সংগৃহীত ছবি
সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হওয়া পৃথক সাক্ষাতে উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং ঢাকায় তাকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন সৌদির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জাফর আবিয়াহ। তিনি গত ১ জুলাই ঢাকা মিশনে যোগ দেন। তিনি সৌদির সাবেক রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের স্থলাভিষিক্ত হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।এদিন শহীদদের মাগফেরাতের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের নজরে এসেছে যে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ একটি রিট আবেদনে একটি রুল জারি করেছে যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা উচিত নয়। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে এই রুলটির জবাব দেবে।ইতিমধ্যে, সরকার স্পষ্ট করে বলতে চায় যে অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করার ইচ্ছা নেই, এবং সরকার অধ্যাপক ইউনূসকে এই ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনাও করে না। রিট আবেদনকারী নিজেই আবেদনটি দায়ের করেছেন বলে মনে হচ্ছে এবং কী ভিত্তিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বিষয়টির সমাধান করবে।’উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।একইসঙ্গে আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ কেন ঘোষণা নয় তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।ভোরের আকাশ/জাআ
'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।এ কার্যক্রমের আওতায় সোমবার (১৪ই জুলাই) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ৭০০ জনের স্মৃতিকথা সংগ্রহ করা হয়েছে।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থা এবং জেলা তথ্য অফিসসমূহের মাধ্যমে আগামী ৫ই আগস্ট পর্যন্ত 'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।এতে করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই পোস্টকার্ডে জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করতে পারবেন।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যদি আমরা কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সবার। কমিশন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এটা সবার ব্যর্থতা হবে। সেই জায়গায় আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।আলী রীয়াজ বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না। অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করে আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির পথে এগিয়ে যেতে হবে।তিনি বলেন, বিগত কয়েক দিনের আলোচনা থেকে কাঠামোগত বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।আলোচনার মূল প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মৌলিক বিষয়ে সবার মতামতের সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, কমিশন কোনো ভিন্ন সংগঠন নয় এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সমষ্টিগত প্রয়াস। কমিশনের ব্যর্থতা মানেই আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আর আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।আজকের আলোচনায় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ