সংগৃহীত ছবি
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জামায়াতের কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান তালুকদার ও সেক্রেটারী মাওলানা ইদ্রিস হুসাইনের বরাত দিয়ে তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক মো: ওসমান গনি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় - গত ১৪ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে উপজেলার হেমনগর ইউনিয়ন জামায়াত প্রচারণা মিছিলের আয়োজন করে।
মিছিল সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নেতা কর্মীদের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এসময় মাইক ভাংচুর ও মোবাইল কেড়ে নেয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নেক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও সরকারের কাছে বিচার দাবী করা হয়।।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে সাবিত (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকার ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকালে আরও কয়েকজন যুবকের সাথে উপজেলা প্রশাসনের পুকুরে গোসল করতে যান সাবিত নামের ওই কলেজ ছাত্র। এক পর্যায়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে পুকুরের মধ্যস্থলে তলিয়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের চেষ্টায় কলেজ ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত যুবকের স্বজন তামিম বলেন, সাবিতসহ আরও চার-পাঁচ জন বিকালে আমরা গোসল করতে গিয়েছিলাম। আমরা যখন পুকুরের এপার থেকে ওপারে যাই তখন সবাই পৌঁছে গেলেও সাবিত অনেক পিছনে পড়ে যায়। পরে পুকুরের মধ্যখানে এসে সাবিত ডুবে যায়। পরে কয়েক মিনিট পেরিয়ে গেলে আমরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করি এবং স্থানীয়দের জানাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা আসে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঘন্টাদেড়েক পর পুকুরের মধ্যখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল।সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার বিকালে আরও কয়েকজন যুবকের সাথে উপজেলা প্রশাসনের পুকুরে গোসল করতে যান সাবিত নামের ওই কলেজ ছাত্র। এক পর্যায়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে পুকুরের মধ্যখানে ডুবে যান তিনি। সাবিতের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট এবং বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠনের পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে পিরোজপুর পৌরসভা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিপু সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি (বরিশাল বিভাগীয় মনিটরিং টিম) হাজী নাসির উদ্দিন মোল্লা, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনি, সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাদিম শেখ, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম শিকদার সজলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গন ও যুব সমাজকে বিপথগামী করার উদ্দেশ্যে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কিছু গুপ্ত সংগঠন। এর মাধ্যমে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে।তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ ধরনের অপচেষ্টা মোকাবিলায় পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলসহ দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ভিত্তিক ইউনিট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী, ছাত্রসমাজ এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন।ভোরের আকাশ/জাআ
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা দেবনাথ। তিনি ১৩০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১২৬৪ নম্বর।অনামিকা কুমিল্লা নগরীর দিগম্বরীতলা এলাকায় থাকেন। তার বাবা দিলীপ কুমার দেবনাথ বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার এবং মা বিনা রাণী দেবনাথ কুমিল্লার ঝাঁকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন।কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসিতে সেরা সাফল্য অর্জন করা অনামিকা দেবনাথ বলেন ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাইড বই নিয়ে বসে থেকে পরীক্ষার হলে লিখে আসলেই ভালো ফলাফল আশা করা যায় না। কারণ ভালো ফলাফলের জন্য একটু ব্যতিক্রম লেখা চাই, তাই ভালো নম্বর পেতে হলে শিক্ষকদের সহায়তায় ও নিজের চেষ্টায় হ্যান্ড নোট করে গাইড বই নির্ভরতা কমাতে হবে।’বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার ছিল ৬৩.৬০ শতাংশ। অনামিকা দেবনাথ কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২৬৪ নম্বর পেয়েছেন।যদিও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, বোর্ড থেকে প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হয় না, শিক্ষার্থীরাই নিজেদের মতো করে নম্বর বের করে নেয়।গত ১০ জুলাই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ৬টি জেলার সমম্বয়ে গঠিত কুমিল্লা বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ ভাগ। অনামিকা দেবনাথ কুমিল্লা বোর্ডের অধীন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষায় তিনি বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৯২, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে ২০০ নম্বরের ১৮৯, গণিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০, বাংলাদেশ অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিজে ৯৪, হিন্দু ধর্মীয় বিষয়ে ৯৭, পদার্থ বিদ্যালয় ৯৮, রসায়নে ৯৭, উচ্চতর গণিতে ৯৯, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৫০ এর মধ্যে ৪৮, জীব বিজ্ঞানে ১০০, শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খেলাধুলা ১০০ এবং ক্যারিয়ার এডুকেশন ৫০ এর মধ্যে ৫০ পেয়েছে। সব মিলিয়ে সে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ১২৬৪ নম্বর।অনামিকা বলেন, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে আমি আবাসিকে থেকে লেখা পড়া করেছি। শিক্ষকরা আমাকে কখনোই মা-বাবার শূন্যতা বুঝতে দেননি। আমি প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করতাম, এর জন্য ‘স্পেশাল শিডিউল’ করেছি। বিশেষ করে পরীক্ষা শুরুর আগের তিন মাস আমি ক্লাসের পরেও প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা পড়াশুনা করেছি। মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। তাই সপ্তাহে দুই তিনদিন শিক্ষকদের বাটন মোবাইল দিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হতো। নিয়মিত ক্লাস ও মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলে সব শিক্ষার্থীই ভালো ফলাফল করতে পারবে। তবে গাইড বইয়ের উপর নির্ভরতা থাকলে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়।তিনি আরও বলেন, সবাই তো চিকিৎসক কিংবা প্রকৌশলী হতে চায়, আমার ইচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে লেখা পড়া করা। আমি এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিবো ইনশাল্লাহ।অনামিকার মা স্কুল শিক্ষক বিনা রাণী দেবনাথ বলেন, ও ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় মনোযোগী। সে নবাব ফয়জুন্নেছায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। এরপর ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তার স্কুলের শিক্ষকরা তার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। আমি অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।অপরদিকে, ১২৬১ নম্বর পাওয়া তাসনুভা ইসলাম তোহা কুমিল্লা নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ গ্রামের শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে। তোহা বুয়েটে পড়ে প্রকৌশলী হতে ইচ্ছুক।ভোরের আকাশ/জাআ
কিশোরগঞ্জ জেলার সংবাদপত্র সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দকে নিয়ে “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” (বিএমএসএফ) কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে ।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ) এ উপলক্ষে জেলা শহরস্থ কালীবাড়ী মার্কেটের ৪র্থ তলায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি হাকীম মুহা. ফজলুর রহমান। সঞ্চালনা করেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অনলাইল নিউজ পোর্টাল হাওর টাইমস এর সম্পাদক মোঃ খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক নবধারা বার্তার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পলাশ ও মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক মোঃ খায়রুল ইসলাম।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এ জেড আল মুজাহিদ, দৈনিক বর্তমান পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ভূঁইয়া, দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ নাজিম উদ্দিন, দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রঞ্জন মোদক রনি, দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আজিজুল হক রাসেল, সাপ্তাহিক শুরূক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আলী আসাদ, মাসিক কালের নতুন সংবাদ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি রিতু আক্তার প্রমুখ।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজ দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম’র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফরের একনিষ্ঠ আন্তরিক ভূমিকার ভূয়ষী প্রশংসাও করেন।এছাড়া বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।ভোরের আকাশ/জাআ