ট্রেনের ২ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু
বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ৭ জুন ঈদুল আজহার দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আজ শুরু হয়েছে তৃতীয় দিনের (২ জুন) ট্রেনের টিকিট বিক্রি। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারের ঈদ যাত্রায় ট্রেনের সব আসনের টিকিটই অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরপর দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার ঈদে পাঁচ রুটে ১০টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেনের মধ্যে কিছু ট্রেন আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে।
এ ছাড়া ঈদের দিনও কিছু ট্রেন চলবে। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে, অনলাইনে বিক্রি হবে না। এ ছাড়া এবার ঈদে ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে সারা দেশে। এসব ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫। এর বাইরে প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।
উল্লেখ্য, রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা শুধুমাত্র লগইন করেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন, এর বাইরে একদিনও এদিক-সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘কাল (বৃহস্পতিবার) উপদেষ্টা পরিষদের সভার পর অনেক সময় আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের তিনটা কঠিন দায়িত্ব- একটি সংস্কার, অন্যটি বিচার, আরেকটি নির্বাচন। শুধু নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্বটা নেইনি। আমাদের আরও দুটি দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু আমরা সেগুলো পালন করতে পারছি না। ’উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত ধরনের দাবি রয়েছে, সব দাবি নিয়ে রাস্তা আটকে দিচ্ছে। এতে রাস্তা একেবারে অচল হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা নিরসনে আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমাদের দায়িত্ব পালন করা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাবো। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্বটা আসলেই পালন করতে পারার বিষয়টা আরেক। ’রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যে প্রতিবন্ধকতাগুলো তৈরি হচ্ছে, আমাদের দায়িত্ব পালনে সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করবো কিংবা আদৌ পারবো কি না, যদি পারি সেটা কীভাবে করবো আর না পারলে কী করণীয় হবে সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তা করেছি। ’নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কথা বলারও সুযোগ হওয়া উচিত ছিল না। কারণ, বারবার বলা হচ্ছে যে, নির্বাচন নিয়ে একটা সময় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু গুরুদায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো পালনের সঙ্গে মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। ওনার (প্রধান উপদেষ্টা) যদি কোনো কিছু বলার থাকে, ওটা ওনার থেকে শোনা যেতে পারে। ’তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, তাহলে আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ রয়েছে। তখন দায়িত্ব পালন করাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকল না। ’ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি—ওটা আপনারা ওনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতার প্রয়োজন নেই, কিন্তু একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তার নেতৃত্ব অপরিহার্য।শুক্রবার (২৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।সেই সঙ্গে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে নিয়মিত আলোচনা বসতে, তাদের মতামত নিতে এবং কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ফয়েজ আহমদ।অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে-এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা-সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।জুলাই-আগস্ট’ ২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদ্যাপন করব, ইনশা আল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি।ইনশা আল্লাহ আমরা হারব না, আমাদের হারানো যাবে না।‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ভোরের আকাশ/আজাসা
সম্প্রতি একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের পোস্টে উল্লেখ করেছে, ‘গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। সত্যতা যাচাই করুন, সচেতন থাকুন।’বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্প্রতি একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে একটি সচেতনতামূলক পোস্টে জানানো হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহার করে একটি মিথ্যা প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে।এই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। পোস্টের সঙ্গে ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির একটি ছবি সংযুক্ত করে জনগণকে আরও সচেতন করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)’র আওতাধীন ফেরিসহ সকল নৌযান শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ্। একই সঙ্গে তিনি এটি বাস্তবায়নে সঠিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিসি’র সভা কক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও বিআইডব্লিউটিসি’র যৌথ আয়োজনে ‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত নৌপরিবহন নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ আহ্বান জানান। এ সময় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বেলায়েত হোসেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাশরুখ আহমেদ, বিআইডব্লিউটিসি’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জেসমিন আরা বেগম, কারিগরি পরিচালক কাজী ওয়াসিফ আহমাদ, নৌপুলিশের হেলাল উদ্দিন ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান।মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম জানান, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ এর তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। এর মধ্যে ধূমপান করে ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ ধূমপান না করেও পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের এই হার ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ। যার মধ্যে গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪৪ শতাংশ। ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজও এই গণপরিবহনের অন্তভুক্ত যেখানে প্রতিনিয়ত মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফেরিতে যত্রতত্র ধূমপানের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। যাত্রীরা ফেরির ক্যান্টিনে খেতে গিয়েও পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয়। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষা করতে, ফেরিসহ সকল নৌযানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/এসএইচ