তারেক অপু, আশুগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫ ০৯:২৪ পিএম
পাহাড়ি ঢল-বর্ষণে ১০ গ্রাম প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫টি পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, শনিবার রাত থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা জার্জি ও কলন্দি খাল দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
এছাড়া মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা, উমেদপুর, রাজেন্দ্রপুর ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা ও কর্নেল বাজার সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কালিকাপুর, আব্দুল্লাপুর, জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা শেফালী ও সুরাইয়া বলেন, রোববার সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছি। বিকাল পর্যন্ত কেউ খোঁজ নেয়নি।
আরিফ, সজিবসহ স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত থেকে এসব নদী, খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান, গত রাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রফতানিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে এতে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০/৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপৎসীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল থেকে আমরা হাওড়া নদী সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করছি। আমার সঙ্গে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীও রয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আমরা ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করেছি। নগদ টাকা এবং শুকনো খাবার, ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ