সিপন আহমেদ, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫ ০৯:৪৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বার্তা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই কিশোরকে আটক করলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আটিগ্রাম ইউনিয়নের বার্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর হোসেন (৪২) ওই গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে। হামলায় তাঁর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। পাশে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইল হাতে থাকায় কোপ থেকে বাঁচেন, তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার মূল সূত্রপাত হয় বিয়ের যাত্রীবাহী একটি বাসকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা গ্রামের আলমগীরের মেয়ের বিয়ের বাসটি সিংগাইরের ইরতা কাশিমপুর গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় বাসে থাকা এক কিশোরীর থুতু এক মোটরসাইকেল আরোহীর গায়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরে শুক্রবার সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন কিশোর এসে আলমগীরের বাড়ির সামনে সাউন্ড দিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করে। বাধা দিতে গেলে তারা আলমগীর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের মধ্যে দুই কিশোর—সিংগাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামের নীরব ও আপনকে ধরে ফেলে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তবে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা কাউকে আটক করিনি, স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি।” অস্ত্র জব্দের বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার সামনেই ছেলেদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভোরের আকাশ/এসএইচ