সরকারি সফরে রাজনৈতিক নেতা, নেপথ্যে কী?
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া সফরে রয়েছেন তিন রাজনৈতিক দলের ছয়জন নেতা। সরকারি সফরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকায় দেশের রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মহলে চলছে নানা প্রশ্ন ও আলোচনা। এই সফরের নেপথ্যে বিশ্বকে ড. ইউনূস জানান দিতে চান, তিনি একা নন, দেশের সব রাজনৈতিক দল তার পাশে আছেন। একইসঙ্গে দেশে শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, অবৈধ অর্থপাচার, নিরাপদ অভিবাসন ও অভিবাসী অধিকার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে টেকসই প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে এই সফরে- এমনটাই ভাবছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সুসম্পর্ক ও পূর্ণসমর্থন, দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশপ্রেমিক জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে- এটাও প্রদর্শিত হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিনিধির সফরের মধ্যদিয়ে মনে করছে তারা।বিশিষ্টজনদের ভাবনা, ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার দেশ থেকে পলায়নের পর ফ্যাসিস্ট ও উগ্রবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনে দলগুলোর মধ্য ঐক্য বিরাজ করছে- যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নজরে আসবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম অন্তর্বর্তী সরকারের সফরে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ গঠনে রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে এমন বার্তা দিতে চায় সরকার। আর এ কারণেই এই সফরে যুক্ত হচ্ছেন তারা।এদিকে, সরকারের পক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যেহেতু রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকবে, এ কারণেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা আলোচনায় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট রয়েছে, সে বিষয়টিও এই সফরের মধ্যদিয়ে একটি সমাধানে উপনিত হবে বলে ভাবছেন রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।সরকার প্রধানের সঙ্গে বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদদের এই সফরকে গভীরভাবে হিসাব-নিকাশ করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, প্রায় ৪৫ বছর পর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বিরোধী রাজনীতিবিদদের জাতিসংঘ সফর নিয়ে সাধারণ মানুষ রহস্যের গন্ধ খুঁজছে, জেগেছে কৌতূহল। এই সফরের রয়েছে নানামাত্রিক তাৎপর্য। আসন্ন সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ত্রিমুখী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে তাদের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপাড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াও হতে পারে।অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থের বিষয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা হবে কি না তা-ও পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনা, মায়ানমারের সঙ্গে করিডর, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আমেরিকান প্রভাব ও ভূ-রাজনৈতিক নানা কৌশল সম্পর্কে দেশের তিন দলের নেতাদের একটি জায়গায় আনার চেষ্টার অংশ হতে পারে এই সফর।প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরের প্রতিনিধি দলে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জামায়াতে ইসলামীর নেতা ড. নকিবুর রহমান তারেক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। সফরসূচি অনুযায়ী, আজ নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। সফর শেষে ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এ অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে। রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম। এই উচ্চ পর্যায়ের সভা থেকে যেন রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের একটি কার্যকর পরিকল্পনা উঠে আসে, সে জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গত মাসে কক্সবাজারে একটি অংশীদার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা ২৫ সেপ্টেম্বর যুবকদের জন্য কর্মপরিকল্পনার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেবেন। বাংলাদেশ শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার আলোচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং শান্তিরক্ষী রাষ্ট্র হিসেবে দেশের অবদান তুলে ধরবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও একাধিক বহুপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।এর মধ্যে রয়েছে- কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা, পিসবিল্ডিং কমিশন মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক, ‘জি-৭৭ ও চীন’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, নারী-শান্তি ও নিরাপত্তা ফোকাল পয়েন্ট নেটওয়ার্ক, ওআইসি বার্ষিক সমন্বয় সভা, বিমসটেক, সিকা এবং এলডিসি মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি বিশ্বদরবারে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি তুলে ধরবেন। একইসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বিশ্বের নানা জরুরি ইস্যুও তুলে ধরবেন।এর মধ্যে রয়েছে- শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, অবৈধ অর্থপাচার, নিরাপদ অভিবাসন ও অভিবাসী অধিকার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে টেকসই প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা। সফরকালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকলে দেশের জন্য ইতিবাচক দিক।এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের এই অধিবেশনে এমন অনেক কিছুই আলোচনা হবে যার একটা কন্টিনিউয়েশনের দরকার আছে। সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেমিনার হয়েছিল সেখানেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু রাজনৈতিক দলের কাছেই ভবিষ্যতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে যুক্ত রাখতে চায় সরকার।তিনি বলছেন, জাতিসংঘের মূল বৈঠকের সাইডলাইনে আরও অনেক কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। রাজনৈতিক মতে বা আদর্শে ভিন্নতা থাকলেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশ্নে সব দলের মধ্যে এক ধরনের ঐক্য আছে। এছাড়া, আমরা মনেকরি যে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের মধ্য দিয়ে সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।ফয়েজ আহম্মদ বলেন, প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপি ও জামায়াত, আর জুলাইয়ের সামনের সারিতে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এভাবেই হয়তো প্রতিনিধি বাছাই করা হয়েছে।তিনি বলেন, উনি (প্রধান উপদেষ্টা) তো হিসাব করেই চলেন। মূলশক্তি যে বিএনপি, জামায়াত বা এনসিপির বাইরে উনি যাবেন কেনো? যদি এদের (তিনটি রাজনৈতিক দলের) চিন্তাধারাকে ঠিক করা যায় তাহলে হয়তো উনি ভাবছেন, বাকিদেরটা এমনিই হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এছাড়া তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধের সমাধানের পথ খুলতে পারে বলেও মনে করেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ মনে করেন, রাজনৈতিক ঐক্য সবার সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মার্কিন প্রভাবের যে বিষয়টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেখানেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে রাখতে চাইছেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্ভবত তিনি একাই এই ঝুঁকিটা নিতে চাচ্ছেন না। রাজনৈতিক দলকেও তিনি এই ঝুঁকির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে চান, যাতে রাজনৈতিক দলের দিক থেকে এ বিষয়ে কোনো বিরোধিতা না আসে। সেটাও একটা লক্ষ্য থাকতে পারে মনে করছেন তিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, এটা খুবই ইতিবাচক দিক। যাদের নিয়ে যাচ্ছেন তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ফলে প্রথমত, রাজনৈতিক ঐক্য প্রকাশ পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলো যে তার সঙ্গে আছে, সেটা প্রকাশ করছেন। আর আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারাও তার সঙ্গে আছেন, এটা বিশ্বকে দেখানো। তিনি বহির্বিশ্বকে এটা দেখাবেন, এটা তার বৈধতাকে শক্তিশালী করবে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এমন বার্তা দিতেই প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে তাদেরকে যুক্ত করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।এ প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার। একটা ভালো উদ্যোগ। আমরা আশাবাদী মানুষ, এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখাই সবার জন্য ভালো, দেশের জন্য ভালো।এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, মার্কিনদের সামরিক অবস্থান তৈরির একটা চেষ্টা হচ্ছে। তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এসেছেন, কিন্তু কোনো তথ্য নেই। আবার মহড়া হচ্ছে। এতে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই সফরে দলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক স্বার্থের অনুকূলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে কি না, তা দেখবার বিষয় আছে।এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি কিছু সেশন আছে যেখানে আমাদের পার্টিসিপেশন আছে। এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গেও মিটিং রয়েছে। তাই এ সফরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকাটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ