আখাউড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণ শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিডব্লিওবি (ভিজিডি) ৫ মাসের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম।
দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৩৯ জন কার্ডধারী ভাতাভোগীদের মাঝে জনপ্রতি মাসিক ৩০ কেজি করে ৫ মাসের ৫ বস্তায় দেড়শ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৩১৮ জন কার্ডধারী নারীকে চাল দেওয়া হবে।
এর মধ্যে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন ১৪৫ জন, মোগড়া ইউনয়ন ৩৪১ জন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ৩০৬ এবং ধরখার ইউনিয়ন ৩৮৭ জন। চাল বিতরণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, প্যানেল চেয়ারম্যান আয়েত আলী ভূইয়া, মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাব রক্ষক মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মিয়া, কালু মিয়া, জাহের মিয়া প্রমুখ।
মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাব রক্ষক মো. আতাউর রহমান বলেন, ৫ মাসের চাল একসাথে দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম স্বচ্ছতার সাথে চাল বিতরণ করার নির্দেশ দেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
টাঙ্গাইল শ্রীশ্রী কালীবাড়ির আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রার উৎসব শুরু হয়েছে।শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে টায় শ্রী শ্রী বড় কালীবাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন শহর প্রদক্ষিণ করে। শোভা যাত্রার উদ্বোধন করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি শ্যামল হোড়।প্রধান অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। আরো উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পদক ফরহাদ ইকবাল. সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, শ্রী শ্রী কালীবাড়ি কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন কৃষ্ণ চৌধুরী, রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক অমল ব্যানার্জী, যুগ্ম আহবায়ক রিপন কুমার সরকার প্রমুখ।এতে সকল বয়সী নারী-পুরুষ আনন্দসহকারে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে শ্রী শ্রী বড় কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে পুজা অর্চনা, রথটান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক হিন্দু নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় শ্রী শ্রী বড় কালীবাড়ি প্রাঙ্গণ।আগামী ৫ জুলাই শনিবার উল্টো রথটানের মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্ত হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন তার বন্ধু। তবে চিকিৎসক বলেছেন হিরো আলম শঙ্কামুক্ত রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হিরো আলম বগুড়া থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে তার বন্ধু নাট্যকর জাহিদ হাসান সাগরের বাড়ি বেড়াতে আসেন। রাতে দুই বন্ধুর মধ্যে রিয়া মনিকে নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা হয়। তারপর দুই বন্ধু পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর শুক্রবার বেলা ১১টায় হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে পারেননি তার বন্ধু।এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তার বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।এ বিষয়ে হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর বলেন, হিরো আলম রাতে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে রিয়া মনিকে নিয়ে অনেক হতাশার কথা বলেন। হিরো আলম জানান, যেখানে যান সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করেন। নানান প্রশ্ন করেন।একটু নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আমার বাড়িতে এসেছেন। আমার ধারণা রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই সে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি। ধুনট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘুমের ওষুধ সেবন করে হিরো আলম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তার লোকজন এখান থেকে তাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন না। তবে হিরো আলম শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগে আলোচিত নাসিম ভুইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া নাসিম ভুইয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মোশারফ হোসেন ওরফে বাচ্চু ভুইয়ার ছেলে।জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নাসিম ভুইয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।এর আগে গত সোমবার রাত নয়টার দিকে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় 'মানিক কম্পিউটার'-এর মালিক আলী আজম মানিককে প্রকাশ্যে দাড়ি ধরে মারধর ও হেনস্তা করেন নাসিম ভুইয়া। পরদিন ভুক্তভোগী মানিক ঘিওর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।ঘটনার সময়ের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
এক হাতে ইনহেলার আর অন্য হাতে বাদাম ভাজার কড়াই নিয়ে শহরের বড় মসজিদ মোড়ে বাদাম বিক্রি করছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ মোঃ শাহিন আকন। বয়সের ভারে শারীরিক অসুস্থতা এখন তার নিত্যসঙ্গী। বয়স আর অসুস্থতার বাধাকে পাশ কাটিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে বাদাম বিক্রি করতে হয় তাকে। ২৪ বছর ধরে এখানেই বাদাম বিক্রি করেন তিনি। সপ্তাহ শেষে দিতে হবে ৩ হাজার টাকা কিস্তি তাই অসুস্থতা নিয়ে প্রতিদিনই করতে হয় কাজ।শাহিন আকনের বাড়ি পিরোজপুর পৌর শহরের উত্তর নামাজপুর গ্রামে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সকলকেই বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘরের পাশেই থাকেন। এখন স্ত্রীকে নিয়ে তাদের দুইজনের সংসার। ২০০০ সাল থেকে পৌর শহরের বড় মসজিদ মোড় এলাকায় সড়কের পাশে ভ্যান গাড়িতে করে বাদাম ভেজে বিক্রি করেন তিনি।বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের বড় মসজিদ মোড়ে তার বাদাম বিক্রির ভ্যানগাড়ির পাশে দাড়িয়ে কথা হয় শাহিন আকনের সঙ্গে। উঠে আসে তার কষ্ট, জীবন সংগ্রাম ও সমস্যার কথা। এসময় দৈনিক ভোরের আকাশকে তিনি বলেন, নিজের এক কাঠা জমির উপরে ধার দেনা করে একটি ঘর তুলেছিলেন। ঘুর্নিঝড় রেমালে তার ঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাননি কোন সরকারি, বেসরকারি সাহায্য ফলে দুটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঘর ঠিক করেন। এখন সেই ঋণের বোঝা তার জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। সপ্তাহে গুনতে হয় ৩ হাজার টাকার কিস্তি। এক ছেলে রিকশা চালিয়ে তার সংসারের খরচ কোনরকমে চলে। ফলে বাদাম বিক্রি করে মাঝে মধ্যে সন্তানের সংসারের খরচও বহন করতে হয় শাহিনকে। এখন বর্ষাকাল এই সময় বেচা বিক্রিও কম যেটুকু হয় তাই দিয়ে সংসার চলে এখন।কথার ফাঁকে শাহিনের কাছে বাদাম চাইলেন এক ক্রেতা। এ সময় একটি কাঠের চুলায় আগুনে ফুটতে থাকা কালচে বালুতে কাঁচা বাদাম ছেড়ে দিলেন তিনি। এরপর পরম যত্ন আর দারুণ কৌশলে বাদামগুলো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভেজে নিলেন। সবশেষে গরম-গরম বাদামগুলো একটি ছোট ঠোঙায় ভরে তুলে দিলেন ক্রেতার হাতে। বিনিময়ে ১০ টাকা পেলেন শাহিন।শাহিন আকন বলেন, প্রতিটি ছোট প্যাকেটে ১০ টাকা ও বড় প্যাকেটে ২০ টাকা এবং ১০০ গ্রামের প্যাকেট ৩০ টাকায় খুচরা বাদাম বিক্রি করেন তিনি। উপজেলা সদর বাজার থেকে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিদরে বাদাম কিনে সেগুলো ভেজে বিক্রি করেন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে গড়ে ৮ কেজি বাদাম বিক্রি করেন তিনি। প্রতি কেজি বাদাম বিক্রি করে লাভ হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিদিনই গড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা তার লাভ হয়। এর মধ্যে বাকি ও বকেয়াও থাকে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে, বৃষ্টিবাদল হলে কিংবা শরীর খারাপ হলে ওই দিন আর বাদাম বিক্রি করেন না। এই বর্ষাকালে সাধারণত বিক্রি কিছুটা কম তবে বিক্রি হয়। বড় মসজিদের সামনে নামাজের মুসল্লীরা বেশি কিনে খান।এখন প্রায়ই অসুস্থতায় ভোগেন শাহিন আকন। শ্বাসকষ্ট কমাতে ওষুধের সূক্ষ্ম কুয়াশা ভরা ইনহেলার তার নিত্য সঙ্গী। কাজ করলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে। তাই এখন বেশি কাজ করতে পারেন না। প্রতি মাসে গড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা আয় করেন শাহিন আকন। এ টাকায় ওষুধপত্র কেনার পরে পরিবারের ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচ চালাতে হয়। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকায় এ টাকায় সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। প্রায়ই ধারকর্জ করতে হয়। তার ভাষায়, কিস্তির বোঝা মাথায় লইয়া সংসার চালাইতে হয়। বাদাম বেইচ্চা যা হয়, তাতে সংসার চলে না।মো. গফ্ফার নামের এক ক্রেতা বলেন, ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এখানেই শাহিন আকনের বাদাম পাওয়া যায়। এখান থেকে বাদাম কিনে খাই। বেশ কয়েক বছর ধরে শাহিন অসুস্থতায় ভুগছেন। বাদাম বিক্রি করে নিজের চিকিৎসার খরচ চালিয়ে সংসার চালানো তার জন্য এখন অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। সমাজের বিত্তবানরা যদি তার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো শাহিন নিজের সঠিক চিকিৎসা করিয়ে একটি সুস্থ জীবন পাবে।জুবায়ের আল মামুন নামে এক ক্রেতা বলেন, শাহিন চাচার এক হাতে বাদাম ভাজার কড়াই আর অন্য হাতে সবসময় একটি ইনহেলার থাকে। তিনি এখন খুব অসুস্থ, তার চিকিৎসার প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/জাআ