উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫টি পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, শনিবার রাত থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা জার্জি ও কলন্দি খাল দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।এছাড়া মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা, উমেদপুর, রাজেন্দ্রপুর ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা ও কর্নেল বাজার সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কালিকাপুর, আব্দুল্লাপুর, জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা শেফালী ও সুরাইয়া বলেন, রোববার সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছি। বিকাল পর্যন্ত কেউ খোঁজ নেয়নি।আরিফ, সজিবসহ স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত থেকে এসব নদী, খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান, গত রাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রফতানিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে এতে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০/৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপৎসীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল থেকে আমরা হাওড়া নদী সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করছি। আমার সঙ্গে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীও রয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আমরা ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করেছি। নগদ টাকা এবং শুকনো খাবার, ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৩ জুন ২০২৫ ০৯:২৪ পিএম
আখাউড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণ শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিডব্লিওবি (ভিজিডি) ৫ মাসের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম।দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৩৯ জন কার্ডধারী ভাতাভোগীদের মাঝে জনপ্রতি মাসিক ৩০ কেজি করে ৫ মাসের ৫ বস্তায় দেড়শ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৩১৮ জন কার্ডধারী নারীকে চাল দেওয়া হবে।এর মধ্যে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন ১৪৫ জন, মোগড়া ইউনয়ন ৩৪১ জন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ৩০৬ এবং ধরখার ইউনিয়ন ৩৮৭ জন। চাল বিতরণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, প্যানেল চেয়ারম্যান আয়েত আলী ভূইয়া, মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাব রক্ষক মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মিয়া, কালু মিয়া, জাহের মিয়া প্রমুখ।মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাব রক্ষক মো. আতাউর রহমান বলেন, ৫ মাসের চাল একসাথে দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম স্বচ্ছতার সাথে চাল বিতরণ করার নির্দেশ দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ মে ২০২৫ ০২:২৮ এএম
আখাউড়ায় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলা শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলা শুরু হয়েছে। ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলা।রোববার (২৫ মে) সকালে উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন। এর আগে ভূমি অফিস চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মেলায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা রৌনক জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আখতার খান, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান, আশতোষ ভৌমিক, সাদ ইবনে আলম, আব্দুর রহমান, নাজির আশীষ দাস ও আব্দুল আহাদ প্রমুখ।আয়োজকরা জানান, মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো ভূমি-সম্পর্কিত সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। মেলায় এসে নাগরিকরা সহজেই খতিয়ান উত্তোলন, নামজারি, জমা খারিজ, অনলাইনে ভূমি কর পরিশোধসহ নানা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এতে ভোগান্তি কমবে এবং ভূমি প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ