সংগৃহীত ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামায়াতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছেন। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।’
‘সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না’- দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারব না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি, মানবিক করিডর দেওয়া হবে। কেন, কার স্বার্থের জন্য করিডোর? জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।’
মানবিক করিডর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মতো দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটক চলছে’ মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিতে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অথচ সরকার কিছু জানে না, তারা কী জানে তাহলে? আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশ ছাড়ার ঘটনা আড়াল করতেই শাহবাগে নাটক সাজানো হয়েছে।’
নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।রোববার (১৩ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন সারাদেশের সকল জেলা ও মহানগরেও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা ইট, রড, কংক্রিট ও পাথর দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং শরীরের ওপর লাফিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ভোটের প্রতীক শাপলা নিয়ে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি প্রতিনিধি দল।রোববার (১৩ জুলাই) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৫ সদস্যর প্রতিনিধি দল।প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ১১টার দিকে এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ ৫ সদস্যর প্রতিনিধি বৈঠকে বসেন।গত বুধবার (৯ জুলাই) জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতীকের তফসিলে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি, যা ওইদিনই আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। তবে শাপলা প্রতীক তালিকায় রাখা হয়নি। এর আগে গত ২২ জুন নিবন্ধন আবেদন দাখিলের সময় শাপলা প্রতীক চায় এনসিপি। গত ১৭ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য একই প্রতীক চায়। এছাড়া দুটি দলই শাপলা নিয়ে একাধিকবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বোমাবাজি করে, কয়েকজনকে আহত করে যারা বিএনপিকে দমানোর চেষ্টা করছে তারা শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ককটেল মেরে কিংবা বোমাবাজি করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে দমন করা যাবে না।শনিবার (১২ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।দুষ্কৃতকারীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা যে পথে হাঁটছেন, এটা শেখ হাসিনার পথ। তারা শেখ হাসিনার পথে হাঁটছে আর ভাবছে এই পথ সাকসেস। এই পথ যদি সাকসেস হতো, তাহলে বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে কখনও দমন করা যায়নি। শত শত মামলা, বোমা মেরে কিংবা ককটেল মেরে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমানো যায়নি। বিএনপিকে কেউ দমন করতে পারবেও না।এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় পরিবহন যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামায়াতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছেন। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।’‘সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না’- দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারব না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি, মানবিক করিডর দেওয়া হবে। কেন, কার স্বার্থের জন্য করিডোর? জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।’মানবিক করিডর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মতো দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।’‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটক চলছে’ মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিতে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অথচ সরকার কিছু জানে না, তারা কী জানে তাহলে? আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশ ছাড়ার ঘটনা আড়াল করতেই শাহবাগে নাটক সাজানো হয়েছে।’নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ