কাতারে আর ইসরায়েল হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে হামাসের সিনিয়র নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল যেভাবে হামলা চালিয়েছে সেভাবে আর হামলা চালাবে না। খবর আনাদোলু এজেন্সিসোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন। কাতার আমাদের খুবই ভালো মিত্র এবং অনেকেই এটি জানে না। তাই এখন থেকে নেতানিয়াহু কাতারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবেন।গত ৮ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন একটি প্রস্তাবের বিষয়ে দোহায় একটি আবাসিক ভবনে জড়ো হন হামাসের সিনিয়র নেতারা। পরে সেখানে তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হামাসের বর্তমান শীর্ষ নির্বাহী খলিল আল হায়া।ওই হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা নিহত না হলেও তাদের অন্য সদস্যরা প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যসহ মোট ছয়জন নিহত হয়।কাতারে হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ৯ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছিলেন, কাতারকে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।তবে কাতার হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার বিষয়টি অস্বীকার করে।সোমবার ওভাল অফিসে এক্সিওসের এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, না, তারা আমাকে আগে কিছু জানায়নি। আপনি হামলার তথ্য যেভাবে পেয়েছেন, আমিও ঠিক সেভাবেই পেয়েছি।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:১৫ এএম
কাতার ও ফিলিস্তিনের পাশে থাকার অঙ্গীকার বাংলাদেশের
কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ অবস্থান তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।তিনি বলেন, কাতারের সার্বভৌম ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অকারণ আক্রমণ কেবল কাতারের ওপর নয়, বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর মর্যাদার ওপর আঘাত। বাংলাদেশ এই ঘটনাকে ইসরায়েলের বেপরোয়া আগ্রাসনের অংশ হিসেবে দেখে, যা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে বারবার অমান্য করছে।তৌহিদ হোসেন ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েলকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে এবং অবিলম্বে এই অবৈধ আগ্রাসন বন্ধের দাবি তুলতে হবে।”সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ওআইসির মহাসচিব হুসাইন ইব্রাহিম তাহা ও আরব লীগের মহাসচিব, যেখানে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।এ সম্মেলনে ২৪টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সরাসরি অংশ নেন। বাকি দেশগুলোর প্রতিনিধি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। নেতারা একযোগে ৯ সেপ্টেম্বরের হামলার নিন্দা জানান এবং মুসলিম দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।এছাড়া নেতারা গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অবসান, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। একই সঙ্গে গাজার জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে, যাতে ইসরায়েলি নেতাদের একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।ভোরের আকাশ//হ.র
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৯ এএম
ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে জরুরি সম্মেলনে বসছে কাতার
কাতারে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনার পর মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে জরুরি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার সরকার। দোহায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর, যেখানে ইসরায়েলের আগ্রাসন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ বিন মোহাম্মদ আল-আনসারি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।আল-আনসারি জানান, সম্মেলনে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হবে, যা আরব ও ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, এই সম্মেলনের তাৎপর্য হলো কাতারের প্রতি আরব ও ইসলামি বিশ্বের ব্যাপক সংহতি প্রদর্শন।ইসরায়েলের এই হামলাকে কাতার ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দিয়েছে। এ বিষয়ে আল-আনসারি বলেন, দোহায় হামাস আলোচকদের আবাসিক প্রাঙ্গণ লক্ষ্য করে চালানো এই হামলা কাপুরুষোচিত আগ্রাসন এবং ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের প্রতিনিধিত্ব করে।গত মঙ্গলবার দোহায় হামাস নেতাদের অবস্থানরত একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত নতুন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর দীর্ঘদিন ধরেই গাজা যুদ্ধের অবসানে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান দোহায় পৌঁছেছেন। এছাড়াও শীর্ষ এ বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উপস্থিত থাকতে পারেন।সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হামলাকে ‘আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ হিসেবে নিন্দা জানিয়ে দোহাকে পূর্ণ সংহতির আশ্বাস দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৩ এএম
৭২ ঘণ্টায় ৬ দেশে ইসরায়েলের হামলা
মাত্র তিনদিনে তথা ৭২ ঘণ্টায় ৬টি দেশে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, কাতার ও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসব হামলায় প্রায় দুইশ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই বৈঠকটি গাজা যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল। হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ছয়জন- যাদের মধ্যে ছিলেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খালিল আল-হায়্যার ছেলে, তার কার্যালয়ের পরিচালক, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মী। তবে শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে। এটি গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ষষ্ঠ বিদেশি হামলা এবং চলতি বছর শুরু থেকে সপ্তম।গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ: এদিকে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ১৫০ জন নিহত ও ৫৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শুধু সোমবারেই ৬৭ জন নিহত হন এবং ৩২০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে ১৪ জন নিহত হন ত্রাণ সংগ্রহের সময় এবং আরও ছয়জন — যার মধ্যে দুই শিশু — অনাহারে মারা যান। মঙ্গলবার নিহত হন আরও ৮৩ জন, আহত হন ২২৩ জন। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে উঁচু ভবন, অবকাঠামো এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, ফলে বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছেন।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৬৫৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০৪ জন ক্ষুধা-জনিত কারণে মারা গেছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।লেবাননে যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামল: সোমবার দুপুরে লেবাননের বেকা ও হারমেল জেলায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর অস্ত্রগুদাম ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, তবে স্বাধীনভাবে এ তথ্য যাচাই হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার বৈরুতের দক্ষিণে বারজা গ্রামে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর একজন সদস্য আহত হন।সিরিয়ায় তীব্র হামলা: সোমবার রাতে সিরিয়ার হোমসের একটি বিমানঘাঁটি ও লাতাকিয়ার কাছে একটি সামরিক ব্যারাকে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। স্থানীয়রা প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলাকে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ইসরায়েল শত শত হামলা চালিয়েছে। শুধু চলতি বছরেই প্রায় ১০০টি হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন।তিউনিসিয়ার উপকূলে গাজা ফ্লোটিলায় হামলা: সোমবার রাতে তিউনিসিয়ার সিদি বু সাঈদ বন্দরে ভিড়ে থাকা ‘ফ্যামিলি বোট’ নামের জাহাজে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালায়। ২৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এ জাহাজে ছয়জন যাত্রী ছিলেন। আগুন লাগলেও তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরের রাতে তিউনিসিয়া উপকূলে যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী ‘আলমা’ জাহাজেও অনুরূপ হামলা হয়। তাতেও অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও হতাহতের খবর নেই।কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা: প্রথমবারের মতো কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ওয়েস্ট বে লাগুন এলাকায় কূটনৈতিক দপ্তর, স্কুল, সুপারমার্কেট ও আবাসিক ভবনের মাঝেই বিস্ফোরণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কাতারেই হামাস নেতারা অবস্থান করছেন। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩৫ কিমি দূরেই যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি সেন্টকম অবস্থিত।ইয়েমেনে বিমান হামলা: বুধবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুথি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় সানা বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতি মাসের শুরুতেও একই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।এর আগে গত ২৮ আগস্ট ইসরায়েলি হামলায় হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাউইসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪৩ পিএম
ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়
কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে কাতারে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে উত্তপ্ত ফোনালাপ হয়েছে। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প এই হামলার ঘটনায় নেতানিয়াহুর প্রতি নিজের “তীব্র হতাশা” প্রকাশ করেন।মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেন- দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা ছিল “অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ”। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, মার্কিন সামরিক বাহিনী থেকে তিনি এই হামলার খবর পান, অথচ ইসরায়েল আগে থেকে কিছু জানায়নি। এর মাধ্যমে হামলা চালানো হলো এমন এক মিত্র দেশের ভূখণ্ডে, যারা গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।নেতানিয়াহু এর জবাবে বলেন, হামলার সুযোগের সময়সীমা খুবই কম ছিল, তাই তিনি সেটিই কাজে লাগান।পরে উভয়ের মধ্যে আরেক দফা ফোনালাপ হয়, যা তুলনামূলকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এতে ট্রাম্প জানতে চান হামলা সফল হয়েছে কিনা, তবে নেতানিয়াহু নিশ্চিত উত্তর দিতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের নেতৃত্ব ওই হামলা থেকে বেঁচে গেছে। তবে সংগঠনের পাঁচ সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প ক্রমেই নেতানিয়াহুর ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কারণ, নেতানিয়াহু বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে না জানিয়ে একতরফা আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।এর আগে কাতারে হামলা নিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।অন্যদিকে কাতার এ হামলাকে কাপুরুষোচিত কাজ এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের বেপরোয়া আচরণ আর সহ্য করা হবে না।উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর একসঙ্গে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ২০২৩ সারের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল–থানি বুধবার সিএনএনকে বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি জানান, এ নিয়ে আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।তিনি বলেন, এই অঞ্চল থেকে অবশ্যই প্রতিক্রিয়া আসবে। এটি বর্তমানে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনার পর্যায়ে আছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৬ পিএম
কাতারে ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা
কাতারে ইসরায়েলি সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।একইসঙ্গে এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার কাতার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাচ্ছে।এ ধরনের কার্যক্রম কাতারের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।বাংলাদেশ এই অবৈধ ও অযৌক্তিক হামলার মুখে ভ্রাতৃপ্রতিম কাতারের সরকার ও জনগণের প্রতি অবিচল সংহতি প্রকাশ করছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে— ইসরায়েল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানকে অগ্রাহ্য করছে।এ ধরনের কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে।সবশেষ, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষত জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।যাতে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হয় এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের প্রতি সম্মান বজায় থাকে।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৫০ পিএম
ইসরায়েলের হামলার আগে ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন কাতারকে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছে, দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের উপর ইসরায়েলের হামলার আগে তারা কাতারের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিল। কিন্তু এই দাবি অস্বীকার করেছে কাতার।মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে লিভিট বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলার ব্যাপারে আগে জানিয়েছিলেন।নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি শান্তি স্থাপন করতে চান এবং তা শিগগিরই চান। তাই আমাদের কাছে আগে থেকেই এ হামলার খবর ছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে আসন্ন হামলার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেও দোহাকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। হামলার পর কাতারি নেতাদের টেলিফোনও করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাদেরকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে কাতারের ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলা ঘটবে না।প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রদের মধ্যে কাতার অন্যতম। কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধাবসানে যে তিনটি দেশ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আছে, সেগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর।গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সম্প্রতি একটি খসড়া প্রস্তাব গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহার আবাসিক এলাকার একটি ভবনে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়াসহ হাইকমান্ডের অন্যান্য সদস্যরা।তাদের এই আলোচনার মধ্যেই সেই ভবনটিকে লক্ষ্য বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়া এবং হামাস পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যার উদ্দেশে এ হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল।সেই লক্ষ্য সফল হয়নি, তবে গতকালের হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জনই হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এক বিবৃতিতে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে গোষ্ঠীটির উচ্চ পর্যায়ের কোনো নেতা নেই।মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্যারোলিন লিভিট বলেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে নিশ্চিতভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, তবে দোহায় ইসরায়েলের হামলা এ লক্ষ্য পূরণের জন্য সহায়ক হবে না।ভোরের আকাশ/তা.কা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:০৯ পিএম
কাতারে ইসরায়েলি হামলা: যে প্রতিক্রিয়া জানাল সৌদি আরব
কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) ওই হামলাকে ‘ইসরায়েলিদের নৃশংস আগ্রাসন’ বলে বর্ণনা করেছে রিয়াদ। খবর আরব নিউজএক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘের সদন বিরোধী। এই হামলার ফলে এ অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে সতর্ক করেছে সৌদি। এ ছাড়া দেশটি ইসরায়েলের এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতি নিয়েও সতর্ক করেছে।মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সহিংসতা বন্ধ এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। কাতারের আমি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কথা হয়েছে। এতে তিনি কাতারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।তিনি কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করার জন্য ‘সকল ক্ষমতা’ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন।পরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর কাছ থেকে একটি ফোন কল পান। সেখানে দুই নেতা দোহার ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলা এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া কাতাদের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব আমিরাতও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এ হামলাকে কাতারের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট এবং কাপুরুষোচিত’ লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।মিশর বলেছে, এ হামলার ফলে এ অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে এবং সংকট সমাধানে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে। এ ছাড়া এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল এবং বিশ্ব মুসলিম লিগ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৬ এএম
কাতারে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬
কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জনই ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় ৬ জন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে নিহতের মোট সংখ্যা জানালেও হামাসের নাম উল্লেখ করেনি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এ দিকে হামাসের বিবৃতিতে এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পাঠানো খসড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে কাতারের আবাসিক এলাকার যে ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন হামাসের নেতারা, সেই ভবনটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল।এর আগে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে কাতারের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহার উত্তর কাতারা এলাকায় অভিযান চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা ৮ টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৪ এএম
এবার কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
আগ্রাসনবাদী ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, সেখানে থাকা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতৃস্থানীয়দের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সোয়া ৪টার দিকে দোহার একটি আবাসিক এলাকায় এ হামলা হয়। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে।এতে বলা হয়, হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল সুনির্দিষ্ট অস্ত্রশস্ত্র এবং অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার।এতে আরও বলা হয়, শিন বেট নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে হামাসের ‘ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে’ লক্ষ্যবস্তু করে সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালানো হয়েছে।এদিকে, হামলার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসও।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি হামাসের শীর্ষ নেতার বরাত দিয়ে বলেছে, দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অবস্থানরত শীর্ষ হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫০ পিএম
শাহজালাল বিমানবন্দরে ৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি ১২০ গ্রাম ওজনের ৭০টি সোনার বার উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা সোনার বাজারমূল্য আনুমানিক ১২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে কাতারের দোহা থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৩২৬ ফ্লাইট থেকে এই সোনা উদ্ধার করা হয়।উড়োজাহাজটির সামনের কার্গো হোল্ডে সোনার বারগুলো কালো স্কচটেপ দিয়ে মুড়িয়ে কাপড়ে প্যাঁচানো অবস্থায় পড়ে ছিল। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। ঢাকা কাস্টম হাউসের বিমানবন্দর ইনচার্জ যুগ্ম কমিশনার নাজমুন নাহার কায়সার এবং সহকারী কমিশনার এস এম সরাফত হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।এ বিষয়ে কাস্টমস কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রা পাচার ও চোরাচালান রোধে বাংলাদেশ কাস্টমস সর্বদা সচেষ্ট। ভবিষ্যতেও কাস্টমস দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।এ ঘটনায় কাস্টমস আইন-২০২৩ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কীভাবে কার্গো হোল্ডে এত পরিমাণ সোনা প্রবেশ করলো এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ