আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

সিরাজুল ইসলাম

প্রকাশ : ১ সপ্তাহ আগে

আপডেট : ৫৭ মিনিট আগে

আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

কাতারের রাজধানী দোহায় ‘আর্থনা সামিটে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফিলিস্তিনিদের জীবন মূল্যহীন নয় উল্লেখ করে তিনি রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিন সংকটকে ‘ভুলে না যেতে’ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্থবহ উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এ সময় তিনি ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সমতাভিত্তিক বিশ্বের জন্য তিনি পাঁচটি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ আশার বাতিঘর হতে চায়। মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতা করছিলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ফিলিস্তিনি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা- যে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা উপেক্ষা করা বিশ্বের উচিত হবে না। ফিলিস্তিনের চলমান দুর্ভোগ শুধু একটি অঞ্চলের জন্যই নয়, তা সমগ্র মানবজাতির জন্যই উদ্বেগের। ফিলিস্তিনিদের জীবন মূল্যহীন নয়।

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, মিয়ানমারের দীর্ঘস্থায়ী সংকট আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যার ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। 

সংহতি জানাতে জাতিসংঘের মহাসচিব সম্প্রতি রোহিঙ্গাশিবির পরিদর্শন করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিশ্ব নেতাদের একত্রিত হতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি এ বিশ্ব সবার জন্য স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও টেকসই একটা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে, তবুও এমন অনেক হুমকি রয়েছে; যা ভবিষ্যতের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে পারে। আমরা অনিশ্চয়তায় ভরা একটা সময়ে বাস করছি, যেখানে বহুত্ববাদ গুরুতর হুমকির মুখে; জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বাড়ছে; ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ঊর্ধ্বমুখী এবং মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন নতুন নিয়ম, প্রযুক্তি ও শাসন পদ্ধতি দ্রুত গতিতে বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে; অতীতের অনেক ধারণাকে সেকেলে করে তুলছে। নতুন করে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা গড়ে তোলা এর আগে কখনও এত জরুরি ছিল না। আজকের সংকটপ্রবণ বিশ্ব, যুদ্ধ ও সংঘাত মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি অর্থনীতিকে ব্যাহত করছে। যেকোনো অর্থবহ এবং টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা হল মৌলিক শর্ত। জলবায়ু সংকটের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এ খাতের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় তহবিলের আকার ভবিষ্যতে ছোট হয়ে আসতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনকে সবার ‘অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিজেদের ধ্বংস করার মূল্যবোধ ধারণ করে চলেছি। আমরা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছি, যা প্রকৃতিবিরোধী এবং সীমাহীন ভোগের ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো বিবেচনা করা হয়, যা সবকিছুকে একটি ক্ষণস্থায়ী ফলাফলের দিকে ঠেলে দেয়। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য নতুন একটি জীবনযাত্রার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে; যা গড়ে উঠবে শূন্য কার্বন নির্গমন, সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং শূন্য বেকারত্বের ভিত্তিতে।

তিনি আরো বলেন, এভাবেই আমরা একটি নতুন সভ্যতা তৈরি করব; যা সবার জন্য সর্বত্র টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে।

বিশ্বকে ৫ উদ্যোগের আহ্বান : ‘আর্থনা সামিটে’ বিশ্বকে এক নিরন্তর ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে সম্মিলিতভাবে পাঁচটি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, প্রথমত, আমাদের অবশ্যই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রসারিত করতে হবে, যাতে সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে জীবিকা নির্বাহ এবং অর্থনীতিতে পুরোপুরি অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সরঞ্জাম দিয়ে ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করা যায়।

দ্বিতীয়ত, সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের অবশ্যই সামাজিক ব্যবসাকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে হবে এবং মুনাফার চেয়ে উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দেয়; এমন উদ্যোগকে লালন করতে হবে।  

তৃতীয়, আহ্বানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অবশ্যই পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে এবং তাদের দক্ষতা এবং সম্ভাবনায় বিনিয়োগ করতে হবে।

চতুর্থত, আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করতে হবে। এটি স্বীকার করে যে এগুলো টেকসই উন্নয়ন এবং সমস্ত মানবতার কল্যাণের মৌলিক পূর্বশর্ত।

পঞ্চমত, এই কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈতিক বাধ্যবাধকতার কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। উন্নত দেশগুলোকে তাদের ওডিএ প্রতিশ্রুতি বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ জিএনআই লক্ষ্যমাত্রা; যা শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে রয়ে গেছে সেটি পূরণ করতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে বিপর্যয়ের ধারাসহ রেয়াতি শর্তে অর্থায়ন একান্ত জরুরি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অবশ্যই অন্য সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে; একটি ভিন্ন জীবনধারা ভিত্তিক একটি পাল্টা সংস্কৃতি। এই জীবনধারা হবে শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন এবং প্রাথমিকভাবে শূন্য ব্যক্তিগত মুনাফার ওপর ভিত্তি করে একটি অর্থনীতি, অর্থাৎ সামাজিক ব্যবসা। এই ধরনের ব্যবসা একটি মুনাফাবিহীন এন্টারপ্রাইজ, যা বিশেষভাবে সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখযোগ্য। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সমষ্টিগত কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষমতাও রয়েছে। কাতার, আর্থনা সামিটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে দেখিয়েছে যে কীভাবে একটি জাতি জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কাজের ভবিষ্যৎ মোকাবিলায় উদ্ভাবন, ঐতিহ্য এবং অংশীদারত্বকে কাজে লাগাতে পারে।

তিনি বলেন, আমার দেশ, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন সামাজিক চুক্তি প্রতিষ্ঠার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে রাষ্ট্র এবং তার জনগণ, বিশেষ করে এর যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তি, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যত তৈরি করবে। একটি সামাজিক চুক্তি, যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন অবিচ্ছেদ্য হয়ে ওঠে। আমরা বিশ্বের জন্য আশার বাতিঘর হয়ে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগের বিকাশে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা অন্বেষণ করতে চাই।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে। আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।

তিনি বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে তা অর্জন করা যায় না। ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয় যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।

ড. ইউনূস বলেন, কাতার যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ মোকাবিলা করতে পারে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর : ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কীভাবে জীবন বদলে দেয়া সম্ভব সেই গল্প কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে শোনালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বে ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন বদলে ফেলার গল্প শুনিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাতার থেকে আমদানিকৃত এলএনজি আমদানি ব্যয়ের শত শত মিলিয়ন মার্কিন ডলার দীর্ঘদিন পরিশোধ করেনি।

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দেনা পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ২-১ দিনের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে কাতার থেকে আমদানিকৃত এলএনজির দেনার বড় অংশ পরিশোধ করেছে। কাতার থেকে এলএনজি আমদানির ৩৭ মিলিয়ন ডলার এখনো পরিশোধ হয়নি, যা আগামী ২-১ দিনের মধ্যে পরিশোধ করবে সরকার।

কাতারের আমিরের মায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : কাতারের আমিরের মা এবং কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তারা এ বৈঠক করেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপার্সন শেখ থানি বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানির সঙ্গেও এক বৈঠকে যোগ দেন।

এছাড়া তিনি কাতার চ্যারিটির আন্তর্জাতিক অপারেশনস সেক্টরের সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাতারের মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন’-এ যোগ দিতে চার দিনের সফরে কাতার রয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, গত সোমবার (দোহার সময়) রাত ৯:৪০ মিনিটে অধ্যাপক ড. ইউনূস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। 

এর আগে তিনি সোমবার সন্ধ্যা (ঢাকা সময়) ৭:০০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

৪ বা ৫ মে দেশে ফিরতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল

৪ বা ৫ মে দেশে ফিরতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল

প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা, বাংলাদেশেরও প্রস্তুতি থাকা দরকার’

‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা, বাংলাদেশেরও প্রস্তুতি থাকা দরকার’

২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না : প্রধান উপদেষ্টা

২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না : প্রধান উপদেষ্টা

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার কথায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার কথায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার কথায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার কথায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক বুধবার

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক বুধবার

মন্তব্য করুন