর হয়নি। ক্ষেত্র বিশেষে কন্যা সন্তানের প্রতি আগ্রহ বাড়লেও সামাজিকভাবে কন্যা সন্তানের অভিভাবকরা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে থাকেন। বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা-শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে।বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ কন্যা-শিশু যাদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা-জায়া-জননীর বাইরেও কন্যা-শিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে।স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যা-শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানতম অন্তরায় এবং আমাদের সমাজ কন্যা শিশুদেরকে বোঝা মনে করে। কন্যা শিশুদের পড়াশোনার পেছনে টাকা খরচ করতে চায় না। তারা মনে করে বিয়ে দিতে পারলে বোঝা দূর হয়ে গেল। তবে সময় অনেক বদলেছে। কন্যা শিশুরা এখন আর বোঝা নয়। বরং কন্যা শিশুরা হলো সর্বোত্তম বিনিয়োগ ও সমাজের আলোকবর্তিকা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা প্রশাসক ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস।বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সারে ১১টায় উপজেলা হলরুমে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসাহাক আলী বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই আমাদের ভবিষ্যতের মা, ভবিষ্যতের নাগরিক-এই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। আমি কন্যাশিশু-স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ফুলবাড়ীসহ সারাদেশে‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫’ উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে ছিল আমাদের কিশোরী ও নারীরা। তারা আমাদেরকে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিতা মন্ডল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামাত ইসলামের উপজেলা শাখা আমির মোঃ হাবিবুর রহমান রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. রাশেদা আক্তার।আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী বৃন্দসহ প্রিন্ট হয়ে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়ি বহর যানজটে আটকে পড়লে, তিনি বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বেহাল সড়ক পরিদর্শনের জন্য বিশ্বরোডের দিকে রওনা হন।ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেহালদশা ও যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়ার পথে নিজেই তীব্র যানজটের কবলে পড়েন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে যাওয়ার কথা তাঁর।আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, সকাল সোয়া ১০টায় দিকে উপদেষ্টার গাড়িবহর আশুগঞ্জের হোটেল উজানভাটির সামনে থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুদূর এগুনোর পরই উপদেষ্টার গাড়িবহরসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সোহাগপুর এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপদেষ্টা মহোদয় মোটরসাইকেলে করে বিশ্বরোডের দিকে রওনা হন।এর আগে সকালে চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখান থেকে সড়কপথে আশুগঞ্জ রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। সাড়ে ১০টার দিকে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোডের উদ্দেশে রওনা হলে পথে আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা যানজটে আটকে ছিলেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। পরে বাহাদুরপুর এলাকায় তিনি একটি মোটরসাইকেলে করে বিশ্বরোডের দিকে রওনা হন।সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনউদ্দীন। বেলা ১টার দিকে সরাইল বিশ্বরোডে পৌঁছান তিনি।উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক এবং সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন। এ সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন ও হাইওয়ে পুলিশ সুপার শাহীনুর আলম উপদেষ্টার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।সওজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা কার্যালয়সহ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে দীর্ঘ যানজট নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে কার্যকর উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.