নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৯ এএম
কাতার ও ফিলিস্তিনের পাশে থাকার অঙ্গীকার বাংলাদেশের
কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ অবস্থান তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, কাতারের সার্বভৌম ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অকারণ আক্রমণ কেবল কাতারের ওপর নয়, বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর মর্যাদার ওপর আঘাত। বাংলাদেশ এই ঘটনাকে ইসরায়েলের বেপরোয়া আগ্রাসনের অংশ হিসেবে দেখে, যা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে বারবার অমান্য করছে।
তৌহিদ হোসেন ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েলকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে এবং অবিলম্বে এই অবৈধ আগ্রাসন বন্ধের দাবি তুলতে হবে।”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ওআইসির মহাসচিব হুসাইন ইব্রাহিম তাহা ও আরব লীগের মহাসচিব, যেখানে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
এ সম্মেলনে ২৪টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সরাসরি অংশ নেন। বাকি দেশগুলোর প্রতিনিধি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। নেতারা একযোগে ৯ সেপ্টেম্বরের হামলার নিন্দা জানান এবং মুসলিম দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়া নেতারা গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অবসান, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। একই সঙ্গে গাজার জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে, যাতে ইসরায়েলি নেতাদের একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।
ভোরের আকাশ//হ.র